ঢাকা ০৯:১৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যেখানে দাঁড়িয়ে রাসুল (সা.) অঝরে কেঁদেছিলেন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৩৩:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ নভেম্বর ২০১৫
  • ২৪২ বার

মুসলিম শরীফে বর্ণিত আছে, একদিন মায়ের কবরের পাশে দাঁড়িয়ে রাসুলের (সা.) কান্না দেখে নির্বাক হয়ে পড়েছিলেন সাহাবায়ে কেরাম, রাসুলের কান্নায় তারাও কেঁদেছিলেন সেদিন।আর কোনোদিন কোথাও তাকে এভাবে কেউ কাঁদতে দেখেনি, মায়ের জন্য আপ্লুত হয়ে তিনি যেভাবে কেঁদেছিলেন।(মুসলিম, মুসনাদে আহমদ) মায়ের প্রতি রাসুলের ভালোবাসা ও সদাচারের জন্য রাসুল (সা.) এর তাগিদ দেখে সাহাবায়ে কেরামও নিজেদের মায়ের প্রতি ছিলেন পরম বিনয়ী ও সদাচারী। রাসুল (সা.) বলেছেন, মা বাবার প্রতি ভালো ব্যবহারের শেষ সীমানা হল, তাদের যারা বন্ধুবান্ধব ছিলেন, তাদেরও সম্মান করা, ভালোবাসা ও দয়া করা। (মুসলিম) অন্যত্র আবু হুরাইরা (রা.) এর সূত্রে বুখারী ও মুসলিম শরীফে বর্ণিত হাদীস থেকে স্পষ্ট হয়, বাবার সম্মানের চেয়ে মায়ের সম্মান ও শ্রদ্ধা তিনগুণ বেশি। হযরত আবু হুরাইরা (রা.) যখনই কোথাও যাওয়ার জন্য ঘর থেকে বের হতেন, ডাক দিয়ে বলতেন, ‘মা আমার! তোমরা জন্য সালাম! আল্লাহ পাক তোমাকে রহমত দিয়ে ঘিরে রাখুন যেভাবে তুমি আমাকে ছোটবেলায় লালন পালন করেছিলে।’ তার মা তখন সাড়া দিয়ে বলতেন, ‘ছেলে আমার! আল্লাহ তোমাকেও রহমত দান করুন যেভাবে তুমি আমাকে এই বুড়ো বয়সে সেবাযত্ন করছো।’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

যেখানে দাঁড়িয়ে রাসুল (সা.) অঝরে কেঁদেছিলেন

আপডেট টাইম : ১০:৩৩:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ নভেম্বর ২০১৫

মুসলিম শরীফে বর্ণিত আছে, একদিন মায়ের কবরের পাশে দাঁড়িয়ে রাসুলের (সা.) কান্না দেখে নির্বাক হয়ে পড়েছিলেন সাহাবায়ে কেরাম, রাসুলের কান্নায় তারাও কেঁদেছিলেন সেদিন।আর কোনোদিন কোথাও তাকে এভাবে কেউ কাঁদতে দেখেনি, মায়ের জন্য আপ্লুত হয়ে তিনি যেভাবে কেঁদেছিলেন।(মুসলিম, মুসনাদে আহমদ) মায়ের প্রতি রাসুলের ভালোবাসা ও সদাচারের জন্য রাসুল (সা.) এর তাগিদ দেখে সাহাবায়ে কেরামও নিজেদের মায়ের প্রতি ছিলেন পরম বিনয়ী ও সদাচারী। রাসুল (সা.) বলেছেন, মা বাবার প্রতি ভালো ব্যবহারের শেষ সীমানা হল, তাদের যারা বন্ধুবান্ধব ছিলেন, তাদেরও সম্মান করা, ভালোবাসা ও দয়া করা। (মুসলিম) অন্যত্র আবু হুরাইরা (রা.) এর সূত্রে বুখারী ও মুসলিম শরীফে বর্ণিত হাদীস থেকে স্পষ্ট হয়, বাবার সম্মানের চেয়ে মায়ের সম্মান ও শ্রদ্ধা তিনগুণ বেশি। হযরত আবু হুরাইরা (রা.) যখনই কোথাও যাওয়ার জন্য ঘর থেকে বের হতেন, ডাক দিয়ে বলতেন, ‘মা আমার! তোমরা জন্য সালাম! আল্লাহ পাক তোমাকে রহমত দিয়ে ঘিরে রাখুন যেভাবে তুমি আমাকে ছোটবেলায় লালন পালন করেছিলে।’ তার মা তখন সাড়া দিয়ে বলতেন, ‘ছেলে আমার! আল্লাহ তোমাকেও রহমত দান করুন যেভাবে তুমি আমাকে এই বুড়ো বয়সে সেবাযত্ন করছো।’