হাওর বার্তা ডেস্কঃ ইউরোপের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় উপকূলবর্তী দেশ গ্রীসের লেসবস দ্বীপের মোরিয়া শরণার্থী শিবিরে ব্যাপক অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এক নারী ও শিশুর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
সূত্রের বরাতে ব্রিটিশ গণমাধ্যম ‘বিবিসি নিউজ’ জানায়, গত রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় রাতে ঘটা সেই অগ্নিকাণ্ডের পর শরণার্থী শিবিরের ধংসাস্তুপ থেকে এরই মধ্যে নিহত নারী ও শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
কর্তৃপক্ষের মতে, লেসবসের সেই শিবিরটিতে বর্তমানে প্রায় ১২ হাজারের অধিক শরণার্থী অবস্থান করছে। যদিও সেখানে ধারণক্ষমতা ছিল মাত্র ৩ হাজার। ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর বিক্ষুব্ধ শরণার্থীরা দ্রুত সড়কে এসে অবস্থান গ্রহণের মাধ্যমে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বিক্ষোভরতদের দাবি, শহরের ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে আসতে অনেকটাই দেরি করে ফলেছে। পরবর্তীতে বিক্ষোভ দমনে বেশ কয়েক রাউন্ড টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে দেশটির আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
এ দিকে জাতিসংঘের তথ্য মতে, সিরিয়া গৃহযুদ্ধ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ১০ লক্ষাধিক শরণার্থী প্রাণ সংশয়ে সেখান থেকে পালিয়ে গ্রীক দ্বীপগুলোতে আশ্রয় গ্রহণ করেন। যদিও অতিরিক্ত শরণার্থী অবস্থানের কারণে এরই মধ্যে একটি বিরাট সংকটে পড়েছে গ্রীসের লেসবনসহ আশপাশের বিভিন্ন শহর।
অপর দিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং তুরস্কের মধ্যে এরই মধ্যে এসব শরণার্থীদের বিষয়ে একটি চুক্তি হয়েছে। স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী, গ্রিসে অবৈধভাবে অবস্থান করা সিরীয়সহ অন্যান্য সকল শরণার্থীদের খুব শিগগিরই তুরস্ক ফেরত নেবে। যার মাধ্যমে ইইউ তুরস্কের বৈধভাবে আবেদন করা শরণার্থীদের ইউরোপে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করবে। একই সঙ্গে তাদের তুরস্ককে অর্থ সহায়তাও দেওয়া হবে।
যদিও সেই চুক্তিটি স্বাক্ষরের ফলে এখন তুরস্কে দিকে বাড়তে শুরু করেছে শরণার্থীদের স্রোত। যে কারণে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে লেসবনে দেখা দিয়েছে বেশ কয়েকটি শরণার্থী বিদ্রোহ।