যে কারণে বেশি করে আমড়া খাবেন

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আমড়া অতি পরিচিত একটি ফল। এটি কষ ও অম্ল স্বাদযুক্ত ফল এবং সহজেই পাওয়া যায় । আমড়া ফল কাঁচা ও পাঁকা রান্না করে বা আচার বানিয়ে খাওয়া যায়। দামে সস্তা হলেও মুখে রুচি বৃদ্ধিসহ অসংখ্য গুণাগুণ রয়েছে এ ফলের। এ ফল আগস্ট মাসে বাজারে আসে আর থাকে অক্টোবর পর্যন্ত।

প্রতি ১০০ গ্রাম খাদ্য উপযোগী আমড়ায় পুষ্টিগুণের পরিমাণ:- শর্করা ১৫ গ্রাম, আমিষ ১.১ গ্রাম, চর্বি০.১ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৫৫ মিলিগ্রাম, আয়রন ৩.৯ মিলিগ্রাম, ক্যারোটিন ৮০০ মাইক্রোগ্রাম, ভিটামিন বি ১০.২৮ মিলিগ্রাম, ভিটামিন সি ৯২ মিলিগ্রাম, অন্যান্য খনিজ পদার্থ ০.৬ মিলিগ্রাম, খাদ্য শক্তি ৬৬ কিলোক্যালরি। এবার আসুন আমড়ার কিছু পুষ্টিগুণ বিষয়ে জেনে নিই-

১. ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ: ক্যালসিয়ামের অভাবে হাড়ের রোগ, মাংস পেশীর খিঁচুনিসহ অনেক রোগ হতে পারে। তাই প্রতিদিনের ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণে আমড়ার খাওয়া যেতে পারে।

২. ত্বক ভাল রাখতে: ত্বকের ব্রণ কমাতে এবং ত্বক সুস্থ ও উজ্জ্বল রাখতে আমড়া দারুণ উপকারী। আমড়ায় প্রচুর ভিটামিন সি রয়েছে, যা ত্বক উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে।

৩. রক্তস্বল্পতা রোধে: আমড়ায় প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে, যা রক্তস্বল্পতা রোধে কার্যকরী। আয়রন রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রাও ঠিক রাখে।

৪. বদহজম ও কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে: আমড়ায় বিভিন্ন দ্রবণীয় ফাইবার রয়েছে, যা পাকস্থলীর কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখে। তাই বদ হজম, পেট ফাঁপা ও কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো রোগ থেকে বাঁচতে নিয়মিত আমড়া খেতে পারেন।

৫. সর্দি-কাশি ও ইনফ্লুঞ্জার বিরুদ্ধে কাজ করে: আমড়া বিভিন্ন ভাইরাসের আক্রমন থেকে রক্ষা করে এবং সর্দি-কাশি ও ইনফ্লুয়েঞ্জা রোগের জীবাণুর বিরুদ্ধে কাজ করে। তাই আমড়ার সিজনে প্রতিদিন এই ফল খেলে আপনি নানান সংক্রমণ থেকে সহজেই রক্ষা পেতে পারেন।

৬. ক্যান্সার প্রতিরোধ করে: আমড়ায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা ক্যান্সারসহ অন্যান্য রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। ফলে সহজেই সুস্থ থাকা সম্ভব হয়।

৭. রুচি বাড়ায়: অসুস্থ ব্যক্তিদের মুখের স্বাদ ফিরিয়ে আনতে আমড়ার দারুণ কার্যকর। আমড়া খেলে মুখের অরুচিভাব দূর হয় ও ক্ষুধা বৃদ্ধি পায়। তাই রুচি বাড়াতে নিয়মিত ফলটি খাওয়া যেতে পারে।

৮. স্ট্রোক ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়: আমড়া রক্তের ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। তাই আমড়া খেলে স্ট্রোক ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে যা দাঁত ও মাড়ির বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করে। সূত্র: বাংলা উইকিপিডিয়া, সমকাল

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর