ঢাকা ১১:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আগামীকাল ৭ ডিসেম্বর মাগুরা মুক্ত দিবস

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:৩৪:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০১৮
  • ৩২৯ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মাগুরা মুক্ত দিবস আগামীকাল ৭ ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালের এ দিনে মহান মুক্তিযুদ্ধে পাক হানাদার মুক্ত হয় মাগুরা। এ সময় পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে তৎকালিন মাগুরা মহাকুমায় ব্যাপক প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদ অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। এ সময় মাগুরায় আকবর হোসেন মিয়ার নেতৃত্বাধীন শ্রীপুর বাহিনী, মহম্মদপুরের ইয়াকুব বাহিনী, মহম্মদপুর-ফরিদপুর অঞ্চলের মাশরুরুল হক সিদ্দিকী কমল বাহিনী, মাগুরা শহরের খন্দকার মাজেদ বাহিনী এবং মুজিব বাহিনীসহ মুক্তিযোদ্ধারা ব্যাপক সাহসী ভূমিকা নিয়ে পাক সেনা ও স্থানীয় রাজাকার আল বদর বাহিনীর সাথে প্রাণপণ যুদ্ধ করে।

এ সময় শ্রীপুর বাহিনীর রনাঙ্গণে একের পর এক বিরোচিত অভিযান-পাক হানাদার বাহিনীকে তটস্থ করে তোলে। শ্রীপুরের শ্রীকোল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ আকবর হোসেন মিয়ার নেতৃত্বে গড়ে ওঠা এ বাহিনী মূলত মাগুরা, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, রাজবাড়ী, ফরিদপুরের বিভিন্ন এলাকাজুড়ে পাক হানাদার বাহিনী ও রাজাকার আলবদরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে থাকে।

এ গেরিলা বাহিনীর ব্যাপক আক্রমণের মুখে পাক বাহিনী পিছু হটতে শুরু করে। ওই সময় ৬ ডিসেম্বর মুক্তি বাহিনী নিজনান্দুয়ালী গ্রামসহ বিভিন্ন পাকিস্তানী ক্যাম্পে আক্রমণ চালায়। একই সাথে মিত্রবাহিনীর আগ্রাসনের ভয়ে পাকিস্তানী সেনারা রাতারাতি মাগুরা শহর ত্যাগ করতে বাধ্য হয়। এর পরদিন ৭ডিসেম্বর মাগুরা শত্রুমুক্ত হয়। হানাদার মুক্ত হওয়ার আনন্দে মুক্তিকামি মানুষের ঢল নামে সারা শহরে। জয় বাংলা স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে গোটা মাগুরা এলাকা।

মাগুরামুক্ত দিবস পালন উপলক্ষে মাগুরা জেলা প্রশাসন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোঃ আলী আকবর বুধবার সন্ধ্যায় সংবাদিকদের সাথে মত বিনিময় করেন। এ সময় তিনি জানান, ৭ ডিসেম্বর মাগুরা মুক্ত দিবস যথাযথ মর্যাদায় পালন উপলক্ষে জেলার সর্বস্তরের মানুষকে সাথে নিয়ে সকাল সাড়ে ৯টায় টায় শহরের নোমানী ময়দানে অবস্থিত আছাদুজ্জামান মিলনায়তন চত্বর থেকে বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হবে।

র‌্যালি শেষে একই স্থানে আলোচনা সভা ও সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় শহরের বিভিন্ন এলাকায় মোমবাতি প্রজ্জলন শেষে বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন ও ঢাকা থেকে আগত শিল্পীরা নোমানী ময়দানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আগামীকাল ৭ ডিসেম্বর মাগুরা মুক্ত দিবস

আপডেট টাইম : ০৫:৩৪:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মাগুরা মুক্ত দিবস আগামীকাল ৭ ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালের এ দিনে মহান মুক্তিযুদ্ধে পাক হানাদার মুক্ত হয় মাগুরা। এ সময় পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে তৎকালিন মাগুরা মহাকুমায় ব্যাপক প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদ অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। এ সময় মাগুরায় আকবর হোসেন মিয়ার নেতৃত্বাধীন শ্রীপুর বাহিনী, মহম্মদপুরের ইয়াকুব বাহিনী, মহম্মদপুর-ফরিদপুর অঞ্চলের মাশরুরুল হক সিদ্দিকী কমল বাহিনী, মাগুরা শহরের খন্দকার মাজেদ বাহিনী এবং মুজিব বাহিনীসহ মুক্তিযোদ্ধারা ব্যাপক সাহসী ভূমিকা নিয়ে পাক সেনা ও স্থানীয় রাজাকার আল বদর বাহিনীর সাথে প্রাণপণ যুদ্ধ করে।

এ সময় শ্রীপুর বাহিনীর রনাঙ্গণে একের পর এক বিরোচিত অভিযান-পাক হানাদার বাহিনীকে তটস্থ করে তোলে। শ্রীপুরের শ্রীকোল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ আকবর হোসেন মিয়ার নেতৃত্বে গড়ে ওঠা এ বাহিনী মূলত মাগুরা, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, রাজবাড়ী, ফরিদপুরের বিভিন্ন এলাকাজুড়ে পাক হানাদার বাহিনী ও রাজাকার আলবদরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে থাকে।

এ গেরিলা বাহিনীর ব্যাপক আক্রমণের মুখে পাক বাহিনী পিছু হটতে শুরু করে। ওই সময় ৬ ডিসেম্বর মুক্তি বাহিনী নিজনান্দুয়ালী গ্রামসহ বিভিন্ন পাকিস্তানী ক্যাম্পে আক্রমণ চালায়। একই সাথে মিত্রবাহিনীর আগ্রাসনের ভয়ে পাকিস্তানী সেনারা রাতারাতি মাগুরা শহর ত্যাগ করতে বাধ্য হয়। এর পরদিন ৭ডিসেম্বর মাগুরা শত্রুমুক্ত হয়। হানাদার মুক্ত হওয়ার আনন্দে মুক্তিকামি মানুষের ঢল নামে সারা শহরে। জয় বাংলা স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে গোটা মাগুরা এলাকা।

মাগুরামুক্ত দিবস পালন উপলক্ষে মাগুরা জেলা প্রশাসন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোঃ আলী আকবর বুধবার সন্ধ্যায় সংবাদিকদের সাথে মত বিনিময় করেন। এ সময় তিনি জানান, ৭ ডিসেম্বর মাগুরা মুক্ত দিবস যথাযথ মর্যাদায় পালন উপলক্ষে জেলার সর্বস্তরের মানুষকে সাথে নিয়ে সকাল সাড়ে ৯টায় টায় শহরের নোমানী ময়দানে অবস্থিত আছাদুজ্জামান মিলনায়তন চত্বর থেকে বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হবে।

র‌্যালি শেষে একই স্থানে আলোচনা সভা ও সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় শহরের বিভিন্ন এলাকায় মোমবাতি প্রজ্জলন শেষে বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন ও ঢাকা থেকে আগত শিল্পীরা নোমানী ময়দানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেবে।