পদত্যাগ করলেন রাবির সেই প্রাধ্যক্ষ

হাওর বার্তা ডেস্কঃ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মতিহার হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মু আলী আসগর পদত্যাগ করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম আব্দুস সোবহান বরাবর পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন হল প্রাধ্যক্ষ। আজ সোমবার দুপুরে হলের টিভি রুমে এক সংবাদ সম্মেলনে পদত্যাগের বিষয়টি জানান তিনি।

প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আলী আসগর বলেন, প্রক্টর মহোদয়ের অনধিকার চর্চা ও ক্ষমতার অপব্যবহারের ফলে মতিহার হলের ওই কক্ষে আবাসিক ছাত্রকে বিতাড়িত করে অবৈধ শিক্ষার্থী জনি মিয়াকে অবস্থানের ব্যবস্থা করেছেন। যা নৈতিকভাবে মেনে নেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়। সেকারণে মতিহার হলের প্রাধ্যক্ষের পদ থেকে পদত্যাগ করছি।

পদত্যাগ পত্রে অধ্যাপক ড. মু আলী আসগর লিখেছেন, গত ১ ফেব্রুয়ারি আমি ও আবাসিক শিক্ষকরা হলে গিয়ে দেখি হল প্রশাসন কর্তৃক ১২০ নং কক্ষে আবাসিকতা প্রদান করা ছাত্রকে বিতাড়িত করে তার স্থলে শারিরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী জনি মিয়া অবস্থান করছে।

এমবস্থায় হল সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার স্বার্থে হল প্রশাসন ওই দিন বিকেলে অবৈধভাবে অবস্থানকারী জনি মিয়াকে তার জিনিসপত্রসহ মতিহার হল থেকে বের করে দিয়ে হল কর্তৃক ১২০ নং কক্ষে আবাসিক ছাত্রকে তুলে দেওয়া হয়। ওই দিন সন্ধ্যায় প্রক্টর মতিহার হলে আসেন। হল প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া ও তাদের অনুপস্থিতিতে আবাসিক শিক্ষককে বিতাড়িত করে অবৈধভাবে অবস্থানকারী জনি মিয়াকে হলে অবস্থানের ব্যবস্থা করেন। যা নৈতিকভাবে মেনে নেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়।

সংবাদ সম্মেলনে হলের আবাসিক শিক্ষক নুরুজ্জামান, সুবেদ চন্দ্র দেব শর্মা, রাকিবুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে প্রক্টরের বিরুদ্ধে প্রাধ্যক্ষের অভিযোগ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান বলেন, আমি ওই ছেলেকে হলে তুলে দেয়নি। ওইদিন প্রাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় শৃঙ্খলার স্বার্থে প্রাধ্যক্ষের সাথে একাধিকাবার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেছি। তিনি ফোন রিসিভ করেননি। পরে আমি ঘটনাস্থল ত্যাগ করি। ছেলেকে হলে তুলে দেওয়ার সাথে আমার সম্পৃক্ততা নেই। এধরনের মিথ্যা অভিযোগের প্রতিবাদে এবং সেদিনের ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর জন্য আজ বিকেল ৪ টায় সংবাদ সম্মেলন করব। সেখানে সব কিছু জানতে পারবেন।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর