ঢাকা ০১:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫, ২৭ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উচ্চ ফলনশীল বিনা-১৭ আমন ধানের বাম্পার ফলন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:৪২:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ নভেম্বর ২০১৭
  • ৩৪৫ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ উচ্চ ফলনশীল বিনা-১৭ আমন জাতের ধান পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করা হয়েছে গাইবান্ধার সাদুল্লাহপুরে। স্বল্প খরচ আর আগাম চাষে ফলন বেশ ভালো হওয়ায় নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, আগাম জাত হওয়ার কারণে একই জমিতে রবি শস্যের চাষও সম্ভব।

প্রতি বছর বন্যার কারণে চাষাবাদ নিয়ে সংকটে পড়ে যায় গাইবান্ধার কয়েক হাজার কৃষক। আমন জাতের বিনা-১৭ ধানে গাইবান্ধা জেলায় চাষাবাদে নতুন সম্ভাবনা দেখছে কৃষি বিভাগ। বিনা-১৭ আমন জাতের ধান দ্রুত বর্ধনশীল, দানাদার শস্য আর আগাম চাষ এর প্রধান বৈশিষ্ট্য। বিনা-১৭ আমন জাতের ধানে খরচ কম হয় এবং বিঘা প্রতি ফসল মিলবে ২০ থেকে ২২ মণ করে।

বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি ইনস্টিটিউটের গবেষক মুহাম্মদ ফেরদৌস ইকবাল বলেন, আগাম হওয়ার কারণে ধানের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে কৃষক, পাশাপাশি গবাদি পশুর খাদ্যও মিটে যাবে।

২০১৫ সালে কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট উচ্চ ফলনশীল ও স্বল্প মেয়াদী আমন জাতের ধান উদ্ভাবন করে। প্রথমে দিনাজপুর ও রংপুরে পরীক্ষা মূলকভাবে চাষ করা হয়। এবার গাইবান্ধার সাদুল্লাহপুরে প্রথমবারের মতো প্রদর্শিত হলো বিনা-১৭ আমন জাতের ধান।

গাইবান্ধা কৃষি বিভাগ উপ-পরিচালক আ ক ম রুহুল আমীন বলেন, স্বল্প মেয়াদি জাত করার মাধ্যমে দেশে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে এবং খাদ্য নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এই ধান ভূমিকা পালন করবে।

বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারা বলছেন, আমন বিনা-১৭ ধানের আরেকটি সুবিধা হলো ঘরে তোলার পর বীজ কৃষক নিজেই সংরক্ষণ করতে পারবেন।

রংপুর বিনা-উপকেন্দ্র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা তানজিলুর রহমান বলেন, ১২ থেকে ১৪ শতাংশ বীজ বাড়িতেই সংরক্ষণ করতে পারবে। যা পরবর্তী সময়ে চারারোপনের জন্য সহজেই ব্যবহার করতে পারবে।

পরীক্ষামূলক ভাবে এই ধান সাড়া ফেলেছে কৃষকদের মাঝে। আগাম চাষে ভালো ফলন দেখে আশাবাদী কৃষকেরা।

কৃষকরা বলছে, এই ধান চাষের পরে আমরা সরিষা, আলু, গমসহ অন্যান্য ফসল চাষ করে অনেক সুবিধা পাচ্ছি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

উচ্চ ফলনশীল বিনা-১৭ আমন ধানের বাম্পার ফলন

আপডেট টাইম : ০৪:৪২:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ নভেম্বর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ উচ্চ ফলনশীল বিনা-১৭ আমন জাতের ধান পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করা হয়েছে গাইবান্ধার সাদুল্লাহপুরে। স্বল্প খরচ আর আগাম চাষে ফলন বেশ ভালো হওয়ায় নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, আগাম জাত হওয়ার কারণে একই জমিতে রবি শস্যের চাষও সম্ভব।

প্রতি বছর বন্যার কারণে চাষাবাদ নিয়ে সংকটে পড়ে যায় গাইবান্ধার কয়েক হাজার কৃষক। আমন জাতের বিনা-১৭ ধানে গাইবান্ধা জেলায় চাষাবাদে নতুন সম্ভাবনা দেখছে কৃষি বিভাগ। বিনা-১৭ আমন জাতের ধান দ্রুত বর্ধনশীল, দানাদার শস্য আর আগাম চাষ এর প্রধান বৈশিষ্ট্য। বিনা-১৭ আমন জাতের ধানে খরচ কম হয় এবং বিঘা প্রতি ফসল মিলবে ২০ থেকে ২২ মণ করে।

বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি ইনস্টিটিউটের গবেষক মুহাম্মদ ফেরদৌস ইকবাল বলেন, আগাম হওয়ার কারণে ধানের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে কৃষক, পাশাপাশি গবাদি পশুর খাদ্যও মিটে যাবে।

২০১৫ সালে কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট উচ্চ ফলনশীল ও স্বল্প মেয়াদী আমন জাতের ধান উদ্ভাবন করে। প্রথমে দিনাজপুর ও রংপুরে পরীক্ষা মূলকভাবে চাষ করা হয়। এবার গাইবান্ধার সাদুল্লাহপুরে প্রথমবারের মতো প্রদর্শিত হলো বিনা-১৭ আমন জাতের ধান।

গাইবান্ধা কৃষি বিভাগ উপ-পরিচালক আ ক ম রুহুল আমীন বলেন, স্বল্প মেয়াদি জাত করার মাধ্যমে দেশে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে এবং খাদ্য নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এই ধান ভূমিকা পালন করবে।

বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারা বলছেন, আমন বিনা-১৭ ধানের আরেকটি সুবিধা হলো ঘরে তোলার পর বীজ কৃষক নিজেই সংরক্ষণ করতে পারবেন।

রংপুর বিনা-উপকেন্দ্র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা তানজিলুর রহমান বলেন, ১২ থেকে ১৪ শতাংশ বীজ বাড়িতেই সংরক্ষণ করতে পারবে। যা পরবর্তী সময়ে চারারোপনের জন্য সহজেই ব্যবহার করতে পারবে।

পরীক্ষামূলক ভাবে এই ধান সাড়া ফেলেছে কৃষকদের মাঝে। আগাম চাষে ভালো ফলন দেখে আশাবাদী কৃষকেরা।

কৃষকরা বলছে, এই ধান চাষের পরে আমরা সরিষা, আলু, গমসহ অন্যান্য ফসল চাষ করে অনেক সুবিধা পাচ্ছি।