লরা ইঙ্গলস ওয়াইল্ডারের লিটল হাউস অন প্রেইরি উপন্যাসের দিকে যতবার চোখ যায়, ততবারই ঘাসের প্রান্তরে একটা ছোট্ট কুটিরের কথা মনে পড়ে। মনে হয় যেন নিজের গাঁয়ের মাঠেই আছে এমন কুড়েঘর। আসলেই আছে। যুগ যুগ ধরে।
তবে শুধু দুদণ্ড শান্তি খোঁজার জন্য ব্যবহার করা হয় না সেগুলো।বাংলাদেশে ছিঁচকে চোরের অভাব কোনো দিনই ছিল না, এখনো নেই। মাঠের আমটা, কাঁঠালটা, কলাটা চুরি হবেই। সেটা ঠেকাতে হলে করতে হবে পাহারার ব্যবস্থা।
এ জন্য ফসলি খেতের মাঝখানে এখনো দেখা যায় কুঁড়েঘর। কলাবাগান বা আমবাগানে ফল পাকার কাছাকাছি সময় একজন পাহারাদার রাখেন বাগান মালিক। পাহারাদার রাতে এখানেই ঘুমায়, এখানেই খায়।
মাঠে শ্যালো পাম্প পাহারা দেওয়ার জন্যও কুঁড়ে ঘর বানানো হয়।
তবে বেশিরভাগই টিন দিয়ে।কুঁড়েঘর সাধারণত বাঁশ দিয়ে তৈরি হয়। বাঁশের মাচার ওপর চার-পাঁচ ফুট উঁচুতে কুঁড়েঘর বানানো হয়, যাতে সাপ-শিয়ালের মতো প্রাণীগুলো সহজে কুঁড়েঘরে হানা দিতে না পারে। এর বেড়া ও ছাউনিগুলো তৈরি হয় বাঁশ, পাটখড়ি কিংবা তালপাতা দিয়ে।
মাছ পাহারা দেয়ার জন্যও কুঁড়েঘর বানায় মানুষ।
যেখানে মাছের চাষ হয়, জলাশয়ের কিনারে এমনকি জলাশয়ের ওপরেও কুঁড়েঘর দেখা যায়। এগুলোকে জলটুঙ্গি বলে। মাঠের কুঁড়েঘরের মতো এই কুঁড়েঘরও মাচার ওপর বেশ খানিকটা উঁচুতে বানানো হয়।