বিএনপি ক্ষমতায় গেলে বাংলাদেশ লাশের পাহাড় হবে : কাদের

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট একদিনের জন্য ক্ষমতায় গেলে বাংলাদেশ পাকিস্তানি ধারায় প্রত্যাবর্তন করবে।

আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর গুলিস্তানের মহানগর নাট্যমঞ্চে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিনিধি সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, তথ্য মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সাবেক মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী কেপ্টেন তাজ, জাসদের একাংশের সাধারণ সম্পাদক শিরিন আক্তার।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি যদি আর একবার ক্ষমতায় আসে কী হবে বুঝতে পারেন? ২০০১ সালের চেয়েও ভয়াবহ পরিস্থিতি হবে বাংলাদেশে। বিএনপি যদি একদিনের জন্য ক্ষমতায় আসে একদিনেই বাংলাদেশ রক্তের নদী হয়ে যাবে, বিএনপি যদি এক দিনের জন্য ক্ষমতায় আসে তাহলে বাংলাদেশ লাশের পাহাড় হয়ে যাবে।’

২০০১ সালে বিএনপির নির্যাতনের কথা তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এবারের বিএনপি ২০০১ সালের চেয়েও ভয়াবহ বিএনপি। এ বিএনপি আপনাদের আবার বাড়িছাড়া করবে। মনে কি আছে গ্রাম ছাড়া আওয়ামী লীগের কর্মীরা এ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে বছরের পর লস্করখানা খুলে দুঃসহ জীবনযাপন করেছে। মনে কি আছে বরিশাল, ভোলায় গোপালগঞ্জে কতজন দুর্বিষহ জীবনযাপন করেছে। দুর্বিষহ জীবনযাপন করেছে এদেশের সংখ্যালঘুরা।’

২০০১ সালের নীল নকশার নির্বাচন বাংলাদেশে আর সম্ভব নয় জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘পরিষ্কার বলতে চাই, বাংলাদেশে ২০০১ সালের নীল নকশার নির্বাচনের স্বপ্ন আর সফল হবে না।’

আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের বলছি, ২০০১ সাল মার্কা নির্বাচন যাতে না হতে পারে, আগুন সন্ত্রাসের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে যাতে না হয়। সে কারণে শেখ হাসিনা ছাড়া আমাদের আর কোনো আস্থার ঠিকানা নেই।’

প্রসঙ্গত, ২০০১ সালে অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে ‍দুই-তৃতীয়াংশ আসনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করেছিল বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকার। পরাজয়ের পর সেই নির্বাচনে ‘স্থূল কারচুপির’ অভিযোগ এনেছিল আওয়ামী লীগ।

সমাবেশের সভাপতি নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান তার বক্তব্যে মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে ছয় দফা দাবি তুলে ধরেন।

দাবিগুলো হলো- জামায়াত-শিবির, যুদ্ধাপরাধী ও স্বাধীনতা বিরোধীদের সন্তানদের সরকারি চাকরিতে নিয়োগ না দেওয়া, সরকারের ভেতরে থেকে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী কার্যক্রম চালায় তাদের বরখাস্ত করতে হবে, যুদ্ধাপরাধী ও জামায়াত-শিবিরের সকল সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে হবে, মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদদের নিয়ে কটাক্ষকারীদের দেশদ্রোহী হিসেবে চিহ্নিত করে বিচার করতে হবে, রাজনৈতিক তাণ্ডব সৃষ্টিকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। কোটা সংস্কারের নামে অগ্নিসংযোগ, নাশকতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর