ঢাকা ১১:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আমদানির ভয়ে কেজিতে ১০ টাকা কমল পেঁয়াজের দাম

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:২৮:০৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৬ মার্চ ২০২৪
  • ১০৭ বার

ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির খবরেই কেজিতে ১০ টাকার মতো কমেছে দাম। আমদানি শুরু হলে পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে বলে বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন। এদিকে আমদানির আগেই বাজার ধরতে কৃষকরা হালি জাতের পেঁয়াজ আগাম তুলে ফেলছেন। এতে বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ছে, কমছে দামও।

মুড়িকাটা জাতের পেঁয়াজের সরবরাহ কমে যাওয়ায় এত দিন রাজধানীর খুচরা বাজারে কেজি ১১৫ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল। হালি পেঁয়াজ বাজারে চলে আসায় এখন মুড়িকাটা পেঁয়াজ ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে খুচরা বাজারে হালি জাতের পেঁয়াজ কেজি ১০০ থেকে ১০৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। বাংলাদেশে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে ভারত সরকার।

গত সোমবার ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্যবিষয়ক মহাপরিচালকের দপ্তরের (ডিজিএফটি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ন্যাশনাল কো-অপারেটিভ এক্সপোর্ট লিমিটেডের (এনসিইএল) মাধ্যমে এই পেঁয়াজ বাংলাদেশে রপ্তানি হবে। তবে কবে থেকে এই পেঁয়াজ রপ্তানি শুরু হবে তা সুনির্দিষ্টভাবে বলা হয়নি।

গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে পাইকারিতে হালি পেঁয়াজ কেজি ৮৫ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হয়।

সেখানকার আড়তদার জালাল উদ্দিন বলেন, ‘এখন মুড়িকাটা পেঁয়াজের সরবরাহ খুবই কম। এখন হালি জাতের পেঁয়াজ বেশি বিক্রি হচ্ছে, এর কেজি ৮৫ থেকে ৯০ টাকা। ভারতের পেঁয়াজ দেশের বাজারে প্রবেশ করলে দাম আরো অনেক কমে যাবে।’

রাজধানীর শ্যামবাজারে হালি জাতের পেঁয়াজ পাইকারিতে মানভেদে কেজি ৮০ থেকে ৮৫ টাকায় এবং মুড়িকাটা জাতের পেঁয়াজ কেজি ৯৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শ্যামবাজার পেঁয়াজ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মাজেদ বলেন, ‘বাজারে মুড়িকাটা পেঁয়াজের সরবরাহ কম।

যার কারণে বাড়তি দামে বিক্রির আশায় অপরিপক্ব হালি পেঁয়াজ তুলে বিক্রি করছেন অনেক কৃষক। এতে এখন সরবরাহ বাড়লেও সার্বিক পেঁয়াজের উৎপাদন কম হবে।’রামপুরা কাঁচাবাজারের মহিউদ্দিন এন্টারপ্রাইজের ব্যবসায়ী মো. আল-আমিন বলেন, ‘পাইকারি বাজারে হালি পেঁয়াজ আসার পর থেকে মুড়িকাটা পেঁয়াজের দামও কেজিতে ১০ টাকা কমেছে।’

রাজধানীর জোয়ারসাহারা বাজারের মেসার্স ভাই ভাই স্টোরের ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘সোমবার থেকে প্রতি কেজি হালি পেঁয়াজ ১০০ থেকে ১০৫ টাকায় বিক্রি করছি। মুড়িকাটা পেঁয়াজের তুলনায় হালি পেঁয়াজ কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকার মতো দাম কম।’

হিলি : আমদানির খবরে দিনাজপুরের হিলিতে পেঁয়াজের দাম কেজিতে কমেছে ১০ টাকা। আমদানি শুরু হলে দাম আরো কমবে বলে আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।

গতকাল দুপুরে বাংলাহিলি পাইকারি ও খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, দুই দিন আগেও যে মুড়িকাটা পেঁয়াজ ১০০ টাকা থেকে ১০৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে, এখন তা ৯০ থেকে ৯৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘দুই দিন আগে আমি পেঁয়াজ কিনেছি ১০০ টাকা কেজি দরে। আজকে আধাকেজি পেঁয়াজ কিনলাম ৪৫ টাকা দিয়ে।’

বাজারের খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা মোবারক হোসেন জানান, দুই দিন আগে পাইকারি বাজার থেকে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৯৪-৯৫ টাকা দরে কিনে ১০০ টাকা দরে বিক্রি করেছেন। কিন্তু মঙ্গলবার সকালে পাইকারি বাজার থেকে কিনেছেন ৮৭ থেকে ৮৮ টাকা দরে, খুচরা বিক্রি করেছেন ৯০ থেকে ৯৫ টাকা দরে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

আমদানির ভয়ে কেজিতে ১০ টাকা কমল পেঁয়াজের দাম

আপডেট টাইম : ১১:২৮:০৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৬ মার্চ ২০২৪

ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির খবরেই কেজিতে ১০ টাকার মতো কমেছে দাম। আমদানি শুরু হলে পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে বলে বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন। এদিকে আমদানির আগেই বাজার ধরতে কৃষকরা হালি জাতের পেঁয়াজ আগাম তুলে ফেলছেন। এতে বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ছে, কমছে দামও।

মুড়িকাটা জাতের পেঁয়াজের সরবরাহ কমে যাওয়ায় এত দিন রাজধানীর খুচরা বাজারে কেজি ১১৫ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল। হালি পেঁয়াজ বাজারে চলে আসায় এখন মুড়িকাটা পেঁয়াজ ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে খুচরা বাজারে হালি জাতের পেঁয়াজ কেজি ১০০ থেকে ১০৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। বাংলাদেশে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে ভারত সরকার।

গত সোমবার ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্যবিষয়ক মহাপরিচালকের দপ্তরের (ডিজিএফটি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ন্যাশনাল কো-অপারেটিভ এক্সপোর্ট লিমিটেডের (এনসিইএল) মাধ্যমে এই পেঁয়াজ বাংলাদেশে রপ্তানি হবে। তবে কবে থেকে এই পেঁয়াজ রপ্তানি শুরু হবে তা সুনির্দিষ্টভাবে বলা হয়নি।

গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে পাইকারিতে হালি পেঁয়াজ কেজি ৮৫ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হয়।

সেখানকার আড়তদার জালাল উদ্দিন বলেন, ‘এখন মুড়িকাটা পেঁয়াজের সরবরাহ খুবই কম। এখন হালি জাতের পেঁয়াজ বেশি বিক্রি হচ্ছে, এর কেজি ৮৫ থেকে ৯০ টাকা। ভারতের পেঁয়াজ দেশের বাজারে প্রবেশ করলে দাম আরো অনেক কমে যাবে।’

রাজধানীর শ্যামবাজারে হালি জাতের পেঁয়াজ পাইকারিতে মানভেদে কেজি ৮০ থেকে ৮৫ টাকায় এবং মুড়িকাটা জাতের পেঁয়াজ কেজি ৯৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শ্যামবাজার পেঁয়াজ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মাজেদ বলেন, ‘বাজারে মুড়িকাটা পেঁয়াজের সরবরাহ কম।

যার কারণে বাড়তি দামে বিক্রির আশায় অপরিপক্ব হালি পেঁয়াজ তুলে বিক্রি করছেন অনেক কৃষক। এতে এখন সরবরাহ বাড়লেও সার্বিক পেঁয়াজের উৎপাদন কম হবে।’রামপুরা কাঁচাবাজারের মহিউদ্দিন এন্টারপ্রাইজের ব্যবসায়ী মো. আল-আমিন বলেন, ‘পাইকারি বাজারে হালি পেঁয়াজ আসার পর থেকে মুড়িকাটা পেঁয়াজের দামও কেজিতে ১০ টাকা কমেছে।’

রাজধানীর জোয়ারসাহারা বাজারের মেসার্স ভাই ভাই স্টোরের ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘সোমবার থেকে প্রতি কেজি হালি পেঁয়াজ ১০০ থেকে ১০৫ টাকায় বিক্রি করছি। মুড়িকাটা পেঁয়াজের তুলনায় হালি পেঁয়াজ কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকার মতো দাম কম।’

হিলি : আমদানির খবরে দিনাজপুরের হিলিতে পেঁয়াজের দাম কেজিতে কমেছে ১০ টাকা। আমদানি শুরু হলে দাম আরো কমবে বলে আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।

গতকাল দুপুরে বাংলাহিলি পাইকারি ও খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, দুই দিন আগেও যে মুড়িকাটা পেঁয়াজ ১০০ টাকা থেকে ১০৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে, এখন তা ৯০ থেকে ৯৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘দুই দিন আগে আমি পেঁয়াজ কিনেছি ১০০ টাকা কেজি দরে। আজকে আধাকেজি পেঁয়াজ কিনলাম ৪৫ টাকা দিয়ে।’

বাজারের খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা মোবারক হোসেন জানান, দুই দিন আগে পাইকারি বাজার থেকে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৯৪-৯৫ টাকা দরে কিনে ১০০ টাকা দরে বিক্রি করেছেন। কিন্তু মঙ্গলবার সকালে পাইকারি বাজার থেকে কিনেছেন ৮৭ থেকে ৮৮ টাকা দরে, খুচরা বিক্রি করেছেন ৯০ থেকে ৯৫ টাকা দরে।