ঝালকাঠির রাজাপুরের বিষখালী নদী তীরের মানকি-সুন্দর গ্রাম দুটির প্রায় আড়াই বিঘা জমি ও বসতভিটা আকস্মিক ভাঙনে বিলীন হয়েছে। গতকাল রাতে হঠাৎ এ বাঙন দেখা দেয়। বর্তমানে ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে মানকি সুন্দর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সাইক্লোন সেল্টার। ৩০-৪০ গজ দুরে ভাঙ্গন চলে এসেছে। যে কোন সময় ওই স্থাপনা দুটি রাক্ষসী বিষখালী নদী গ্রাস করে নিবে।
ক্ষতিগ্রস্থ ফোরকান, দেলোয়ার, সুলতান, হাসেম, লুৎফর, কুদ্দুস ও ইউসুফ জানান, গত তিন দিন ধরে ভাঙ্গন শুরু হয়। এলাকাবাসি মানুষিকভাবে প্রস্তুত ছিল। কিন্তু গতকাল রোববার রাত দশটার দিকে হঠাৎ ভাঙ্গনের বড় ধরনের শব্দ হওয়ায় নদী তীরে ছুটে যাই। পরিস্থিতি খারাপ দেখে ফোরকানের দোকান ঘরের কাছে এলে দ্রুত ওই দোকানের মালামাল সরিয়ে ঘরটি খুলে নিয়ে আসি।
গত তিন দিনে ১০-১২ জনের প্রায় আড়াই বিঘা জমি-বসতভিটা, তিনটি রেইন্ট্রি গাছ ও ইটের সোলিং দেয়া বেরীবাধের রাস্তার কিছু অংশসহ অনেক গাছ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। প্রায় একশ’ বছর ধরে চলছে এ ভাঙ্গনের খেলা। মানকি গ্রামের অস্তিত্ব প্রায় বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙ্গন রোধ করা না গেলে সুন্দর গ্রামটি বিলীন হতে বেশী সময় লাগবে না। বিগত দিনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেননি।
বর্তমান স্থানীয় এমপি বিএইচ হারুনের উদ্যোগে ২/৩বার মাপঝোপ দেওয়া হলেও বাস্তবে কোন কার্যক্রম দেখছিনা। তাই অতি দ্রুত বেরীবাধ নির্মান করে সুন্দর গ্রামটি, মানকি সুন্দর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সাইক্লোন সেল্টারেরটি রাক্ষসী নদীর হাত থেকে রক্ষাকরার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্থওেক্ষপ কামনা করছেন এলাকাবাসি। গতকাল সোমবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে।