রাজউকের পিয়নের কোটি টাকার কেরামতি

রাজউকের পিয়ন বলে কথা, কোটি টাকার কেরামতি তার। মাত্র দেড় বছর আগে এমএলএসএস হিসেবে চাকরি পেয়েই কোটিপতি বনে গেছেন তিনি। অল্প সময়ে এত টাকার মালিক যিনি তিনি হলেন মো. জাজাউল হক মুন্সী। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) পিয়ন তিনি। তার এমন খবরে বিস্ময় সৃষ্টি করেছে। কোটিপতির খাতায় নাম লিখিয়েই জাজাউল হক আটকা পড়লেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জালে। দুদকের অনুসন্ধানে তার নামে প্রায় তিন একর অবৈধ সম্পত্তির খোঁজ মিলেছে। কাগজ-কলমে এর মূল্য ১৫ লাখ টাকা হলেও বাস্তবে কোটি টাকার ওপরে। মঙ্গলবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কমিশন বৈঠকে এরই মধ্যে ওই অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তার নামে একটি মামলা দায়েরের অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। শিগগিরই তার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তা উপপরিচালক এসএম রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করবেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। দুদক সূত্রে জানা যায়, মো. জাজাউল হক মুন্সী রাজউকের এমএলএসএস পদে দেড় বছর আগে ঢাকার দিলকুশার রাজউক অ্যাভিনিউয়ে যোগদান করেন। তার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের ভিত্তিতে অনুসন্ধানে নামে দুদক। তিনি এত অল্প সময়ে গোপালগঞ্জে ২.৯৬ একর জমি কিনেছেন। কাগজ-কলমে যার মূল্য দেখিয়েছেন ১৫ লাখ টাকা, কিন্তু দুদকের অনুসন্ধানে ওই জমির মূল্য কোটি টাকার বেশি। এর বাইরে আরো কিছু সম্পদের খোঁজ মিলেছে, ‍যা প্রমাণের অপেক্ষায়। মামলার চার্জশিটে তা অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলেও দুদক সূত্রে জানা যায়। দুদক সূত্র জানায়, তিনি স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকেন। তিনি যে বেতন পান তা দিয়ে ভাড়া বাসার খরচ নির্বাহ করা সম্ভব হলেও সম্পদ কেনা সম্ভব নয়। এর প্রমাণ দুদেকর অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু রাজউকের ওই পিয়ন বৈধ কোনো উৎস দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দুদক আইনে একটি মামলা দায়েরের অনুমোদন দিয়েছে কমিশন।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর