হাওর বার্তা ডেস্কঃ বয়স নিয়ে লুকোচুরির দায়ে বরিশাল সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজের সদ্য অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর শচীন কুমার রায়ের দুই বছরের বেতন কর্তনের আদেশ দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়। মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. সোহরাব হোসাইন এই আদেশে স্বাক্ষর করেন।
অভিযুক্ত প্রফেসর শচীন কুমার রায় সম্প্রতি বরিশাল নগরীর সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজের অধ্যক্ষ পদ থেকে অবসরে যান। এফিডেভিটের মাধ্যমে বয়স কমিয়ে দুই বছর বেশি চাকরি করার অভিযোগে দীর্ঘদিন ধরে তাকে নিয়ে বরিশালে নানা আলোচনা চলছিল।
মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া প্রজ্ঞাপন সূত্রে জানা গেছে, পেনশনের টাকা থেকে অধ্যক্ষ শচীনের দুই বছরের বেতন কর্তন করে রাখা হবে। টাকা ফেরত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত বিভাগীয় মামলাটি প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে।
শচীন কুমার রায় ১৯৮৭ সালে ৭ম বিসিএস’ এ উত্তীর্ণ হয়ে শিক্ষা ক্যাডারে যোগদান করেন। এসএসসি সনদে তার জন্ম তারিখ ১৯৫৮ সালের ১ ফেব্রুয়ারি। ২০১৪ সালে সহযোগী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পাওয়ার পর কাগজপত্রে দেখা যায় তার জন্ম তারিখ ১ ফেব্রুয়ারি ১৯৬০।
বয়স দুই বছর কমে যাওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে শচীন কুমার রায় দাবি করেন, তিনি যথাযথ আইন মেনে এফিডেভিটের মাধ্যমে বয়স সংশোধন করেছেন। বিষয়টি অনেক আগে মন্ত্রণালয়ে মীমাংসিত হয়েছে।
অতিরিক্ত দুই বছর চাকরিতেও বহাল থাকেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে বিভাগীয় মামলা দায়ের হলে অবৈধভাবে বয়স কমিয়ে দুই বছর বেশি চাকরি অভিযোগ প্রমাণিত হয় অধ্যক্ষ শচীনের বিরুদ্ধে। পেনশন থেকে ওই দুই বছরের বেতন কর্তন করে বিভাগীয় মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়ার আদেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।