গাজীপুরের শ্রীপুরে কৃষক এনামুল হক ধানখেতে শস্যচিত্রে শৈল্পিক কারুকার্যে ফুটিয়ে তুলেছেন ভালোবাসার প্রতিকৃতি। রং-তুলিতে নয় সবুজ আর বেগুনি ধান রোপণ করে শস্যচিত্রে সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন এই প্রতিকৃতি। ইতোমধ্যে শস্যচিত্রে তৈরি মানবদেহের হৃৎপিণ্ড ফসলের মাঠে শোভাবর্ধক সৃষ্টি করেছে।
ধানখেতের মাঝখানে শস্যচিত্রে ফুটিয়ে তোলা ভালোবাসার প্রতিকৃতি আকর্ষণীয় এ চিত্র দেখতে আশপাশের দর্শনার্থীরা আসছেন ছবি উঠাতে।
সরেজমিন বেকাসাহারা গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার মাওনা বরমী আঞ্চলিক সড়কের পাশে এনামুলের ধানখেত। আশপাশের এলাকায় সবুজের সমারোহ। কৃষি মাঠ বোরোধানে ভরে গেছে। সড়কের পাশে একটি ধানখেতের মাঝখানে সবুজ আর বেগুনি ধান রোপণ করে নিপুণ কৌশলে ফুটিয়ে তুলেছেন ভালোবাসার প্রতিকৃতি।
বিশাল আকৃতির প্রতিকৃতিটি বহুদূর থেকেই যে কারো চোখে পড়ে। সড়কে চলাচলকারী যাত্রীরা রাস্তায় নেমে ধানখেতের কাছে গিয়ে মোবাইল ফোনে এর চিত্র ধারণ করছেন। অনেকেই নিজে দাড়িয়ে ছবি উঠাচ্ছেন। ধানখেতে ভিন্ন ধরনের শস্যচিত্র তৈরি ভালোবাসার প্রতিকৃতি এই এলাকাসহ আশপাশের লোকজনের কাছে বিষয়টি বেশ কৌতূহলের সৃষ্টি করেছে।
টেপিরবাড়ি গ্রামের শিক্ষক লুৎফর রহমান ফরহাদ বলেন, কৃষক এনামুল প্রতি বছর ভিন্ন ধরনের কিছু একটা করে। ধানখেতে মা, বাংলাদেশের মানচিত্র আর এ বছর ভালোবাসার প্রতিকৃতি সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।
কৃষক এনামুল হক যুগান্তরকে জানান, গত দুবছর আগে তিনি শস্যচিত্রে ফুটিয়ে তুলেন মা, এরপর মানচিত্র ফুটিয়ে তুলে বেশ আলোড়ন তৈরি করেছেন। এ বছর শস্যচিত্রে ফুটিয়ে তুলেছেন ভালোবাসার প্রতিকৃতি; যা অনেক বেশি আলোড়ন সৃষ্টি করবে। তরুণ তরুণীরা এসে ছবি তুলছেন।
তিনি আরও জানান, স্থানীয় কৃষি অফিস থেকে বেগুনি ও ব্ল্যাক রাইস জাতের ধানবীজ সংগ্রহ করে বীজতলায় তৈরি করা হয়। এরপর ধানের চারা রোপণ করে এই শস্যচিত্র তৈরি করা হয়েছে।
শ্রীপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আফরোজা বলেন, কৃষক এনামুল হক প্রতি বছর ভিন্ন ধরনের কিছু করেন। এ বছর তিনি শস্যচিত্রে ভালোবাসার প্রতিকৃতি ফসলের মাঠে ফুটিয়ে তুলেছেন।