সড়কে দুই ভাঙনের ফলে ৭ গ্রামের মানুষের ভোগান্তি চরমে

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সদর উপজেলার গৌরারং ও সুরমা ইউনিয়নের অলির বাজার-সোনাপুর সড়কে দুই ভাঙনের ফলে ৭ গ্রামের মানুষের ভোগান্তি চরমে। সড়ক উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদ্যোগ নেই বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। স্থানীয়রা এই সড়কের দ্রুত সংস্কারের দাবি জানান।

এলাকাবাসী জানান, এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন শিক্ষক, চাকুরিজীবী, ব্যবসায়ী, রোগী, স্থানীয় সোনাপুর বেদেপল্লী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, সাক্তারপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও সদরগড় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ ৩টি মাদ্রাসার শিক্ষার্থী এবং শহরের বিভিন্ন হাইস্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করেন। এছাড়াও বাহাদুরপুর, সোনাপুর, ভাদেরটেক, সাক্তারপাড়া, বালিচরাহাটী, গোবিন্দপুর, চানপুর গ্রামের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ এই সড়ক দিয়ে চলাচল করে থাকেন। সামান্য বৃষ্টিতে এই সড়কে চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। বর্ষায় সড়কের দুই ভাঙন নৌকায় পারাপার হন এলাকার মানুষ। এতে মারাত্মক ভোগান্তির শিকার হতে হয় তাদের। এই শুকনা মওসুমে সড়কের দুই ভাঙন সংস্কারের দাবি জানান স্থানীয়রা।

কলেজ শিক্ষার্থী সাফিয়া আক্তার বলেন, ‘সড়কে ভাঙন থাকায় বর্ষায় কলেজে যেতে আমাদের মারাত্মক কষ্ট হয়। এই ভাঙনের সংস্কার কাজ জরুরি প্রয়োজন।’

হাইস্কুলের শিক্ষার্থী আব্দুর আওয়াল বলেন, ‘এই সড়কটি খুবই অবহেলিত। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা দপ্তর এই সড়ক সংস্কারে উদ্যোগ না নেওয়ায় দিনে দিনে সড়কটির ভাঙন ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।’

স্থানীয় বাসিন্দা তানভীর আহমদ তাছলিম বলেন, ‘প্রায় ১০ গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র সড়ক সোনাপুর-বাহাদুরপুর ও অলির বাজার সড়ক। এটার সংস্কার জরুরি প্রয়োজন।’

স্থানীয় ইউপি সদস্য মমিন মিয়া বলেন, ‘আমাদের গৌরারং ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে সড়কে মাটি ভরাটের উদ্যোগ নিলেও কাজ হবে কি না তা জানি না। সড়কটি সংস্কার না হলে এবারের বর্ষায় আরও ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে।’

গৌরারং ইউপি চেয়ারম্যান মো. ফুল মিয়া বলেন, ‘সোনাপুর স্কুল থেকে বাহাদুরপুর গ্রাম পর্যন্ত পুন:সংস্কার করার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকে প্রস্তাব দিয়েছি। সড়কটি যদি পুন:সংস্কার হয়, তখন সড়ক ভাঙবে না।’

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবুবকর সিদ্দিক ভুইয়া বলেন, ‘সোনাপুর-বাহাদুরপুর এলাকায় বেরী বাঁধের ভাঙন ভরাট করা যদি জরুরি হয়, তবে ভরাট করা হবে। বাঁধ পুনসংস্কারের বিষয়টি আমাদের লোকজন সরেজমিনে গিয়ে দেখে এসেছে। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর