হাওর বার্তা ডেস্কঃ আবারও রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের দিকে পরোক্ষভাবে অভিযোগ তীর ছুঁড়েছে মিয়ানমার। দেশটির নিরাপত্তা উপদেষ্টা ইউ থাউং তুন জানিয়েছেন, বাংলাদেশের শরণার্থী আশ্রয় শিবিরে বাস করা রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে তারা প্রত্যাবাসনের কোনো আনুষ্ঠানিক আবেদনপত্র পাননি। কারো নাম উল্লেখ না করে তিনি অভিযোগ করেছেন, কেউ চাইছে রোহিঙ্গারা যেন নিজেদের দেশে ফিরতে না পারে।
গত সপ্তাহে টোকিও সফরকালে জাপানি সংবাদমাধ্যম এনএনএকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ অভিযোগ করেছেন। মঙ্গলবার মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম মিয়ানমার টাইমস এই সাক্ষাৎকারের অংশবিশেষ প্রকাশ করেছে।
ইউ থাউং দাবি করেন, মিয়ানমার সরকার ‘একেবারেই সাধারণ একটি ফরমও পায়নি (যেই ফরমটিতে দেখানো হয়েছে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া শরণার্থীরা একসময় মিয়ানমারে বাস করতো)
তিনি জানান, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের এই আবেদনপত্র নেপিডু ঢাকায় পাঠিয়েছিল। এই ফরমে রোহিঙ্গার নাম, মিয়ানমারে তার বাসস্থানের ঠিকানা, ছবি ও স্বাক্ষর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
গত বছরের আগস্টে রোহিঙ্গাদের রাখাইন রাজ্য থেকে বিতাড়নে তাদের বিরুদ্ধে নৃশংষ অভিযানে নামে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। সেনাদের নির্যাতন, হত্যা, লুণ্ঠনের হাত থেকে বাঁচতে প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।
প্রথমদিকে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে নিশ্চুপ থাকলেও পরে আন্তর্জাতিক চাপে তাদের ফিরিয়ে নিতে সম্মত হয় মিয়ানমার। গত বছরের নভেম্বরে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশের সঙ্গে একটি চুক্তি করে মিয়ানমার, যাতে বলা হয়েছে, ‘যারা মিয়ানমারে বাস করার প্রমাণ দেখাতে পারবে কেবল তাদেরকেই ফেরত নেওয়া হবে।’
ইউ থাউং বলেন, ‘তাদেরকে মিয়ানমারের নাগরিক হওয়ার দরকার নেই। আমরা এই ফরমগুলো বিতরণে সম্মত হয়েছিলাম।’
সু চি সরকারের এই মন্ত্রী দাবি করেন, ‘কেউ’ রোহিঙ্গাদের তাদের নিজেদের দেশে ফিরতে বাধা দিচ্ছে। তবে তিনি ওই ‘কেউ’র ব্যাপারে বিস্তারিত কিছুই জানাননি।