ঢাকা ১২:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সম্পাদক পরিষদের তথ্যের ঘাটতি আছে : ইনু

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:১১:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ অক্টোবর ২০১৮
  • ৩২৭ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন’ গণমাধ্যমের জন্য করা হয়নি দাবি করে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, “আমরা মনে করি, সম্পাদক পরিষদের তথ্যের ঘাটতি আছে। সম্পাদক পরিষদের সঙ্গে কথা হয়েছিল। তখন বলেছিলাম মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে উত্থাপন করবো। তবে ওমুক মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে আলোচনা করবো এ কথা বলিনি।”

সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘অর্থনীতিতে গ্রামীণ নারীর অবদান’ শীর্ষক আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, “আজ মন্ত্রিপরিষদে এই আইন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী খোলামেলা আলোচনা করেছেন। এরপরও যদি এই আইন নিয়ে কোনো আলোচনা থাকে, তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও মন্ত্রণালয়ের আলোচনা করে দেখবে’- বলেন মন্ত্রী।”

সম্পাদক পরিষদের আপত্তির পরও আলোচিত ধারাগুলো নিয়েই ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন’ পাস ও কার্যকর হয়ে যাওয়ায় ১৩ অক্টোবর জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন ডাকে পরিষদ। সেখানে পরিষদের পক্ষ থেকে বলা হয়, “আইনটি নিয়ে তিন মন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর গণমাধ্যম বিষয়ক উপদেষ্টা প্রকাশ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন-আমাদের উদ্বেগের বিষয়গুলো মন্ত্রিসভায় উত্থাপন করা হবে এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রহণযোগ্য পরিবর্তন, পরিমার্জনের লক্ষ্যে অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপ শুরু করা হবে। কিন্তু আমরা বিস্ময়ের সঙ্গে দেখলাম, এসবের কিছুই করা হল না। সম্পাদক পরিষদকে তিনজন মন্ত্রী যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, আমরা মনের করি, এটি সেই প্রতিশ্রুতির বরখেলাপ।”

এরই জবাবে ইনু বলেন, “আমরা মনে করি, সম্পাদক পরিষদের তথ্যের ঘাটতি আছে। সম্পাদক পরিষদের সঙ্গে কথা হয়েছিলো। তখন বলেছিলাম মন্ত্রিপরিষদে উত্থাপন করবো। তবে ওমুক মন্ত্রিপরিষদে আলোচনা করবো এ কথা বলিনি।”

সোমবার মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে এই আইন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী (শেখ হাসিনা) খোলা-মেলা আলোচনা করেছেন জানিয়ে ইনু বলেন, “প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- এই আইন করা হয়েছে শিশুদের নিরাপত্তার জন্য, সাইবার অপরাধীদের জন্যে, হ্যাকারদের জন্য, ডিজিটাল সমাজের নিরাপত্তার জন্য। কোনো অবস্থায়ই গণমাধ্যমের জন্য করা হয়নি। এই আইনের কোনো জায়গায় গণমাধ্যমের কর্মীদের কথা বলা হয়নি।” তথ্যমন্ত্রী জানান, এরপরও যদি এই আইন নিয়ে কোনো আলোচনা থাকে, তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও মন্ত্রণালয় আলোচনা করে দেখবে।

আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে উইমেন জার্নালিস্ট নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ-ডব্লিউজেএনবি এবং মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন যৌথভাবে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক শাহ আলমগীর, নিউজটোয়েন্টিফোরের প্রধান বার্তা সম্পাদক শাহনাজ মুন্নী প্রমুখ।

সভায় ‘নারী বাদ দিয়ে অর্থনীতি হয় খোড়া, আর গণতন্ত্র হয় পঙ্গু’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “শক্তিশালী অর্থনীতির জন্য পুরুষের পাশাপাশি নারীদের সমান অধিকার দিতে হবে। দেশের অর্থনীতিতে নারীদের অবদান গণনায় আনতে হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

সম্পাদক পরিষদের তথ্যের ঘাটতি আছে : ইনু

আপডেট টাইম : ০৬:১১:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ অক্টোবর ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন’ গণমাধ্যমের জন্য করা হয়নি দাবি করে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, “আমরা মনে করি, সম্পাদক পরিষদের তথ্যের ঘাটতি আছে। সম্পাদক পরিষদের সঙ্গে কথা হয়েছিল। তখন বলেছিলাম মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে উত্থাপন করবো। তবে ওমুক মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে আলোচনা করবো এ কথা বলিনি।”

সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘অর্থনীতিতে গ্রামীণ নারীর অবদান’ শীর্ষক আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, “আজ মন্ত্রিপরিষদে এই আইন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী খোলামেলা আলোচনা করেছেন। এরপরও যদি এই আইন নিয়ে কোনো আলোচনা থাকে, তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও মন্ত্রণালয়ের আলোচনা করে দেখবে’- বলেন মন্ত্রী।”

সম্পাদক পরিষদের আপত্তির পরও আলোচিত ধারাগুলো নিয়েই ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন’ পাস ও কার্যকর হয়ে যাওয়ায় ১৩ অক্টোবর জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন ডাকে পরিষদ। সেখানে পরিষদের পক্ষ থেকে বলা হয়, “আইনটি নিয়ে তিন মন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর গণমাধ্যম বিষয়ক উপদেষ্টা প্রকাশ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন-আমাদের উদ্বেগের বিষয়গুলো মন্ত্রিসভায় উত্থাপন করা হবে এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রহণযোগ্য পরিবর্তন, পরিমার্জনের লক্ষ্যে অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপ শুরু করা হবে। কিন্তু আমরা বিস্ময়ের সঙ্গে দেখলাম, এসবের কিছুই করা হল না। সম্পাদক পরিষদকে তিনজন মন্ত্রী যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, আমরা মনের করি, এটি সেই প্রতিশ্রুতির বরখেলাপ।”

এরই জবাবে ইনু বলেন, “আমরা মনে করি, সম্পাদক পরিষদের তথ্যের ঘাটতি আছে। সম্পাদক পরিষদের সঙ্গে কথা হয়েছিলো। তখন বলেছিলাম মন্ত্রিপরিষদে উত্থাপন করবো। তবে ওমুক মন্ত্রিপরিষদে আলোচনা করবো এ কথা বলিনি।”

সোমবার মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে এই আইন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী (শেখ হাসিনা) খোলা-মেলা আলোচনা করেছেন জানিয়ে ইনু বলেন, “প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- এই আইন করা হয়েছে শিশুদের নিরাপত্তার জন্য, সাইবার অপরাধীদের জন্যে, হ্যাকারদের জন্য, ডিজিটাল সমাজের নিরাপত্তার জন্য। কোনো অবস্থায়ই গণমাধ্যমের জন্য করা হয়নি। এই আইনের কোনো জায়গায় গণমাধ্যমের কর্মীদের কথা বলা হয়নি।” তথ্যমন্ত্রী জানান, এরপরও যদি এই আইন নিয়ে কোনো আলোচনা থাকে, তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও মন্ত্রণালয় আলোচনা করে দেখবে।

আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে উইমেন জার্নালিস্ট নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ-ডব্লিউজেএনবি এবং মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন যৌথভাবে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক শাহ আলমগীর, নিউজটোয়েন্টিফোরের প্রধান বার্তা সম্পাদক শাহনাজ মুন্নী প্রমুখ।

সভায় ‘নারী বাদ দিয়ে অর্থনীতি হয় খোড়া, আর গণতন্ত্র হয় পঙ্গু’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “শক্তিশালী অর্থনীতির জন্য পুরুষের পাশাপাশি নারীদের সমান অধিকার দিতে হবে। দেশের অর্থনীতিতে নারীদের অবদান গণনায় আনতে হবে।