স্কুলের পাশে ইটভাটা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে শিক্ষার্থীরা

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বিদ্যালয় ঘেঁষে ইটভাটা। পাশেই মাটির স্তূপ। রয়েছে ইটের সারি। কিছু পোড়ানো, কিছু পোড়ানোর অপেক্ষায়। ভাটার চারপাশে জনবসতি ও ফসলি জমি। মাটি, খড়ি, ইট বোঝাই ট্রাকের পর ট্রাকের আসা যাওয়া। যান চলাচলের শব্দ, ধুলো আর ধোঁয়ায় ভরা।

এরই মধ্যে চলে শিক্ষার্থীদের পাঠ ও খেলাধুলা। মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার তল্লাবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও তল্লাবাড়িয়া এসএন টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড বিএম কলেজের পাশেই এ ইটভাটার অবস্থান। ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৩ বলছে, আবাসিক এলাকা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাট-বাজার ও ফসলি জমির এক কিলোমিটারের মধ্যে ইটভাটা স্থাপন করা যাবে না। এ ছাড়া কোনো সড়ক ও মহাসড়কের থেকে অর্ধকিলোমিটার দূরত্বে ইটভাটা স্থাপন করতে হবে।

কিন্তু তল্লাবাড়িয়া এলাকায় এসএন ব্রিকস নামে এই ইট ভাটা কর্তৃপক্ষ আইন অমান্য করে ইট পুড়ে যাচ্ছেন। এমন অবস্থায় শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে বলে স্কুল-কলেজের শিক্ষক ও অভিভাবকরা অভিযোগ করেন। শিক্ষার্থীরা জানায়, ইটভাটার পাশাপাশি রাস্তা থেকে ধুলাবালি আসে। বই খাতার উপর ধুলোর আস্তরণ পড়ে যায়। যান চলাচলের শব্দে কানে তালা লেগে যায়। তল্লাবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কবিরুজ্জামান বলেন, ‘ইটভাটার ধুলো আর ধোঁয়ায় মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে আছে বিদ্যালয় দুটির হাজার শিক্ষার্থী।

ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের শিক্ষার পরিবেশ। ভাটায় কাঠ পোড়ানো আর ধোঁয়ার কারণে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে কয়েকবার অভিযোগ করেও এর কোনো ফল পাইনি।’ তিনি আরো বলেন, ‘লেখে আর কি হবে? প্রশাসনের লোকজন আসেন, জরিমানা করে চলে যান। তার পরে আবার যা তাই’ ভাটা মালিক হাজি শাহাবুদ্দিন মোল্লার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভাটা স্থাপনের পরে আমিই স্কুল এবং কলেজে জমি দিয়েছি। ভাটায় বিনিয়োগ করা হয়ে গেছে। ভবিষ্যতে ভাটাটি সরিয়ে নেবো।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আসিফুর রহমান জানান, ভাটা কর্তৃপক্ষকে কয়েক দিনের সময় দেয়া হয়েছে। এরপরও ভাটা চালু থাকলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর