হিজাব না পরার কারণে ইরানে ধর্মীয় নেতার সঙ্গে তর্কে জড়িয়েছেন এক নারী। তর্কের এক পর্যায়ে ওই নারী ধর্মীয় নেতার পাগড়ি খুলে নিজের মাথায় পরেছেন। এই ঘটনার ভিডিও ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
ইরান ইন্টারন্যাশনালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তেহরানের মেহরাবাদ বিমানবন্দরে ঘটেছে এই ঘটনা। গত রোববার ও সোমবার ব্যাপকভাবে দেশটিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই ঘটনার ভিডিও শেয়ার হয়েছে।
ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, বিমানবন্দরে এক নারী বাধ্যতামূলক হিজাব না পরায় ধর্মীয় এক নেতা (আলেম) তার সঙ্গে তর্কে জড়ান। তখন ওই নারীটি আলেমের পাগড়ি খুলে নিজের মাথায় স্কার্ফের মতো করে পরেন।
ভিডিওতে আরও দেখা যায়, ওই নারী রাগান্বিত হয়ে আলেমের পাগড়ি খুলে নিয়ে বলেন, আপনার এখন সম্মান হয়েছে? এরপর তিনি তার স্বামীকে খুঁজতে গিয়ে চিৎকার করে বলেন, আপনি আমার স্বামীর সঙ্গে কী করেছেন?
তবে এই ঘটনার সঠিক তারিখ ও প্রাথমিক কারণ স্পষ্ট নয় বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) সঙ্গে সম্পৃক্ত সংবাদমাধ্যম মাশরেগ নিউজ দাবি করেছে, এটি হিজাব নিয়ে কোনো ঘটনা নয় এবং ওই নারী ‘মনের সমস্যায় ভুগছেন’।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ওই নারীকে অল্প সময়ের জন্য আটক করা হয়েছিল এবং অভিযোগকারীদের সম্মতিতে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
তবে অনেকেই মাশরেগ নিউজের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই ঘটনাকে শক্তিশালী প্রতিবাদ বলে অভিমত দিয়েছেন। কেউ কেউ একে ‘অসাধারণ প্রতিবাদ’ বলে আখ্যা দিয়েছেন।
ইরানে এমন সময়ে এই ঘটনা ঘটেছে যখন দেশটিতে নারীদের হিজাব পরা নিয়ে নানা ইস্যু চলছে। দেশটির সরকার নারীদের বাধ্যতামূলক হিজাব আইন অমান্যকারীদের দমন জোরদার করেছে। এমনকি বিমানবন্দরসহ জনসমাগমস্থলে কঠোর নজরদারি চালানো হচ্ছে।
দেশটির সরকারি প্রচারণায় ভিন্নমতকে ‘মানসিক রোগ’ হিসেবে চিত্রায়িত করার প্রবণতা রয়েছে।