হাওর বার্তা ডেস্কঃ ভিটামিন সি আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা জোরদার করতে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কাজেই প্রাকৃতিক উৎস থেকে ভিটামিন সংগ্রহ করা বুদ্ধিমানের কাজ।
আপেল, কমলা, লেবু, পালং শাক, ব্রকলি, ব্রাসেলস স্প্রাউট এগুলো থেকে ভিটামিন সি পাওয়া যেতে পারে। ভিটামিন সি ট্যাবলেট থেকেও এটা পাওয়া যায়। কিন্তু করোনার সময়ে ভিটামিন সি এত গুরুত্বপূর্ণ কেন? বিশেষজ্ঞরা বলেন, দেখা গেছে চীনের উহান শহরে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের সময়ে ভিটামিন সি’র আইভি ফরম্যাট ইনজেক্ট করা চিকিৎসার একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল এবং এতে বেশ খানিকটা সফলতা পাওয়া গেছে।
ওপরের পরিচিত ও প্রচলিত খাবারের বাইরেও আমরা যেসব খাবার থেকে ভিটামিন সি পেতে পারি, তার মধ্যে রয়েছে:
কাঁচা মরিচ
কাঁচা মরিচে রয়েছে ভিটামিন সি এবং বেটা-ক্যারোটিন যা চোখ, ত্বক ও রোগ প্রতিরোধে খুবই কার্যকরী।
লাল মরিচ
ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ উৎসগুলোর মধ্যে লাল মরিচ অন্যতম। আধা কাপ লাল মরিচে রয়েছে ১০৭ দশমিক ৮ গ্রাম ভিটামিন ‘সি’ যা পেশীর ব্যাথা নিরাময় ও হারের সংযোগ স্বাভাবিক রাখে।
আনারস
এককাপ আনারসে রয়েছে ৭৯ গ্রাম ভিটামিন ‘সি’। তাছাড়া এটি ক্যালসিয়াম ও পটাসিয়ামের ভালো উৎস।
স্ট্রবেরি
স্ট্রবেরির স্বাস্থ্য উপকারিতা ব্যাপক। এতে ভিটামিন সি’র পাশাপাশি রয়েছে ম্যাগনেসিয়ামসহ নানা পুষ্টি উপাদান।
কিউয়ি
কিউয়িতে ভিটামিন সি’র পরিমাণ কমলার থেকেও বেশি। এতে আরও রয়েছে ফ্লেভোনয়েড এবং পটাসিয়াম।
আম
এখন আম পাওয়া যাচ্ছে, চেষ্টা করুন প্রতিদিন এক কাপ পরিমাণ আম খেতে। তবে ডায়াবেটিস থাকলে পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়ে নেবেন। ১০০ গ্রাম আমে রয়েছে ৩৬ দশমিক ৪ গ্রাম ভিটামিন ‘সি’।
পেঁপে
পেঁপেতেও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে। প্রতিদিন মাত্র একটি পেঁপে খেলেই শরীরে প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি’র চাহিদা পূরণ হয়।
মিষ্টি আলু
মিষ্টি আলুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণের ভিটামিন ‘সি’, বেটা ক্যারোটিন ও বিভিন্ন রকমের মিনারেল যা স্বাস্থ্যকর দেহের জন্য আবশ্যক।
ভিটামিন ‘সি’ পানিতে দ্রবণীয় হওয়ায় তা অনেক বেশি পরিমাণে গ্রহণ করলেও দেহের কোনো ক্ষতি সৃষ্টি করে না বলেও জানান বিশেষজ্ঞরা।
মহামারি করোনার সংক্রমণ এড়াতে বা সংক্রমিত হয়ে গেলে ভাইরাসের ক্ষতি কমাতে নিয়মিত ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।