হাওর বার্তা ডেস্কঃ একাদশ সংসদ নির্বাচনের আর ১৮ দিন বাকি। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে ভোট-উৎসবের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা। সোমবার (১০ ডিসেম্বর) প্রতীক বরাদ্দ হওয়ায় প্রার্থীরা নিজ নিজ এলাকায় ভোটারদের কাছে ছুটে চলেছেন। কিন্তু তার মাঝে প্রতিবন্ধকতার অভিযোগও করছেন চূড়ান্তভাবে মনোনয়ন পাওয়া বিরোধীদলের অনেক প্রার্থী।
এবার ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে হচ্ছে জাতীয় নির্বাচন। বিরোধীদলের নেতাদের অভিযোগ, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেইং ফিল্ড নেই। হামলা মামলা আতঙ্ক, নিরাপত্তা শঙ্কায় এখনও বিরোধীদলের চুড়ান্ত প্রার্থীরা। নিজ নির্বাচনী এলাকায় ফিরতে পারেননি এমন অভিযোগও করছেন বিএনপি-ঐক্যফ্রন্টের কেন্দ্রীয় নেতারা।
মঙ্গলবার (১১ ডিসেম্বর) কিশোরগঞ্জ শহরে সরেজমিনে ঘুরে স্থানীয় ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সোমবার প্রতীক বরাদ্দের পর পর আওয়ামী লীগ ও মহাজোটের প্রার্থীরা এলাকায় প্রচারণা চালাচ্ছেন। এছাড়াও এর আগ থেকেই এলাকায় শক্তভাবে অবস্থান করছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী-সমর্থকেরা।
অন্যদিকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা কেউ এখনও এলাকায় ফিরতে পারেননি। আবার কেউবা দৌড়াচ্ছেন আদালতের বারান্দায়। নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে ভোটারদের মনে শঙ্কা তৈরি হচ্ছে যে, বিরোধীদলের প্রার্থীরা আদৌ তাদের কাঙ্খিত লেভেল প্লেইং ফিল্ড পাবেন কিনা।
কুলিয়াচর-৬ আসনে বিএনপি-ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী শরিফুল আলমের সমর্থক সাইফুল ইসলাম বাবুল বলেন, ‘ঐক্যফন্টের প্রার্থী শরিফুল আলম এখনও এলাকায় ফিরতে পারেননি। এর আগে একাধিক বার আওয়ামী লীগের প্রার্থী কর্তৃক আমাদের নেতাকর্মীদের হামলার শিকার হতে হয়েছে। এছাড়াও বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর, উঠান বৈঠকে হামলা চালিয়েছে সরকার দলীয় সমর্থকরা।’
শরিফুলের সমর্থকরা জানান, মঙ্গলবার তাদের প্রার্থী শরিফুল আলমের আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারণায় নামার কথা থাকলেও তিনি নেতাকর্মীদের জামিন নিতে আদালতের বারান্দায় দৌঁড়াচ্ছেন। এছাড়া জামিন নিতে গেলে বিএনপি-ছাত্রদল-যুবদলের সাত নেতাকে কারাগারে প্রেরণ করেছেন্ কিশোরগঞ্জ জেলা আদালত।
কূলিয়াচরের বেতিয়ারকান্দি এলাকার নারী ভোটার মুসলিমা আক্তার সাংবাদিককে বলেন, ‘আমাদের গ্রামে কোনো প্রার্থী আসেননি। দলের অনেকে এসে ভোট চেয়েছে। দেখে শুনে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেবো।’
এদিকে সোমবার ভৈরব পৌর এলাকায় আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকার প্রার্থী নাজমুল হাসান পাপন গণসংযোগ করেছেন বলে জানান আওয়ামী লীগের এক কর্মী। পাপনের সমর্থকরা বলছেন, পাপন কুলিয়ারচর ও ভৈরব এলাকার উন্নয়নে অনেক কাজ করেছেন। কিশোরগঞ্জ-৬ আসনে তাকে এমপি দেখতে চান তারা।
সূত্রঃ বার্তা২৪