হাওর বার্তা ডেস্কঃ কুমিল্লায় নাশকতার দুই মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছয় মাসের জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে নড়াইলের মানহানির মামলাটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ সোমবার বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এর ফলে কুমিল্লার নাশকতার দুই মামলায় জামিন মিললেও নড়াইলের মামলায় জামিন পাননি খালেদা।
আদালতে আজ খালেদা জিয়ার পক্ষে উপস্থিত ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, এ জে মোহাম্মদ আলী ও মাহবুব উদ্দিন খোকন। তাদের সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, জয়নুল আবেদীন, বদরোদ্দোজা বাদল, শাহজাহান ওমর, কায়সার কামাল, আমিনুল হক, মীর মোঃ নাসির, কামরুল ইসলাম সজল, এহসানুর রহমান ও ফাইয়াজ জিবরান প্রমুখ।
অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তার সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোঃ মমতাজ উদ্দিন ফকির, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ, ড. মোঃ বশির উল্লাহ, এ কে এম দাউদুর রহমান মিনা, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মোঃ মাহমুদুল করিম রতন ও মোঃ শফিকুজ্জামান রানা।
গত ২২ ও ২৩ মে জামিন আবেদনের ওপর শুনানি হয়। ২০ মে কুমিল্লা ও নড়াইলের তিন মামলায় জামিন চেয়ে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা আবেদন করেন। এর আগে গত ১৬ মে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে দেয়া হাইকোর্টের জামিন বহাল রাখেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াকে গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। ওই দিন থেকে পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের কেন্দ্রীয় করাগারে বন্দি রয়েছেন। তবে এ মামলায় হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগ থেকে জামিন পেলেও তার বিরুদ্ধে আরও বেশ কয়েকটি মামলায় গ্রেফতার দেখানোর কারণে আপাতত তিনি জামিনে বের হতে পারছেন না। কারাবন্দি থেকে মুক্ত হতে তাকে এসব মামলায় জামিন পেতে হবে।