জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আওয়ামী সরকারের ১০ মন্ত্রী, দুই উপদেষ্টা, অবসরপ্রাপ্ত এক বিচারপতি ও সাবেক এক সচিবকে আজ সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হবে। এজন্যে সকাল থেকেই ট্রাইব্যুনালের সামনে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চে তাদের হাজির করা হবে। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
যাদের হাজির করা হবে তারা হলেন- সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, ফারুক খান, শাহজাহান খান, কামাল আহমেদ মজুমদার, গোলাম দস্তগীর গাজী, আব্দুর রাজ্জাক, দীপু মনি,জুনায়েদ আহমেদ পলক, শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, তৌফিক-ই-ইলাহী, আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম জানান, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তোলা হবে। অন্য মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে তারা সবাই এখন কারাগারে রয়েছেন।
গত ১৭ অক্টোবর শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়।
পরে গত ২৭ অক্টোবর সাবেক ১০ মন্ত্রীসহ হেভিওয়েট আসামিদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ৫ অগাস্ট দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি দেশ ছাড়ার পর আত্মগোপনে চলে যান দলের নেতাকর্মীরা। পরে একে একে গ্রেপ্তার করা হয় মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, সচিবসহ ঊর্ধ্বতন অনেক কর্মকর্তাকে। তাদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় দায়ের করা হয় পৃথক মামলা।