বাসাইলে একটি সেতুর জন্য লাখো মানুষের ভোগান্তি

হাওর বার্তা ডেস্কঃ নদীর এপার বাসাইল ওপারে সখীপুর। দুই পারের মানুষগুলোর মধ্যে গভীর সম্পর্ক। একই সংসদীয় আসন, শিক্ষা-দীক্ষা, বাজার-ঘাট, কেনাকাটা সবই হয় একসঙ্গে। তবুও সারাটা জীবন তারা দুই পারের বাসিন্দা।

টাঙ্গাইলের সখীপুর ও বাসাইল উপজেলাকে বিভক্তকারী বংশাই নদী। এ নদীর উপর সেতু নির্মাণ না হওয়ায় যুগযুগ ধরে দুর্ভোগে রয়েছেন এ দুই উপজেলার প্রায় দুই লাখ জনসাধারণ। একটিমাত্র সেতুর অভাবে এ অঞ্চলের মানুষের অর্থনৈতিক পরিবর্তন আসেনি এখনো।

বাসাইল উপজেলার উত্তর-পূর্ব সীমান্তে অবস্থিত সুন্যা বাজার ঘেষে বংশাই নদীর উপর সখীপুর-বাসাইল সংযোগ সেতু নির্মাণ হলে দুই উপজেলার শতাধিক গ্রামের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হবে বলে মনে করছেন ওই অঞ্চলের জনসাধারণ।

সরেজমিনে ওই এলাকার জনসাধারণের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে সুন্না বাজার ঘেষে বংশাই নদীর উপর স্থানীয় পাটনী (নদী পারাপারের মাঝি) হঁরিপদ দাস ও তার ছেলে রতন তরণী দাস বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে লোক পারাপার করছেন। বর্ষায় পানি বেড়ে গেলে নৌকায় পারাপার হয়। বর্তমানে ওই সাঁকোটিরও নড়বড়ে অবস্থা। সুন্না বাজারে একটি প্রাইমারী স্কুল, একটি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, একটি আলিম মাদরাসা ও কয়েকটি কিন্ডারগার্টেন স্কুল রয়েছে।

প্রতিদিন এসব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ বাসাইল-সখীপুরের হাজার হাজার জনসাধারণ ঝুঁকিপূর্ণ ওই সাঁকো দিয়েই যাতায়াত করেন। এছাড়া হঠাৎ কেউ অসুস্থ্য হয়ে পড়লে রোগী বহনের কোনো যানবাহন পারাপারেরও ব্যবস্থা নেই।

সখীপুর উপজেলার কাঙ্গালীছেও, দাড়িয়াপুর, যাদবপুর, বেড়বাড়ী, কৈয়ামধূ, প্রতিমা বংকী, শোলাপ্রতিমা, বোয়ালী, নলুয়া, হিজলীপাড়া, দেওবাড়ি, লাঙগুলিয়া, চাকলাপাড়া, সিলিমপুর, কালিয়ান গ্রামবাসীসহ উপজেলার পশ্চিম অঞ্চলের লক্ষাধিক মানুষ ওই সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করেন। এছাড়াও বাসাইল উপজেলার সুন্যা, গিলাবাড়ী, কলিয়া, কাউলজানি, মান্দারজানিসহ প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রামের মানুষ ওই সড়ক দিয়ে পার্শ্ববতী সখীপুর উপজেলায় যাতায়াত করেন।

বাসাইল উপজেলার সুন্না সম্মিলিত আলিম মাদরাসার সহকারী শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘বর্ষা মৌসুমে বাঁশের সাঁকো ডুবে যায়, প্রতিদিন মোটরসাইকেল এপারে রেখে ওপারে যাই। এ বিড়ম্বনা শেষ হবে কবে জানিনা।’

এ বিষয়ে সখীপুর উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী কাজী ফাহাদ কুদ্দুছ বলেন, সাঁকোর পূর্বপাশে সখীপুর অংশের দেড় কিলোমিটার সড়ক পাকাকরণের একটি প্রকল্প উর্ধ্বতন অফিসে পাঠানো হয়েছে। এদিকে বাসাইল উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী রোজদিদ আহমেদ জানান, বিষয়টি আলোচনাধীন আছে আশা করছি খুব দ্রুতই কাজটি বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর