রাণীশংকৈলে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬ টায় ঐতিহাসিক রাজা টংকনাথের জমিদার বাড়িতে শুরু হয়, দেশের জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদি’র কয়েকটি পর্বের শুটিং ধারণের কাজ। কিছু শর্ট ধারণের পরই রাত ৮ টার দিকে চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র করে শুরু হয় ধস্তাধস্তি এক পর্যায়ে উৎসুক জনতা চেয়ার ভাঙচুর শুরু করেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ হলে পরে হানিফ সংকেত ইত্যাদি’র কার্যক্রম স্থগিত ঘোষনা করেন। তবে বিষয়টি নিয়ে বেশ সরগরম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।
অনেকেই প্রচার করছেন, ইত্যাদিতে হামলা হয়েছে।বিষয়টি নিয়ে শুক্রবার (১১ জানুয়ারি) রাতে মুখ খুলেছেন উপস্থাপক ও পরিচালক হানিফ সংকেত। তিনি জানিয়েছেন ঠাকুরগাঁওয়ে ইত্যাদির শুটিংকে ঘিরে ঠিক কী ঘটেছিল। তিনি জানান, এটি হামলা নয়, বিশৃঙ্খলা মাত্র।
এদিন রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ঘটনার সূত্রপাত নিয়ে হানিফ সংকেত লিখেছেন, ‘ইত্যাদির ঠাকুরগাঁওয়ের ধারণ অনুষ্ঠান নিয়ে কিছু কিছু মিডিয়া এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিছু ব্যক্তির সংবাদ ও মন্তব্য পড়ে কিছুটা অবাকই হয়েছি। ভেবেছিলাম এসবের কোনো জবাব দেব না। কিন্তু এদের মন্তব্য ও সংবাদ দেখে মনে হচ্ছে অনুষ্ঠানস্থলে আমি নয়, বোধ হয় তারাই উপস্থিত ছিলেন। এদের মন্তব্য পড়ে মনে হয় অনুষ্ঠানস্থলে হামলা, মারামারি, ভাংচুর হয়েছে, যে কারণে আমি অনুষ্ঠান বন্ধ করতে বাধ্য হই।
অথচ ঠাকুরগাঁওবাসী এবং উপস্থিত দর্শকরাই জানেন এ ধরণের কোননো ঘটনাই সেখানে ঘটেনি।’
অনুষ্ঠানস্থলে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টির কারণ হিসেবে তিনি জানান, ছয় হাজার দর্শকের বসার ব্যবস্থা করা হলেও সন্ধ্যা সাতটার দিকে অনুষ্ঠান শুরু হলে অনুষ্ঠানস্থলের বাইরে প্রায় লক্ষাধিক মানুষ আসে অনুষ্ঠান দেখার জন্য। যার ফলে বিশৃঙ্খলা হয়। এরপরের প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে কিছু সময়ের জন্য অনুষ্ঠান ধারণ স্থগিত করা হয় এবং পরিস্থিতি শান্ত হলে আবার ধারণ শুরু করা হয়। যদিও স্থগিতের কথা শুনে অনেক দর্শকই চলে যান।
পরে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠান ধারণ করা হয়।চেয়ার ছোড়াছুড়ি সম্পর্কে এই উপস্থাপক বলেন, ইত্যাদির ধারণ দেখার জন্য সবাই উন্মুখ হয়ে ছিলেন। কিন্তু স্থানাভাবে দাঁড়াতেও পারছিলেন না। তাই চেয়ার সরিয়ে দাঁড়াবার স্থান করছিলেন। আর সে কারণেই এই চেয়ার ছোড়াছুড়ি। এর ফলে কিছুটা বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। কিন্তু ঘটনাটিকে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে কেউ কেউ মিথ্যে তথ্য দিয়ে এবং রাজনৈতিক রঙ লাগিয়ে বিভিন্নভাবে অপপ্রচারের চেষ্টা করা হচ্ছে। কিছু ‘মতলববাজ’ ব্যক্তি নিরাপদ দূরত্বে থেকে নানান পোস্ট দিয়ে নিজের মতলব হাসিলের চেষ্টাও করছে বলে অভিযোগ করেন হানিফ সংকেত।
নিজের দীর্ঘ স্ট্যাটাসে তিনি জানান, তিনি যেমন কখনই কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হননি, ইত্যাদিও তেমনি সবসময়ই থেকেছে রাজনীতিমুক্ত।