চট্টগ্রামে যুবক খুন সুন্দরী তরুণীর খোঁজে পুলিশ

বাসা ভাড়া নিয়ে বন্ধুকে খুন করে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় চট্টগ্রামে সুন্দরী এক তরুণীকে হন্যে হয়ে খুঁজছে পুলিশ। তার সঙ্গে সহযোগী হিসেবে আরো ৩ তরুণকেও ধরার জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে নগরজুড়ে। বুধবার গভীর রাতে
খুন হওয়ার পর গতকাল সকালে বায়েজীদ থানা পুলিশ ওই যুবকের পরিচয় নিশ্চিত করেছে। যুবকের বাবা ও আরেক ভাই এসে তার নাম
মো. আলাউদ্দিন আলাওল (২৪) বলে জানিয়েছে। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের মাস্টার্সে পড়তেন। গ্রামের বাড়ি হাটহাজারীর এক নম্বর গেইট এলাকার মদনহাটে। স্থানীয় হেলাল চৌধুরীর বাড়ি বলে পরিচিত ছিল তাদের ঠিকানা। তবে কারা তাকে খুন করতে পারে এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে পুলিশকে জানিয়েছেন যুবকের বাবা।
অন্যদিকে পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় নিহত আলাওলের বন্ধুরা তাদের বলেছেন অক্সিজেন এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে এক মেয়ের সঙ্গে প্রেম ছিল তার। কিছুদিন আগে সে মেয়েটির বিয়ে হয়ে গেলে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে সে।
আলাওল প্রায় সময় অক্সিজেন এলাকায় গিয়ে মেসে থাকতেন। তবে ওই এলাকায় থাকতে গিয়ে মেয়েটির সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগ করতেন কিনা তা তাদের জানা নেই।
বাসা ভাড়া নেয়ার জন্য ৩ যুবক ও এক তরুণীর সঙ্গে আলাওল ছিলেন কি-না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান বায়েজীদ থানার একজন এসআই। তিনি জানিয়েছেন, বুধবার বিকাল সাড়ে পাঁচটায় বায়েজীদের পশ্চিম শহীদনগর এলাকার একটি বাড়িতে বাসা ভাড়া নিতে আসেন ৩ যুবক ও এক তরুণী।
পরে রাতে ওই বাসার কেয়ারটেকার দরজা খোলা দেখে ভেতরে ঢুকেন। এই সময় তিনি দেখতে পান, হাত-পা বাঁধা অবস্থায় বাসার টয়লেটে এক যুবকের মরদেহ পড়ে রয়েছে।
বায়েজীদ বোস্তামি থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন বলেন, আলাওলের বাবা মো. শাহআলম ও ভাই সালাহউদ্দিন এসে লাশ শনাক্ত করেছেন। তবে তারা খুন হওয়ার কারণ নিয়ে কিছুই বলতে পারেননি।
তিনি বলেন, ঘটনাটি পরিকল্পিত। কারণ বাসা ভাড়া নিয়ে সেখানে কৌশলে আবার একজনকে খুন করে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা তাই প্রমাণ করে। এই ঘটনায় ৩ যুবকের সঙ্গে এক তরুণীও এসেছিল। আমরা আলাওলের ব্যক্তিগত জীবনের কিছু তথ্য ঘেঁটে দেখছি।
স্থানীয় লোকজন জানান, বাড়িটি ফটিকছড়ির বাসিন্দা ওমান প্রবাসী আবু ছৈয়দের মালিকানাধীন। শহীদনগর এলাকার চারতলা ওই বাড়ির তিন তলার একটি ফ্ল্যাট তারা ভাড়া নিতে এসেছিল। বাড়ির বর্তমান মালিক হাসিনা আক্তার না থাকায় এর আগে এসে ভাড়া নিতে পারেনি তারা।
আলাওলের বাবা মো. শাহআলম বলেন, বাসা ভাড়া কেন নিতে যাবে আমার ছেলে তা আমরা জানি না। কারণ সে ইউনিভার্সিটিতে গিয়ে নিয়মিত ক্লাস করতো। কারও সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে মেলামেশার তথ্য নেই।
পুলিশ খুনিদের গ্রেপ্তার করতে পারলেই জানতে পারবো কেনো ওরা খুন করলো আমার ছেলেটাকে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর