রাজারহাটে বাঁশের সাঁকো নয় যেন মৃত্যুফাঁদ

হাওর বার্তা ডেস্কঃ তিন বছর ধরে বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করছে কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের চর গতিয়াসাম এলাকার জনগণ।

ব্রিজটি নির্মাণ না হওয়ায় প্রতিদিন প্রায় ৪০০ শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার মানুষের যাতায়াতসহ কৃষকের উৎপাদিত পণ্য বোঝাই ট্রাক চার কিলোমািটার ঘুরে যেতে সময়ের অপচয়সহ খরচ ও বেশি হয়।

সাঁকো দিয়ে পারাপারের সময় গত মাসে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে।

কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলার চর গতিয়াসাম এলাকার তিস্তা নদীর বাঁধ সংলগ্ন ড্রেনের উপর নির্মিত ব্রিজটি গত দুই বছর আগে প্রবল বন্যায় ভেঙে যায়। পরে এলাকাবাসী স্থানীয় ইউপি সদস্যের সহযোগিতায় ওই বাঁশের সাঁকোটি তৈরি করে কোনো রকমে চলাচল করলেও তিস্তার চরে উৎপাদিত কৃষকের পণ্য আলু, পেঁয়াজ, মরিচ, বাদাম ভুট্টা ও কুমরা বহনকারী গাড়ি ও ট্রাক সাঁকোর উপর দিয়ে যেতে পারে না।

ব্রিজটি নির্মাণ না হওয়ায় কৃষকের উৎপাদিত পণ্য বোঝাই ট্রাক চার কিলোমািটার ঘুরে যেতে সময়ের অপচয়সহ খরচও বেশি হয়। বর্ষাকালে সাঁকোটি পিচ্ছিল হওয়ার কারণে অনেক শিক্ষার্থী ভয়ে স্কুলে যায় না।

গতিয়াসাম গ্রামের শিক্ষক আব্দুস সালাম বলেন, গত মাসে এই সাঁকোটি সংলগ্ন কেচু মামুদের স্ত্রী আম্মাজান বেওয়া (৬০) সাঁকোটি পার হয়ে ওষুধ আনতে যাওয়ার সময় পড়ে মারা গেছে।

ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউপি সদস্য সহিদুল ইসলাম বলেন, ওই ব্রিজটি দিয়ে ছাত্রছাত্রীর যাতায়াতসহ কৃষকের উৎপাদিত পণ্য সহজে পরিবহন করতে না পারায় কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ব্রিজটি নির্মাণের জন্য রাজারহাট উপজেলা

নির্বাহী অফিসারকে অবগত করা হয়েছে। রাজারহাট উপজেলা প্রকৌশলী কাজী মো. রেজাউল হাফিজ জানান, ব্রিজটি নির্মাণ করার জন্য ইতি পূর্বে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে অবহিত করেছি।

রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহ. রাশেদুল হক প্রধান এ প্রতিনিধিকে জানান, গতিয়াসাম ব্রিজটি জনগুরুত্বপূর্ণ, এলজিইডির মাধ্যমে যাতে সুন্দরভাবে ব্রিজটি নির্মাণ করা যায়, আমরা সে বিষয় চেষ্টা করব। ব্রিজটি দ্রুত নির্মাণের দাবি গতিয়াসাম এলাকাবাসীর।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর