শীতে পরিযায়ী হিসেবে যে প্রায় প্রজাতির হাঁস আসে

হাওর বার্তা ডেস্কঃ চারদিকে জনহীন। এ শূন্যতায় সময় মিলিয়ে যেতে যেতে হঠাৎ জলচর পাখিদের ডাক বাইক্কাবিলের বহু পুরনো সৌন্দর্য। আপন মুগ্ধতায় রাঙানো। এই জলজ পাখির সৌন্দর্যে রাঙিয়ে ওঠে আগত পর্যটকদের হৃদয়ও। এরই মধ্যে দীর্ঘ পরিয়ান শেষে বাইক্কাবিলে এসে গেছে ‘ইউরেশীয়-সিঁথিহাঁস’।

অন্য পরিযায়ী পাখির মতো এ হাঁসেরাও প্রতি বছরের মতো উড়ন্ত পথিক হয়ে চলে এসেছে। শুধু এ হাঁসই নয়, শীতের মাত্রা বাড়তেই বাইক্কাবিল এখন পরিযায়ী পাখিতে মুখরিত।

সম্প্রতি বাইক্কাবিলের পাখি পর্যবেক্ষণ টাওয়ারে উঠে দূরবীক্ষণ যন্ত্রে চোখ রেখে বিলের দিকে নিশানা নিক্ষেপে করতেই খুঁজে পাওয়া যায় ইউরেশীয়-সিঁথিহাঁস। দূরবীনে চোখ রেখে চলে আগত পর্যটকদের পাখিদের দেখার বিষয়টি বাড়তি ভালোলাগার জন্ম দেয়।

শীতের হাত থেকে রক্ষার জন্য উত্তরের হিমপ্রধান অঞ্চলগুলো থেকে অনেক প্রজাতির পাখিই পরিযায়ী হয়। পাখিদের মধ্যে সাধারণত তিন ধরনের পরিযান দেখা যায়। এগুলো হলো- স্বল্পদৈর্ঘ্য পরিযান, মধ্যদৈর্ঘ্য পরিযান এবং দীর্ঘদৈর্ঘ্য পরিযান। সিঁথিহাঁস দীর্ঘদৈর্ঘ্য পরিযানের পাখি। এরা হাজার হাজার মাইল দূরত্বের পথ অনায়াসে উড়ে যেতে পারে। ক্লান্তিহীন ও বিশ্বস্ত পাখা তাদের এভাবে বাঁচিয়ে রেখেছে বছরের পর বছর ধরে।

যুগল ‘ইউরেশীয়-সিঁথিহাঁস’। ছবি : সংগৃহীত 

পরিযায়ী সব হাঁসের মধ্যে একটি বিশেষ হাঁসকে চিনতে তেমন একটা অসুবিধা হয় না। কারণ হাঁসটির মাথা রাঙানো রয়েছে হালকা ইটহলুদ রং দিয়ে। সেই হাঁসটির নাম ইউরেশীয় সিঁথিহাঁস বা লালশির। এদের ইংরেজি নাম Eurasian Wigeon এবং বৈজ্ঞানিক নাম Mareca penelope। এরা মাঝারি আকৃতির হাঁসের মধ্যে বড় এবং মিঠাপানির জলাভূমির অস্থায়ী বাসিন্দা।

পাখি-পর্যবেক্ষক ও আলোকচিত্রী ওমর শাহাদাত বলেন, শীতে বাংলাদেশে পরিযায়ী হিসেবে যে প্রায় ত্রিশ প্রজাতির হাঁস আসে। তারমধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যায় দেখা যায় এই ইউরেশীয় সিঁথিহাঁস। এরা আমাদের দেশের সুলভ পরিযায়ী হাঁস। এরা বেশ দৃষ্টিনন্দন। পুরুষহাঁসের মাথায় হলুদ রঙের সিঁথি আছে বলেই এ নামকরণের কারণ। মিশ্র হাঁসের ঝাঁক থেকে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর