ঢাকা ০৩:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আসলে সেদিন কি ঘটেছিল আকাশ বীণায়

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:৩৩:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮
  • ২৭২ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে নতুন যুক্ত হল বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রীমলাইনার আকাশবীণা। গত ৫ সেপ্টেম্বর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ড্রীমলাইনার আকাশবীণার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এদিকে মাত্র এক সপ্তাহের মাত্রায় বিমানটিতে সমস্যা দেখা দিয়েছে। আর এনিয়ে ‘ভেঙে পড়েছে আকাশবীণার দরজা’ শিরোনামে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। তবে বাংলাদেশ বিমানে যুক্ত হওয়া সর্বাধুনিক উড়োজাহাজ ‘আকাশবীণা’র দরজা নয় বরং র‍্যাফট খুলে পড়েছিল বলে জানিয়েছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক শাকিল মেরাজ।

বুধবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বিষয়টিকে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে দাবি করে তিনি এ কথা বলেন।

শাকিল মেরাজ বলেন, ‘দরজা ভাঙার কোনো ঘটনা এখানে ঘটেনি। যেখানকার দরজা সেখানেই অক্ষত অবস্থায় আছে এবং ফ্লাইটটি নিয়মিতভাবে চলছে। এতে কোনো ফ্লাইট বাতিলও হয়নি।’

এদিকে দরজা নয় বরং র‍্যাফট খুলে পড়েছিল এরইমধ্যে লন্ডন থেকে নতুন র‍্যাফট চলে এসেছে এবং তা বিমানে সংযুক্ত করার কাজ চলছে। সন্ধ্যার ফ্লাইট থেকেই সম্পূর্ণ ক্যাপাসিটি নিয়ে সর্বাধুনিক উড়োজাহাজটির ফ্লাইট পরিচালিত হবে বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, বিমানের দরজার সঙ্গে বাতাসে ফোলানোর মতো একটি প্লাস্টিকের র‍্যাফট থাকে। এটাকে ভ্যালা বলা হয়। বিমান যদি পানিতে বা ইমারজেন্সি কোথাও ল্যান্ড করে তখন দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ওপেন হয়ে যায় এটি। যাত্রীরা ওখানে স্লাইড করে দ্রুত নেমে যেতে পারেন।

দরজাটি খোলা সময় সঠিক নিয়ম ফলো করেনি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যখন ডোরটা খোলা হয় তখন র‍্যাফটটা ওপেন হওয়ার কথা ছিল না। আর যিনি দরজাটি খুলেছেন তিনি সঠিক নিয়ম ফলো করেন নাই। এই কারণে দরজা ওপেন করার সময় দরজার পাশাপাশি র‍্যাফটটিও ওপেন হয়ে যায়।’

তিনি বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী, বিমানে একটি র‍্যাফট যদি কম থাকে তাহলে ৫৫ জন যাত্রী কম পরিবহন করতে হবে। কারণ, ইমার্জেন্সি সময়ে ওই র‍্যাফট দিয়ে ৫৫ জন যাত্রী নামার কথা ছিল।’

দরজার কোন ক্ষতি হয়নি জানিয়ে বিমানের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘র‍্যাফটও সম্ভবত ঠিক আছে। কিন্তু যেহেতু এটি এখানে পরীক্ষা করা যায় না। তাই এটির তৈরিকারী প্রতিষ্ঠানের কাছে পাঠানো হবে।’

এদিকে আকাশবীণার দরজা ভাঙার বিষয়টি সত্য নয়, সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এমন কি প্রকাশিত প্রতিবেদনে ব্যবহৃত ছবিটিও আকাশবীণার নয় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বিমানের মালিক দেশের জনগণ। তাই এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশের সময় দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেয়া উচিৎ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আসলে সেদিন কি ঘটেছিল আকাশ বীণায়

আপডেট টাইম : ১২:৩৩:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে নতুন যুক্ত হল বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রীমলাইনার আকাশবীণা। গত ৫ সেপ্টেম্বর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ড্রীমলাইনার আকাশবীণার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এদিকে মাত্র এক সপ্তাহের মাত্রায় বিমানটিতে সমস্যা দেখা দিয়েছে। আর এনিয়ে ‘ভেঙে পড়েছে আকাশবীণার দরজা’ শিরোনামে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। তবে বাংলাদেশ বিমানে যুক্ত হওয়া সর্বাধুনিক উড়োজাহাজ ‘আকাশবীণা’র দরজা নয় বরং র‍্যাফট খুলে পড়েছিল বলে জানিয়েছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক শাকিল মেরাজ।

বুধবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বিষয়টিকে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে দাবি করে তিনি এ কথা বলেন।

শাকিল মেরাজ বলেন, ‘দরজা ভাঙার কোনো ঘটনা এখানে ঘটেনি। যেখানকার দরজা সেখানেই অক্ষত অবস্থায় আছে এবং ফ্লাইটটি নিয়মিতভাবে চলছে। এতে কোনো ফ্লাইট বাতিলও হয়নি।’

এদিকে দরজা নয় বরং র‍্যাফট খুলে পড়েছিল এরইমধ্যে লন্ডন থেকে নতুন র‍্যাফট চলে এসেছে এবং তা বিমানে সংযুক্ত করার কাজ চলছে। সন্ধ্যার ফ্লাইট থেকেই সম্পূর্ণ ক্যাপাসিটি নিয়ে সর্বাধুনিক উড়োজাহাজটির ফ্লাইট পরিচালিত হবে বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, বিমানের দরজার সঙ্গে বাতাসে ফোলানোর মতো একটি প্লাস্টিকের র‍্যাফট থাকে। এটাকে ভ্যালা বলা হয়। বিমান যদি পানিতে বা ইমারজেন্সি কোথাও ল্যান্ড করে তখন দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ওপেন হয়ে যায় এটি। যাত্রীরা ওখানে স্লাইড করে দ্রুত নেমে যেতে পারেন।

দরজাটি খোলা সময় সঠিক নিয়ম ফলো করেনি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যখন ডোরটা খোলা হয় তখন র‍্যাফটটা ওপেন হওয়ার কথা ছিল না। আর যিনি দরজাটি খুলেছেন তিনি সঠিক নিয়ম ফলো করেন নাই। এই কারণে দরজা ওপেন করার সময় দরজার পাশাপাশি র‍্যাফটটিও ওপেন হয়ে যায়।’

তিনি বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী, বিমানে একটি র‍্যাফট যদি কম থাকে তাহলে ৫৫ জন যাত্রী কম পরিবহন করতে হবে। কারণ, ইমার্জেন্সি সময়ে ওই র‍্যাফট দিয়ে ৫৫ জন যাত্রী নামার কথা ছিল।’

দরজার কোন ক্ষতি হয়নি জানিয়ে বিমানের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘র‍্যাফটও সম্ভবত ঠিক আছে। কিন্তু যেহেতু এটি এখানে পরীক্ষা করা যায় না। তাই এটির তৈরিকারী প্রতিষ্ঠানের কাছে পাঠানো হবে।’

এদিকে আকাশবীণার দরজা ভাঙার বিষয়টি সত্য নয়, সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এমন কি প্রকাশিত প্রতিবেদনে ব্যবহৃত ছবিটিও আকাশবীণার নয় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বিমানের মালিক দেশের জনগণ। তাই এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশের সময় দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেয়া উচিৎ।