ঢাকা ১২:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিম নিবন্ধনে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি বুধবার থেকে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৩০:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অক্টোবর ২০১৫
  • ৩৮৩ বার

সিমকার্ড নিবন্ধনে বুধবার থেকে পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হচ্ছে বায়োমেট্রিক (আঙুলের ছাপ) পদ্ধতি। প্রথম দিনে প্রধানমন্ত্রীর টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের একটি সিমকার্ড বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন করা হবে। তবে বায়োমেট্রিক পদ্ধতির বাধ্যতামূলক প্রয়োগ শুরু হবে আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকে।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য জানান ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সিমকার্ড পুনঃনিবন্ধনে মোবাইল ফোন অপারেটররা যে গতিতে জাতীয় পরিচয়পত্র অনুবিভাগে তথ্য দিচ্ছেন তাতে তিনি সন্তুষ্ট নন। আরও দ্রুত গতিতে তথ্য দেওয়া সম্ভব ছিল, যেটা দেওয়া হচ্ছে না।’
দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিনে নেওয়া ৯০ দিনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে গড়ে ৮২ শতাংশ সাফল্য অর্জিত হয়েছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
তারানা হালিম জানান, সিম পুনঃনিবন্ধন কার্যক্রম তার ৯০ দিনের কর্মসূচিতে ছিল না। তিনি দেশের স্বার্থে ৯০ দিনের পরিকল্পনার বাইরে গিয়ে নিয়েছেন।
বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে আসবেন সজীব ওয়াজেদ জয়। তিনি বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিজের নামে একটি সিমকার্ড নিবন্ধন করবেন, যেটি জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর যাচাই এর মাধ্যমে সক্রিয় করা হবে। এর মধ্য দিয়ে সিমকার্ড নিবন্ধনে বায়োমেট্রিক পদ্ধতির পরীক্ষামূলক ব্যবহার শুরু হবে।
প্রতিমন্ত্রী জানান, ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালুর জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিতে হবে অপারেটরদের। ওই দিন থেকেই বাধ্যতামূলকভাবে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালু হবে।
তিনি বলেন, ‘জাতীয় পরিচয়পত্র সার্ভারে যাচাইয়ের জন্য অপারেটরদের কাছ থেকে গ্রাহক তথ্য আসছে ধীরগতিতে। এতে আমি সন্তুষ্ট নই। কারণ সার্ভারে একই সময়ে অনেক বেশি তথ্য যাচাই করা সম্ভব। কিন্তু ধীরগতিতে তথ্য আসার কারণে দ্বিতীয় পর্যায়ে গ্রাহকের কাছে তথ্য চেয়ে পুনঃনিবন্ধন সম্পন্ন করার বিষয়টিও বিলম্বিত হচ্ছে।’
‘আগামী এপ্রিল মাসের মধ্যে অপারেটরদের সিমকার্ড পুনঃনিবন্ধনের কাজ শেষ করতে হবে’ জানিয়ে তিনি বলেন, এ সময়ের পর নিবন্ধনবিহীন সিমকার্ড পাওয়া গেলে অবশ্যই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

সিম নিবন্ধনে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি বুধবার থেকে

আপডেট টাইম : ১০:৩০:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অক্টোবর ২০১৫

সিমকার্ড নিবন্ধনে বুধবার থেকে পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হচ্ছে বায়োমেট্রিক (আঙুলের ছাপ) পদ্ধতি। প্রথম দিনে প্রধানমন্ত্রীর টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের একটি সিমকার্ড বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন করা হবে। তবে বায়োমেট্রিক পদ্ধতির বাধ্যতামূলক প্রয়োগ শুরু হবে আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকে।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য জানান ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সিমকার্ড পুনঃনিবন্ধনে মোবাইল ফোন অপারেটররা যে গতিতে জাতীয় পরিচয়পত্র অনুবিভাগে তথ্য দিচ্ছেন তাতে তিনি সন্তুষ্ট নন। আরও দ্রুত গতিতে তথ্য দেওয়া সম্ভব ছিল, যেটা দেওয়া হচ্ছে না।’
দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিনে নেওয়া ৯০ দিনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে গড়ে ৮২ শতাংশ সাফল্য অর্জিত হয়েছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
তারানা হালিম জানান, সিম পুনঃনিবন্ধন কার্যক্রম তার ৯০ দিনের কর্মসূচিতে ছিল না। তিনি দেশের স্বার্থে ৯০ দিনের পরিকল্পনার বাইরে গিয়ে নিয়েছেন।
বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে আসবেন সজীব ওয়াজেদ জয়। তিনি বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিজের নামে একটি সিমকার্ড নিবন্ধন করবেন, যেটি জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর যাচাই এর মাধ্যমে সক্রিয় করা হবে। এর মধ্য দিয়ে সিমকার্ড নিবন্ধনে বায়োমেট্রিক পদ্ধতির পরীক্ষামূলক ব্যবহার শুরু হবে।
প্রতিমন্ত্রী জানান, ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালুর জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিতে হবে অপারেটরদের। ওই দিন থেকেই বাধ্যতামূলকভাবে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালু হবে।
তিনি বলেন, ‘জাতীয় পরিচয়পত্র সার্ভারে যাচাইয়ের জন্য অপারেটরদের কাছ থেকে গ্রাহক তথ্য আসছে ধীরগতিতে। এতে আমি সন্তুষ্ট নই। কারণ সার্ভারে একই সময়ে অনেক বেশি তথ্য যাচাই করা সম্ভব। কিন্তু ধীরগতিতে তথ্য আসার কারণে দ্বিতীয় পর্যায়ে গ্রাহকের কাছে তথ্য চেয়ে পুনঃনিবন্ধন সম্পন্ন করার বিষয়টিও বিলম্বিত হচ্ছে।’
‘আগামী এপ্রিল মাসের মধ্যে অপারেটরদের সিমকার্ড পুনঃনিবন্ধনের কাজ শেষ করতে হবে’ জানিয়ে তিনি বলেন, এ সময়ের পর নিবন্ধনবিহীন সিমকার্ড পাওয়া গেলে অবশ্যই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’