এই পতিতা পল্লী থেকে সুশীল সমাজ ৩০০ মেয়ে নিতো প্রতিমাসে

হাওর বার্তা ডেস্কঃ নারায়নগঞ্জের পতিতা পল্লী উচ্ছেদ নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন এমপি শামীম ওসমান। বলেন, টানবাজার থেকে তখন প্রতিদিন থানা পাইতো ৪৫ লাখ টাকা। এগারো হাজার মেয়ে ছিলো যাদের বয়স ৯ থেকে ১১ বছর। টেলিভিশনে এখন কথা বলেন এমন নামকরা লোক, সুশীল সমাজ এখান থেকে ৩০০ মেয়ে নিতো প্রতিমাসে। তাদের পুনর্বাসন দেখিয়ে জনপ্রতি তখন ৫০ হাজার টাকা নিতো। ৫ হাজার টাকা খরচ করে এই ৩০০ মেয়েকে আবার নারায়ণগঞ্জে ফেরত নিয়ে আসতো।

তিনি বলেন, আমি তখন নিয়্যত করেছিলাম যদি এই নিষিদ্ধ পল্লী উঠে যায় প্রয়োজন হলে আমি এমপি পদ ছেড়ে দেবো। আমার নেত্রী আমাকে এটি উচ্ছেদ করতে বলেছিলেন। এবং বলেছেন ভালো কাজ করতে গেলে বাধা আসবেই। প্রত্যেকটি মসজিদের ইমাম সাহেবদের নিয়ে, মন্দিরের পুরোহিতদের সাথে, গীর্জার পাদ্রীর সাথে বসেছি। ওই সুশীল সমাজ, ওই তথাকথিত এনজিওরা আমাকে এমন কিছু খারাপ নাই যে বানায় নাই। আজমীর শরীফের খাদেমকে কন্ট্রাক্ট করা হয়েছিলো আমাকে প্রস্তাব দেয়ার জন্য। প্রস্তাবটি হলো আমি যদি দুইদিন দেশের বাইরে থাকি তাহলে আমারে তখনকার সময়ে ২০ কোটি টাকা দেবে। খাদেম বলেছিলো এসব প্রস্তাব নিয়ে আমার কাছে আইসো না।

সোমবার (২৭ মে) নাসিম ওসমান মেমোরিয়াল এমিউজম্যান্ট পার্কে (নম পার্ক) আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের আলোচিত সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেন, ‘আমি শামীম ওসমান ব্যক্তিগতভাবে আগে অন্য কিছুর উপর ভরসা কইরা চলতাম। এখন ভরসা করি একমাত্র আল্লাহর উপর।’

তিনি বলেন, সাহায্য করার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট আর কারো দরকার নাই। আমার পেছনে এক লাখ লোক আছে আমি এমন লড়াকু না, আমি ওই যোদ্ধা এক লাখ লোক মনে করবে আমার সামনে শামীম ওসমান আছে। আমি এই লড়াইটা করবো। নারায়ণগঞ্জের মানুষ সবকিছু পাওয়ার জন্য এই লড়াই করবো।

শামীম ওসমান আরো বলেন, আমার মনে হয় তাদের উপর আল্লাহর রহমত আছে। কি রহমত, আল্লাহ আমারে অনেক ধৈর্য্য দিছে। আমি যদি আগের ধৈর্য্যওয়ালা হইতাম। আল্লাহর হুকুম হইছে আমার অনেক ধৈর্য্য আসছে। ঈদের পর নারায়ণগঞ্জে সব শ্রেণি-পেশার মানুষদের নিয়ে বসবো। আমাদের নারায়ণগঞ্জকে আমরা কিভাবে সুন্দর করে গড়তে পারি, দুর্নীতি, ঘুষমুক্ত করতে পারি, মাদক ও সন্ত্রাস মুক্ত করতে পারি সে ব্যাপারে আলাপ করবো। চোখের সামনে দেখি রাস্তায় দাঁড়াইয়া দাঁড়াইয়া ঘুষ খায়।

শামীম ওসমান বলেন, আমাদের জায়গাকে আমরা সুন্দর করবো। আগামী ১৬ জুন থেকে আমরা শুরু করবো। সেই দিনেই আমার লাইফের এক্সটেনশন হইছে। ওইদিন থাইকা নারায়ণগঞ্জকে নিয়া চিন্তা করা শুরু করবো। নারায়ণগঞ্জের ছোট ছোট পত্রিকাগুলো অশান্তি সৃষ্টি করে। অশান্তি সৃষ্টি করলে নারায়ণগঞ্জের মানুষকে প্রোটেকশন দেয়ার দায়িত্ব আমার।

অনুষ্ঠানে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট আবু হাসনাত শহীদ বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি হাসান ফেরদৌস জুয়েল, পাবলিক প্রসিকিউটর ওয়াজেদ আলী খোকন, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন সাজনু, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান রিয়াদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর