বরগুনায় মা মেয়েকে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ৩ জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেক আসামিকে এক লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরও ৪ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন।
সোমবার বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও সিনিয়র জেলা জজ মো. মশিউর রহমান খান এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- বরগুনা সদর উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের পদ্মা গ্রামের মো. একিন আলীর ছেলে মো. সহিদ (৪২) মের্জে আলীর ছেলে আবদুল হালিম (৩৫) ও আইয়ূব আলীর ছেলে সোবহান (৪০)।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর আশ্রাফুল আলম। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা পলাতক ছিলেন।
জানা যায়, এক গৃহবধূ বরগুনা থানায় ২০০৭ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি অভিযোগ করেন, দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সহিদ গৃহবধূকে পথেঘাটে উত্ত্যক্ত করতেন। গৃহবধূর স্বামী ঢাকা থাকলেও বাড়িতে এসে সহিদকে শাসিয়ে যেতেন। এতে সহিদ ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিশোধপরায়ন হয়ে ওঠেন। ২১ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টায় গৃহবধূ তার ১৬ বছরের মেয়েকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ির পিছনে প্রাকৃতিক কাজ করতে যান।
ওই আসামিরা পূর্ব থেকে ওঁত পেতে ছিল। সহিদ গৃহবধূকে জোর করে ধর্ষণ করেন। হালিম ও সোবহান গৃহবধূর নাবালিকা মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে সারারাত পালাক্রমে ধর্ষণ করে পরের দিন ভোর ৬টায় গৃহবধূর বাড়ির সামনে তাকে রেখে যায়। পরে শুনানি শেষে আদালত এ রায় দেন।
মামলার বাদী বলেন, এ রায় আমি সন্তুষ্ট। আমি ন্যায় বিচার পেয়েছি।
সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর আশ্রাফুল আলম বলেন, একটি সত্য ঘটনায় বাদী ন্যায় বিচার পেয়েছেন। আসামি সহিদ সাংবাদিক মাসউদ তালুকদার হত্যা মামলার আসামি। বর্তমানে সহিদ বরগুনা কারাগারে আছে। তাকে এই মামলায় আমরা গ্রেফতার দেখাব।