ঢাকা ০৩:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই ২০২৪, ১০ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মানবিক কাজের জন্য সেনাবাহিনীর প্রতি জনগণের আস্থা বেড়েছে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০১:৫৭:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ নভেম্বর ২০১৫
  • ৩৪৪ বার

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেছেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি জনগণের যেকোনো প্রয়োজনে তাদের পাশে দাঁড়াতে সক্ষম। মানবিক কাজের জন্য সেনাবাহিনীর প্রতি জনগণের আস্থা ও শ্রদ্ধা বেড়েছে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, নতুন নতুন গোলন্দাজ রেজিমেন্ট ও দূরপাল্লার কামান সংযোজন এবং কম্পিউটার বেইজড আধুনিক সরঞ্জামাদি গোলন্দাজ কোরের সক্ষমতাকে আরও সুসংহত করেছে। তিনি মঙ্গলবার চট্টগ্রামে আর্টিলারি ক্যাম্পে রেজিমেন্ট অব আর্টিলারির (গোলন্দাজ কোর) পঞ্চম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশের প্রয়োজনে সেনাবাহিনীর সদস্যরা নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করায় এ বাহিনীর প্রতি জনগণের আস্থা ও শ্রদ্ধা বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমান সরকার সেনাবাহিনীকে একটি আধুনিক ও যুগোপযোগী সেনাবাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে ফোর্সেস গোল ২০৩০ নির্ধারণ করেছে।

এ ছাড়া সেনাবাহিনীকে শক্তিশালী করতে আধুনিক যুদ্ধ উপকরণ সংগ্রহ এবং উন্নত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শক্তিশালী করতে কার্যক্রম শুরুর কথাও জানান রাষ্ট্রপতি। পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যদের সর্বোচ্চ মানের পেশাদারিত্ব অর্জনে প্রশিক্ষণকে অগ্রাধিকার দেওয়ারও আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।

নগরীর হালিশহরে অবস্থিত আর্টিলারি সেন্টার ও স্কুলের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করে রাষ্ট্রপতি বলেন, প্রশিক্ষণ একটি চলমান প্রক্রিয়া। সেনাবাহিনীর প্রতিটি সদস্যকে সর্বোচ্চ মানের পেশাদারিত্ব অর্জনে প্রশিক্ষণকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আধুনিক সরঞ্জাম ও কৌশল সম্পর্কে অবহিত থাকতে হবে।

প্রশিক্ষণের পাশাপাশি কঠোর শৃঙ্খলাও অনুসরণ করতে হবে। গোলন্দাজ কোরের সদস্যরা অপারেশন ও প্রশিক্ষণের পাশাপাশি খেলাধূলায়ও অত্যন্ত সক্রিয়। দেশের প্রয়োজনে সর্বদা এ বাহিনীর সদস্যরা নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন। এর ফলে সেনাবাহিনীর প্রতি জনগণের আস্থা ও শ্রদ্ধা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মন্তব্য করেন রাষ্ট্রপতি। রাষ্ট্রপতি মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় হেলিকপ্টারযোগে নগরীর হালিশহরে সেনাবাহিনীর আর্টিলারি ক্যাম্পে পৌঁছান। সেখানে রেজিমেন্ট অব আর্টিলারির (গোলন্দাজ কোর) পঞ্চম পুনর্মিলনী কুচকাওয়াজ পরিদর্শন শেষে বক্তব্য রাখেন তিনি।

৮ নভেম্বর থেকে তিন দিনব্যাপী হালিশহরে আর্টিলারি সেন্টার ও স্কুলে আর্টিলারি কোরের সপ্তম কর্নেল কমান্ড্যান্ট অভিষেক ও ৩৪তম বাৎসরিক অধিনায়ক সম্মেলন এবং পঞ্চম কোরের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীর প্রধান আবু বেলাল মো. শফিউল হকসহ উচ্চপদস্থ সেনা অফিসার ও সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্রপতি পরে আর্টিলারি কোরের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী বর্তমান ও অবসরপ্রাপ্ত অফিসার, জুনিয়র কমিশন্ড অফিসার ও সৈনিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। বিকেল সাড়ে ৩টায় রাষ্ট্রপতির নগরীর নন্দনকানন চট্টগ্রাম বৌদ্ধবিহার (বৌদ্ধমন্দির) পরিদর্শনের কথা রয়েছে। সেখানে তিনি একটি নাগেশ্বর গাছের চারা রোপণ করবেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

মানবিক কাজের জন্য সেনাবাহিনীর প্রতি জনগণের আস্থা বেড়েছে

আপডেট টাইম : ০১:৫৭:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ নভেম্বর ২০১৫

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেছেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি জনগণের যেকোনো প্রয়োজনে তাদের পাশে দাঁড়াতে সক্ষম। মানবিক কাজের জন্য সেনাবাহিনীর প্রতি জনগণের আস্থা ও শ্রদ্ধা বেড়েছে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, নতুন নতুন গোলন্দাজ রেজিমেন্ট ও দূরপাল্লার কামান সংযোজন এবং কম্পিউটার বেইজড আধুনিক সরঞ্জামাদি গোলন্দাজ কোরের সক্ষমতাকে আরও সুসংহত করেছে। তিনি মঙ্গলবার চট্টগ্রামে আর্টিলারি ক্যাম্পে রেজিমেন্ট অব আর্টিলারির (গোলন্দাজ কোর) পঞ্চম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশের প্রয়োজনে সেনাবাহিনীর সদস্যরা নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করায় এ বাহিনীর প্রতি জনগণের আস্থা ও শ্রদ্ধা বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমান সরকার সেনাবাহিনীকে একটি আধুনিক ও যুগোপযোগী সেনাবাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে ফোর্সেস গোল ২০৩০ নির্ধারণ করেছে।

এ ছাড়া সেনাবাহিনীকে শক্তিশালী করতে আধুনিক যুদ্ধ উপকরণ সংগ্রহ এবং উন্নত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শক্তিশালী করতে কার্যক্রম শুরুর কথাও জানান রাষ্ট্রপতি। পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যদের সর্বোচ্চ মানের পেশাদারিত্ব অর্জনে প্রশিক্ষণকে অগ্রাধিকার দেওয়ারও আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।

নগরীর হালিশহরে অবস্থিত আর্টিলারি সেন্টার ও স্কুলের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করে রাষ্ট্রপতি বলেন, প্রশিক্ষণ একটি চলমান প্রক্রিয়া। সেনাবাহিনীর প্রতিটি সদস্যকে সর্বোচ্চ মানের পেশাদারিত্ব অর্জনে প্রশিক্ষণকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আধুনিক সরঞ্জাম ও কৌশল সম্পর্কে অবহিত থাকতে হবে।

প্রশিক্ষণের পাশাপাশি কঠোর শৃঙ্খলাও অনুসরণ করতে হবে। গোলন্দাজ কোরের সদস্যরা অপারেশন ও প্রশিক্ষণের পাশাপাশি খেলাধূলায়ও অত্যন্ত সক্রিয়। দেশের প্রয়োজনে সর্বদা এ বাহিনীর সদস্যরা নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন। এর ফলে সেনাবাহিনীর প্রতি জনগণের আস্থা ও শ্রদ্ধা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মন্তব্য করেন রাষ্ট্রপতি। রাষ্ট্রপতি মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় হেলিকপ্টারযোগে নগরীর হালিশহরে সেনাবাহিনীর আর্টিলারি ক্যাম্পে পৌঁছান। সেখানে রেজিমেন্ট অব আর্টিলারির (গোলন্দাজ কোর) পঞ্চম পুনর্মিলনী কুচকাওয়াজ পরিদর্শন শেষে বক্তব্য রাখেন তিনি।

৮ নভেম্বর থেকে তিন দিনব্যাপী হালিশহরে আর্টিলারি সেন্টার ও স্কুলে আর্টিলারি কোরের সপ্তম কর্নেল কমান্ড্যান্ট অভিষেক ও ৩৪তম বাৎসরিক অধিনায়ক সম্মেলন এবং পঞ্চম কোরের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীর প্রধান আবু বেলাল মো. শফিউল হকসহ উচ্চপদস্থ সেনা অফিসার ও সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্রপতি পরে আর্টিলারি কোরের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী বর্তমান ও অবসরপ্রাপ্ত অফিসার, জুনিয়র কমিশন্ড অফিসার ও সৈনিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। বিকেল সাড়ে ৩টায় রাষ্ট্রপতির নগরীর নন্দনকানন চট্টগ্রাম বৌদ্ধবিহার (বৌদ্ধমন্দির) পরিদর্শনের কথা রয়েছে। সেখানে তিনি একটি নাগেশ্বর গাছের চারা রোপণ করবেন।