ঢাকা ০২:০৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে কিভাবে এত মানুষের মৃত্যু, জানালেন ফায়ারের ডিজি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:০৩:০৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১ মার্চ ২০২৪
  • ৯৭ বার

রাজধানীর বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই ভবনে লাগা আগুনে এ পর্যন্ত ৪৪ জন নিহতের তথ্য মিলেছে। এদের বেশিরভাগই অক্সিজেন স্বল্পতায় শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দীন।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে ঘটনাস্থলে সংবাদমাধ্যমকে এ কথা জানান তিনি।

মো. মাইন উদ্দীন বলেন, ‘ওই ভবনে একাধিক রেস্টুরেন্ট ছিল। ছিল সিলিন্ডারও। এ জন্য ভবনটি ছিল অগ্নিচুল্লির মতো। যার জন্য দাউ দাউ করে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। যারা মারা গেছেন, তারা আগুনে দগ্ধ না হয়ে অক্সিজেন স্বল্পতায় মারা যেতে পারেন।’

তিনি বলেন, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আগুন লাগতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত আগুন লাগার সঠিক কারণ জানা যায়নি।

রাত ২টার দিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন সাংবাদিকদের বলেন, আগুন লাগার ঘটনায় মরদেহ দুই হাসপাতালে আছে। এর বাইরে আরও মৃত ব্যক্তি থাকতে পারে।

এ ঘটনায় গুরুতর আহত ৮ জন বার্ন ইনস্টিটিউটে এবং ১৪ জন ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান। তিনি বলেন, তাদের সবার অবস্থাও আশঙ্কাজনক।

এর পর পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ঢাকা মেডিকেলে গিয়ে সাংবাদিকদের জানান, রাজারবাগ পুলিশ লাইনস হাসপাতালেও একজনের মরদেহ রয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতে বেইলি রোডের যে ভবনে আগুন লেগেছে, সেটি সাততলা। ভবনের দ্বিতীয় তলায় ‘কাচ্চি ভাই’ নামের খাবারের দোকান রয়েছে। তৃতীয় তলায় একটি পোশাকের দোকান ছাড়া ওপরের তলাগুলোতেও রয়েছে খাবারের দোকান।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভবনটি প্রথম ও দ্বিতীয় তলায় আগুন লাগার পর তা ওপরের দিকে ছড়িয়ে পড়ে। কিছুক্ষণের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। পাশাপাশি ক্রেনের সাহায্যে ভবনের সপ্তম তলা ও ছাদে আশ্রয় নেওয়া ব্যক্তিদের নামিয়ে আনতে থাকেন তারা।

ফায়ার সার্ভিসের ১৩ ইউনিটের চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তখনো ভবনের ভেতরে ধোঁয়া ছিল। এর পর ভবনে তল্লাশি চালিয়ে অচেতন অবস্থায় অনেককে বের করে আনেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।

 

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে কিভাবে এত মানুষের মৃত্যু, জানালেন ফায়ারের ডিজি

আপডেট টাইম : ১০:০৩:০৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১ মার্চ ২০২৪

রাজধানীর বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই ভবনে লাগা আগুনে এ পর্যন্ত ৪৪ জন নিহতের তথ্য মিলেছে। এদের বেশিরভাগই অক্সিজেন স্বল্পতায় শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দীন।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে ঘটনাস্থলে সংবাদমাধ্যমকে এ কথা জানান তিনি।

মো. মাইন উদ্দীন বলেন, ‘ওই ভবনে একাধিক রেস্টুরেন্ট ছিল। ছিল সিলিন্ডারও। এ জন্য ভবনটি ছিল অগ্নিচুল্লির মতো। যার জন্য দাউ দাউ করে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। যারা মারা গেছেন, তারা আগুনে দগ্ধ না হয়ে অক্সিজেন স্বল্পতায় মারা যেতে পারেন।’

তিনি বলেন, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আগুন লাগতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত আগুন লাগার সঠিক কারণ জানা যায়নি।

রাত ২টার দিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন সাংবাদিকদের বলেন, আগুন লাগার ঘটনায় মরদেহ দুই হাসপাতালে আছে। এর বাইরে আরও মৃত ব্যক্তি থাকতে পারে।

এ ঘটনায় গুরুতর আহত ৮ জন বার্ন ইনস্টিটিউটে এবং ১৪ জন ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান। তিনি বলেন, তাদের সবার অবস্থাও আশঙ্কাজনক।

এর পর পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ঢাকা মেডিকেলে গিয়ে সাংবাদিকদের জানান, রাজারবাগ পুলিশ লাইনস হাসপাতালেও একজনের মরদেহ রয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতে বেইলি রোডের যে ভবনে আগুন লেগেছে, সেটি সাততলা। ভবনের দ্বিতীয় তলায় ‘কাচ্চি ভাই’ নামের খাবারের দোকান রয়েছে। তৃতীয় তলায় একটি পোশাকের দোকান ছাড়া ওপরের তলাগুলোতেও রয়েছে খাবারের দোকান।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভবনটি প্রথম ও দ্বিতীয় তলায় আগুন লাগার পর তা ওপরের দিকে ছড়িয়ে পড়ে। কিছুক্ষণের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। পাশাপাশি ক্রেনের সাহায্যে ভবনের সপ্তম তলা ও ছাদে আশ্রয় নেওয়া ব্যক্তিদের নামিয়ে আনতে থাকেন তারা।

ফায়ার সার্ভিসের ১৩ ইউনিটের চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তখনো ভবনের ভেতরে ধোঁয়া ছিল। এর পর ভবনে তল্লাশি চালিয়ে অচেতন অবস্থায় অনেককে বের করে আনেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।