ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে আছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে তিন সংস্করণেই সিরিজ খেলবে টাইগাররা। সবার আগে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। এই দুই ম্যাচকে সামনে রেখে উইন্ডিজ একাদশের বিপক্ষে দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলছে বাংলাদেশ। যেখানে প্রথম ব্যাট করে ২৫৩ করেছে বাংলাদেশ। জবাব দিতে নেমে ১ উইকেট হারিয়ে ৫ রান তুলে প্রথম দিন শেষ করেছে ক্যারিবিয়ানরা।টপ অর্ডারে বাংলাদেশের ব্যর্থতা একটি নিয়মিত চিত্র। অ্যান্টিগায় উইন্ডিজের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচেও দেখা গেল একই চিত্র। ৩৮ রানের মধ্যেই দুই ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় ও জাকির হাসানকে হারায় বাংলাদেশ। এর মধ্যে জয় ৮ ও জাকির ১৫ রান করেছেন। এরপর ভালোই জুটি গড়েন মুমিনুল হক ও শাহাদাত হোসেন দীপু। তবে এই জুটির মধ্যেই নামে বৃষ্টি। দলকে ৮৫ রান পর্যন্ত নিয়ে যান তারা। ৫৮ বলে ৩১ রান করেন তিনি। ১০১ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। দারুণ ব্যাটিং করতে থাকা মুমিনুল হক নাথান এডওয়ার্ডের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন।
ব্যাটিংয়ে এর পরের অধ্যায় বেশ উজ্জ্বল বাংলাদেশের। পাঁচে নেমে ৫৩ বলে ৩১ রান করে অন্যদের ব্যাটিংয়ের সুযোগ দিতে মাঠ ছাড়েন লিটন দাস। দলে দুই নবাগত জাকের আলী ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনও ব্যাটে ঝলক দেখিয়েছেন। জাকের ১১০ বলে ৪৮ রান করে ও অঙ্কন ৮৭ বলে ৪১ রান করে রিটায়ার্ড আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন। লিটন, মাহিদুল ও জাকেরের ব্যাটিংয়ের একটি উল্লেখযোগ্য সাদৃশ্য হচ্ছে- তিনজনই নিজেদের ইনিংসে ৪টি চার ও একটি ছক্কা হাঁকিয়েছেন।
আটে নেমে ১৯ বলে ১১ রান করে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে ব্যাট হাতে দৃঢ়তা দেখিয়েছিলেন তাইজুল ইসলাম। ওয়েস্ট ইন্ডিজেও একইরকম ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন তিনি। ২৩ বলে ৩ চারে ১৫ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। শেষ দিকে হাসান মাহমুদ-তাসকিন আহমেদরা অবশ্য ব্যাটে রান পাননি। তাতে ২৫৩ রানে থামে বাংলাদেশ।
শেষ বিকেলে বল হাতে নিয়ে তোপ দাগেন হাসান মাহমুদ। প্রথম ওভারেই মেডেন দিয়ে তুলে নেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের নিয়মিত অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েটের উইকেট। পরের ওভারে গতির ঝড় দেখালেও ৫ রান দেন নাহিদ রানা। ১ উইকেট হারিয়ে ৫ রান তুলেই দিন শেষ করে ক্যারিবিয়ানরা।