টাঙ্গাইলে পতাকার রঙে সেজেছে ১৫৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

হাওর বার্তা ডেস্কঃ টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলায় জাতীয় পতাকার (লাল-সবুজ) রঙে সেজেছে ১৫৭টি বিদ্যালয় ভবন। দৃষ্টিনন্দন বিদ্যালয়গুলো এখন হয়ে উঠেছে একেকটি ক্ষুদ্র বাংলাদেশ। বিজয়ের মাস ডিসেম্বর উপলক্ষে জাতীয় পতাকার রঙ আর রূপে সজ্জিত ১৫৭টি বিদ্যালয় ভবন শিশুদের উপহারস্বরূপ দিয়েছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সর্বমোট ১৬১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১৫৭টি বিদ্যালয় ভবনকে জাতীয় পতাকার রঙে সজ্জিত করা হয়েছে। বাকি চারটি বিদ্যালয়ের ভবন পরিত্যক্ত হওয়ার কারণে নতুন ভবন নির্মাণ শেষে একই রূপে সজ্জিত করা হবে।

শিশুদের স্কুলগামী করা, ঝরে পড়া শিশুদের ফিরিয়ে আনা, জাতীয় পতাকা ও জাতীয় সংগীতের প্রতি শ্রদ্ধা এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় হাতেখড়ি শিক্ষা দেয়ার লক্ষ্যে গোপালপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা প্রশাসন মহান বিজয়ের মাস ডিসেম্বর উপলক্ষে ব্যতিক্রমধর্মী এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন করেছে। ব্যতিক্রমী এ উদ্যোগ বাস্তবায়নের ফলে জাতীয় পতাকার লাল-সবুজ রঙ আর বৈচিত্র্যে সেজেছে উপজেলার ১৫৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন। পেশাদার শিল্পীদের দিয়ে ভবনগুলো অংকন করায় একেকটি স্কুল দেখলেই মনে হয় যেন, একেকটি লাল-সবুজের ক্ষুদ্র বাংলাদেশ। একইভাবে বেশ কিছু বিদ্যালয়ের ভেতরের দেয়ালও মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন চিত্রে সাজানো হয়েছে।

নয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আনজু আনোয়ারা ময়না বলেন, এটি একটি মডেল। এখন আর কাউকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় খুঁজতে হবে না। লাল-সবুজ পতাকায় মোড়ানো ভবন মানেই এখন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এমন রূপে সাজানোর ফলে বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণিতে পড়া শিশু সহজে জাতীয় পতাকার রঙ জানতে পারবে। লাল-সবুজ রঙয়ের বিশেষত্ব সম্পর্কে অবগত হয়ে শহীদদের ত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবে শিশুরা।

এ বিষয়ে গোপালপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম রুমি বলেন, উপজেলার বিত্তবান, অভিভাবক ও শিক্ষকদের আর্থিক সহায়তায় বিদ্যালয়গুলো শিশুদের জন্য সেকেন্ড হোম করার ভাবনা থেকে ‘এক্সিলেন্ট স্কুল’ নামে ব্যতিক্রমী উদ্যোগে জাতীয় পতাকার রঙে সজ্জিত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, উপজেলার ১৫৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ২৭ হাজার শিশু লেখাপড়া করে। এসব শিশুকে মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ শেখানোর পাশাপাশি প্রত্যেকটি বিদ্যালয়কে শিশুদের জন্য সেকেন্ড হোমের ভাবনা থেকে এ উদ্যোগ নেয়া হয়। এর সাফল্য হিসেবে ইতোমধ্যে বিদ্যালয়গুলোতে লক্ষণীয় হয়ে উঠেছে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি এবং বেড়েছে ভর্তির হারও।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর