নারী ব্যবসায়ী পুতুলের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ

রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মার্কেটের এক নারী ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে তিনি বিভিন্ন কৌশলে প্রতারণা করে আসছেন।

প্রতারণা ফাঁদে পড়ে একই মার্কেটের এক ব্যাবসায়ী পাওনা টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে চেক প্রতারণার মামলাও করেছেন। কিন্তু মামলা করে বিপাকে পড়েছেন সেই ব্যাবসায়ী । প্রতিনিয়ত প্রতারক মহিলা নিজে টেলিফোন করে, এসএমএস করে ও অন্যদের দিয়ে ওই ব্যাবসায়ীকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ ব্যাবসায়ী মাহমুদ হাসান সজিব রোববার রাতে ডিএমপির পল্টন থানায় জিডিও করেছেন।

অভিযোগকারী সজীব জানান, প্রতারক এই মহিলার নাম শামসুন্নাহার পুতুল। নিলা এন্টারপ্রাইজ (জি-৩) নামে তার একটি ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানও রয়েছে বায়তুল মোকাররম ইলেক্ট্রনিক্স মার্কেটে। সজীব জানান, ২০১৬ এর জুলাই মাসের আনুমানিক ২০ তারিখে সজিবের সঙ্গে এই প্রতারক মহিলার পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে সখ্যতা গড়ে উঠে। পরিচয়ের পরে এক সপ্তাহের মধ্যেই পুতুল দুদিনের জন্য সজিবের কাছে একটি ওয়ার্ক অর্ডার দেখিয়ে চার লাখ ৬০ হাজার টাকা নেয়। টাকা নেবার সময়ে পুতুল তাকে সম পরিমাণ টাকার চেক সজিবকে দেয়। দু’দিনের কথা বললেও এর পর থেকেই নানান টালবাহানা দেখিয়ে পুতুল তাকে আর টাকা ফেরত দেয়নি।

সজিব জানান, চেক ডিজনার হলে তিনি নিয়ম মাফিক মামলা করেন। কিন্তু মামলা করতেই পুতুল নিজের ফোন থেকে কল ও এসএমএস করে তার জীবননাশের হুমকি দিচ্ছেন। এমনকি তার ভাড়াটে লোকজনও অন্য ফোন দিয়ে সজীবকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন।

এ বিষয়ে বায়তুল মোকাররম ইলেক্ট্রনিস মার্কেটের সাধারন সম্পাদক ডাক্তার দিলিপ কুমার রায় পূর্বপশ্চিমকে বলেন, এ মহিলা নানা কারণে বিতর্কিত। অনেকের অভিযোগ রয়েছে, মামলাও হয়েছে শুনেছি। তবে তিনি বলেন, আমাদের সমিতির কাছে এই মুহূর্তে তার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, পুতুলের নিজের গ্রামের বাড়ি দিনাজপুরে। রাজধানীর মোহাম্মাদপুরে নিজের ফ্লাটে থাকেন। একাধিক গাড়িও রয়েছে তার। পুতুল ডিভোর্সি মহিলা বলে জানা গেছে। তবে তার আগের স্বামীর সঙ্গে এখনও সম্পর্ক রয়েছে, এমন অভিযোগ পুতুলের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরকারী যুবক সজীবের। সজীব জানান, সাবেক স্বামীও তাকে হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন।

এ বিষয়ে পুতুলের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তার একটি ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। অন্য ফোনে এক যুবক ফোন ধরে নিজেকে পুতুলের ভাই পরিচয় দিয়ে এই ফোন এখন আর পুতুল ব্যাবহার করেন না বলে জানান। অভিযোগের বিষয়ে তিনি কিছু বলতে রাজি হননি।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর