ঢাকা ০৬:৪৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এই শীতে হাওরের বুকে ঘুরে আসতে পারেন একদিন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:৪৭:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৯
  • ৩৫৬ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ যান্ত্রিক এ নগর জীবনে কাজের চাপে মাঝে মাঝে নিজেকে অসহায় মনে হয়। তখন মন চাই মুক্তি পেতে। এ অবস্থা থেকে মুক্তি ও শীতের আমেজটাকে একটু অন্যভাবে রাঙিয়ে তুলতে ঘুরে আসতে পারেন আপনি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি সিলেট থেকে।

পর্যটনে ৩৬০ আউলিয়ার পুণ্যভূমি সিলেটের খ্যাতি কিন্তু বিশ্বজোড়া। এ অঞ্চলেই অবস্থিত এশিয়ার বৃহত্তম একক হাওর হাকালুকি। ঋতুর পালাবদলে বাংলাদেশের প্রকৃতি যেমন রং বদলায়, তেমনি বদলায় হাকালুকির রূপ। বর্ষায় সমুদ্র দর্শনের আনন্দ যেমন দারুন উপভোগ্য, তেমনি শীতেও এই হাওরের রূপ পর্যটকদের মন ভরিয়ে দেয়। এ সময়টাতে নানা ফসলে যেমন হাওরের বুক ভরে উঠে,  তেমনি বিভিন্ন বিলে মাছ ধরার দৃশ্যও কিন্তু কম উপভোগ্য নয়।  তবে শীতের হাকালুকির প্রধান আকর্ষণ অতিথি পাখি। জীবন বাঁচাতে হিমালয়-সাইবেরিয়ার বরফ অঞ্চল থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখি এসে ভিড় করে এই হাওরের বিলগুলোতে। তাদের কিচিরমিচিরে ভিন্নমাত্রা যোগ হয়, বাড়ে পর্যটক ও পাখি প্রেমিদের পদচারণা।

আয়তন ও অবস্থান

১৮ হাজার ১১৫ হেক্টর আয়তনের হাকালুকি হাওরের অবস্থান সিলেট বিভাগের দুটি জেলার ছযটি উপজেলাজুড়ে। সিলেটের গোলাপগঞ্জ, বিয়ানীবাজার ও ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় ক্ষুদ্রতম অংশ। বৃহত্তম অংশটি মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা কুলাউড়া ও জুড়ি উপজেলায় বিস্তৃত। তবে এককভাবে বড়লেখা উপজেলায় পড়েছে হাকালুকির প্রায় ৪০ ভাগ। এই হাওরে আছে ২৩৮ টির মতো ছোটবড় বিল। হাওরখাল, চাতলা, ডুলা, পিংলারকোণা, ফুটি, তুরাল, তেকুনি, পাওল, বালিজুড়ি, কুকুরডুবি, বিরাই, দুধাল, মায়াজুরি, মুছনা ও লাম্বা বিল হাকালুকির বিখ্যাত কয়েকটি বিলের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি। আর এর বুক চিরে প্রবাহিত হয়েছে পাঁচটি ছোট নদী। এগুলো অনেকটা বড়সড়ো খালের মতো, তবে খরস্রোতা। নামগুলোও খুব আকর্ষণীয়। যেমন, জুড়ি, কন্টিনালা, ফানাই, আন ফানাই ও বরুদল বা শুনাই।

যা দেখবেন

বর্ষায় চারদিকে থইথই পানি আর সাগরের উত্তাল ঢেউ দেখা গেলেও শীতের হাকালুকি কিন্তু আরও বৈচিত্র্যপূর্ণ। হাওরের একেবারে গভীর বিলগুলোতে পাবেন অতিথি পাখির দেখা। হিমালয় আর সাইবেরিয়ার ঠাণ্ডায় জমে যাওয়া থেকে বাঁচতে তারা উড়ে আসে এশিয়ার এই বাংলায়। আশ্রয় নেয় বিভিন্ন হাওর বা জলাশয়ে। হাকালুকির ছোটবড় অনেক বিলে তাদের দেখা পাওয়া গেলেও বড়বিল হিসেবে পরিচিত ‘হাওরখালে’ই আনাগোনা বেশি। শীতে দুপুরের পর থেকে বিকেল পর্যন্ত এই বিল অতিথি পাখিদের কিচিরমিচিরে মুখরিত থাকে। এ সময়টাতে তাদের জলকেলি দেখা যায় একেবারে কাছে থেকেই। হাকালুকিতে প্রায় ১১২ প্রজাতির অতিথি পাখির দেখা এক সময় পাওয়া গেলেও পর্যটক ও পাখি প্রেমিদের জন্য দুঃসংবাদ,  প্রজাতি ও সংখ্যা দুটোই কিন্তু কমছে। এখনো যেসব পাখি দেখা যায়,  সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য, রাজসরালি, বালিহাঁস, ভূতিহাঁস, পানকৌড়ি, ল্যাঞ্জাহাঁস, গুটিঈগল ইত্যাদি।

তা ছাড়া বিভিন্ন বিলে মাছ ধরার দৃশ্যও উপভোগ করা যায়। চাইলে সুলভে নানা জাতের মাছ এখান থেকে ব্যাগে ভরে নেওয়াও যায়। বাংলাদেশে এখন প্রায় দুর্লভ প্রজাতিতে পরিণত হওয়া রানী মাছ কিন্তু হাকালুকির মিঠা পানিতে এখনো পাওয়া যাচ্ছে। এই হাওরে ১০৭ প্রজাতির মাছ পাওয়া যায়। তারমধ্যে বোয়াল, পাবদা, রুই, চিতল, বাউশ, মৃগেল, আইড়, বাইম ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এ ক্ষেত্রেও দুঃসংবাদ আছে। ৩২ প্রজাতির মাছ প্রায় বিপন্ন। পাখি বিল আর মাছ ছাড়াও বিশাল হাওরের বুকে বুরো ধানের সবুজ ভেদ করে কোথাও কোথাও উঁকি দেয় সাদা বক। শিকারের নেশায় তারা যখন লম্বা পদক্ষেপে ছুটতে ছুটতে হঠাৎ আকাশে ডানা মেলে, তখন আপনার উদাসী মনও ভেদ করে বেরিয়ে আসতে পারে ‘ও আমার উড়াল পঙ্খীরে।’

বোরো ছাড়াও শীতকালীন সবজি হয় প্রচুর। এ ছাড়া সরিষা, তিল, তিশি ইত্যাদি তৈলজাত শষ্যের ক্ষেতে হলুদ সাদা সবুজেও মুগ্ধ হবেন যেকেউ। এ ছাড়া হাঁসের খামার, গরু-মহিষের বাথানও দেখতে পারেন। কোনো কোনো বাথানে উৎপাদন হয় দুধ। চাইলেই সুলভে খেতে পারেন গরু বা মহিষের একদম টাটকা দুধ। কপাল ভালো হলে পেতে পারেন ফ্রি। বাথান মালিকরা খুবই অতিথি পরায়ণ।

যেভাবে যাবেন

ঢাকার কমলাপুর ও ক্যান্টনমেন্ট রেলস্টেশন থেকে প্রতিদিন তিনটি ট্রেন ছাড়ে সিলেটের উদ্দেশে। ভাড়া ৩০০ থেকে ৭০০ টাকা। সিলেটের আগের স্টেশন মাইজগাঁও নেমে সেখান থেকে মাত্র সাত কিলোমিটার ঘিলাছড়া জিরো পয়েন্ট। সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ভাড়া নেবে ১০০ থেকে দেড়শ টাকা। এ ছাড়া বাসে ৩০০ থেকে ৮০০ টাকায় যেতে পারেন সিলেটের কদমদলী এলাকায়। সেখান থেকে ফেঞ্চুগঞ্জে যাত্রীবাহী বাসে ভাড়া নেয় ৩০ টাকা, সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। আর ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ১০০ থেকে দেড়শ’ টাকা রিজার্ভে যেতে পারেন ঘিলাছড়া জিরো পয়েন্টে। প্রবেশ করতে পারেন হাওরে। শীতে হাওরের বুকে হাঁটতে হাঁটতে যেতে পারেন গভীর হাওরে। ছোট নদীর বুক দিয়ে চলে ছোট ছোট ইঞ্জিনচালিত নৌকা। তবে এগুলোতে যেমন সময় বেশি লাগে তেমনি খরচও বেশি।

যেখানে থাকবেন

হাওরে থাকতে হলে বিলের ইজারাদের খুপড়িঘরে কম খরচে থাকতে পারেন। তবে নিজস্ব তাঁবু খাটিয়েও থাকা যায়। হাওরে জোসনা রাতও কিন্তু দারুণ উপভোগ্য। আর সিলেট মহানগরীর জিন্দাবাজার, বন্দরবাজার, মিরাবাজার দরগাগেইট আম্বরখানা এলাকায় বিভিন্ন মানের আবাসিক হোটেল আছে। এসব হোটেলে থাকতে জনপ্রতি খরচ পড়বে ২০০ থেকে৬০০ টাকা। এ ছাড়া সিলেটে বেশ কিছু অভিজাত আবাসিক হোটেল আছে।

সূত্র- এনটিভি

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

এই শীতে হাওরের বুকে ঘুরে আসতে পারেন একদিন

আপডেট টাইম : ১২:৪৭:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ যান্ত্রিক এ নগর জীবনে কাজের চাপে মাঝে মাঝে নিজেকে অসহায় মনে হয়। তখন মন চাই মুক্তি পেতে। এ অবস্থা থেকে মুক্তি ও শীতের আমেজটাকে একটু অন্যভাবে রাঙিয়ে তুলতে ঘুরে আসতে পারেন আপনি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি সিলেট থেকে।

পর্যটনে ৩৬০ আউলিয়ার পুণ্যভূমি সিলেটের খ্যাতি কিন্তু বিশ্বজোড়া। এ অঞ্চলেই অবস্থিত এশিয়ার বৃহত্তম একক হাওর হাকালুকি। ঋতুর পালাবদলে বাংলাদেশের প্রকৃতি যেমন রং বদলায়, তেমনি বদলায় হাকালুকির রূপ। বর্ষায় সমুদ্র দর্শনের আনন্দ যেমন দারুন উপভোগ্য, তেমনি শীতেও এই হাওরের রূপ পর্যটকদের মন ভরিয়ে দেয়। এ সময়টাতে নানা ফসলে যেমন হাওরের বুক ভরে উঠে,  তেমনি বিভিন্ন বিলে মাছ ধরার দৃশ্যও কিন্তু কম উপভোগ্য নয়।  তবে শীতের হাকালুকির প্রধান আকর্ষণ অতিথি পাখি। জীবন বাঁচাতে হিমালয়-সাইবেরিয়ার বরফ অঞ্চল থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখি এসে ভিড় করে এই হাওরের বিলগুলোতে। তাদের কিচিরমিচিরে ভিন্নমাত্রা যোগ হয়, বাড়ে পর্যটক ও পাখি প্রেমিদের পদচারণা।

আয়তন ও অবস্থান

১৮ হাজার ১১৫ হেক্টর আয়তনের হাকালুকি হাওরের অবস্থান সিলেট বিভাগের দুটি জেলার ছযটি উপজেলাজুড়ে। সিলেটের গোলাপগঞ্জ, বিয়ানীবাজার ও ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় ক্ষুদ্রতম অংশ। বৃহত্তম অংশটি মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা কুলাউড়া ও জুড়ি উপজেলায় বিস্তৃত। তবে এককভাবে বড়লেখা উপজেলায় পড়েছে হাকালুকির প্রায় ৪০ ভাগ। এই হাওরে আছে ২৩৮ টির মতো ছোটবড় বিল। হাওরখাল, চাতলা, ডুলা, পিংলারকোণা, ফুটি, তুরাল, তেকুনি, পাওল, বালিজুড়ি, কুকুরডুবি, বিরাই, দুধাল, মায়াজুরি, মুছনা ও লাম্বা বিল হাকালুকির বিখ্যাত কয়েকটি বিলের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি। আর এর বুক চিরে প্রবাহিত হয়েছে পাঁচটি ছোট নদী। এগুলো অনেকটা বড়সড়ো খালের মতো, তবে খরস্রোতা। নামগুলোও খুব আকর্ষণীয়। যেমন, জুড়ি, কন্টিনালা, ফানাই, আন ফানাই ও বরুদল বা শুনাই।

যা দেখবেন

বর্ষায় চারদিকে থইথই পানি আর সাগরের উত্তাল ঢেউ দেখা গেলেও শীতের হাকালুকি কিন্তু আরও বৈচিত্র্যপূর্ণ। হাওরের একেবারে গভীর বিলগুলোতে পাবেন অতিথি পাখির দেখা। হিমালয় আর সাইবেরিয়ার ঠাণ্ডায় জমে যাওয়া থেকে বাঁচতে তারা উড়ে আসে এশিয়ার এই বাংলায়। আশ্রয় নেয় বিভিন্ন হাওর বা জলাশয়ে। হাকালুকির ছোটবড় অনেক বিলে তাদের দেখা পাওয়া গেলেও বড়বিল হিসেবে পরিচিত ‘হাওরখালে’ই আনাগোনা বেশি। শীতে দুপুরের পর থেকে বিকেল পর্যন্ত এই বিল অতিথি পাখিদের কিচিরমিচিরে মুখরিত থাকে। এ সময়টাতে তাদের জলকেলি দেখা যায় একেবারে কাছে থেকেই। হাকালুকিতে প্রায় ১১২ প্রজাতির অতিথি পাখির দেখা এক সময় পাওয়া গেলেও পর্যটক ও পাখি প্রেমিদের জন্য দুঃসংবাদ,  প্রজাতি ও সংখ্যা দুটোই কিন্তু কমছে। এখনো যেসব পাখি দেখা যায়,  সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য, রাজসরালি, বালিহাঁস, ভূতিহাঁস, পানকৌড়ি, ল্যাঞ্জাহাঁস, গুটিঈগল ইত্যাদি।

তা ছাড়া বিভিন্ন বিলে মাছ ধরার দৃশ্যও উপভোগ করা যায়। চাইলে সুলভে নানা জাতের মাছ এখান থেকে ব্যাগে ভরে নেওয়াও যায়। বাংলাদেশে এখন প্রায় দুর্লভ প্রজাতিতে পরিণত হওয়া রানী মাছ কিন্তু হাকালুকির মিঠা পানিতে এখনো পাওয়া যাচ্ছে। এই হাওরে ১০৭ প্রজাতির মাছ পাওয়া যায়। তারমধ্যে বোয়াল, পাবদা, রুই, চিতল, বাউশ, মৃগেল, আইড়, বাইম ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এ ক্ষেত্রেও দুঃসংবাদ আছে। ৩২ প্রজাতির মাছ প্রায় বিপন্ন। পাখি বিল আর মাছ ছাড়াও বিশাল হাওরের বুকে বুরো ধানের সবুজ ভেদ করে কোথাও কোথাও উঁকি দেয় সাদা বক। শিকারের নেশায় তারা যখন লম্বা পদক্ষেপে ছুটতে ছুটতে হঠাৎ আকাশে ডানা মেলে, তখন আপনার উদাসী মনও ভেদ করে বেরিয়ে আসতে পারে ‘ও আমার উড়াল পঙ্খীরে।’

বোরো ছাড়াও শীতকালীন সবজি হয় প্রচুর। এ ছাড়া সরিষা, তিল, তিশি ইত্যাদি তৈলজাত শষ্যের ক্ষেতে হলুদ সাদা সবুজেও মুগ্ধ হবেন যেকেউ। এ ছাড়া হাঁসের খামার, গরু-মহিষের বাথানও দেখতে পারেন। কোনো কোনো বাথানে উৎপাদন হয় দুধ। চাইলেই সুলভে খেতে পারেন গরু বা মহিষের একদম টাটকা দুধ। কপাল ভালো হলে পেতে পারেন ফ্রি। বাথান মালিকরা খুবই অতিথি পরায়ণ।

যেভাবে যাবেন

ঢাকার কমলাপুর ও ক্যান্টনমেন্ট রেলস্টেশন থেকে প্রতিদিন তিনটি ট্রেন ছাড়ে সিলেটের উদ্দেশে। ভাড়া ৩০০ থেকে ৭০০ টাকা। সিলেটের আগের স্টেশন মাইজগাঁও নেমে সেখান থেকে মাত্র সাত কিলোমিটার ঘিলাছড়া জিরো পয়েন্ট। সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ভাড়া নেবে ১০০ থেকে দেড়শ টাকা। এ ছাড়া বাসে ৩০০ থেকে ৮০০ টাকায় যেতে পারেন সিলেটের কদমদলী এলাকায়। সেখান থেকে ফেঞ্চুগঞ্জে যাত্রীবাহী বাসে ভাড়া নেয় ৩০ টাকা, সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। আর ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ১০০ থেকে দেড়শ’ টাকা রিজার্ভে যেতে পারেন ঘিলাছড়া জিরো পয়েন্টে। প্রবেশ করতে পারেন হাওরে। শীতে হাওরের বুকে হাঁটতে হাঁটতে যেতে পারেন গভীর হাওরে। ছোট নদীর বুক দিয়ে চলে ছোট ছোট ইঞ্জিনচালিত নৌকা। তবে এগুলোতে যেমন সময় বেশি লাগে তেমনি খরচও বেশি।

যেখানে থাকবেন

হাওরে থাকতে হলে বিলের ইজারাদের খুপড়িঘরে কম খরচে থাকতে পারেন। তবে নিজস্ব তাঁবু খাটিয়েও থাকা যায়। হাওরে জোসনা রাতও কিন্তু দারুণ উপভোগ্য। আর সিলেট মহানগরীর জিন্দাবাজার, বন্দরবাজার, মিরাবাজার দরগাগেইট আম্বরখানা এলাকায় বিভিন্ন মানের আবাসিক হোটেল আছে। এসব হোটেলে থাকতে জনপ্রতি খরচ পড়বে ২০০ থেকে৬০০ টাকা। এ ছাড়া সিলেটে বেশ কিছু অভিজাত আবাসিক হোটেল আছে।

সূত্র- এনটিভি