গাভীর দুধ উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের মাধ্যমে দারিদ্র্য দূরীকরণ ও জীবনযাত্রার উন্নয়নে এক লাখ ২৫ হাজার নারী সহজ শর্তে ঋণ পাবেন। পল্লী অঞ্চলের অনগ্রসর নারীদের এ সুবিধা দেওয়া হবে।
গাভী পালনে প্রত্যেক নারীকে দেওয়া হবে নগদ ২০ হাজার টাকা। ঋণ গ্রহীতার কাছ থেকে দুই শতাংশ হারে সার্ভিস চার্জ নেওয়া হবে।
সমবায় অধিদফতর সূত্র জানায়, প্রকল্পের আওতায় ২৫টি জেলার ৫০টি উপজেলায় এক লাখ ২৫ হাজার নারীকে নির্বাচন করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে প্রকল্পের আওতায় সব নারীকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। প্রতিটি জেলা থেকে দু’টি করে উপজেলা প্রকল্পের আওতায় আসবে।
প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১শ ৯৭ কোটি ১৫ লাখ টাকা। জানুয়ারি ২০১৫ থেকে জুন ২০১৯ মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে সমবায় অধিদফতর। হত-দরিদ্রের বিবেচনায় প্রথমধাপে, ১শ ৯৭ কোটি ১৫ লাখ টাকা গাভী পালনের জন্য নারীদের ঋণ দেওয়া হবে। দ্বিতীয় ধাপে, বাকি নারীদের প্রকল্পের আওতায় আনা হবে বলে সূত্র জানায়।
এ বিষয়ে সমবায় অধিদফতরের মহাপরিচালক মফিজুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত যতগুলো প্রকল্প হাতে নিয়েছি, এর মধ্যে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প। এর মাধ্যমে সহজ শর্তে ঋণের টাকা দিয়ে নারীরা গাভী কিনে স্বাবলম্বী হতে পারবেন।
ঢাকা বিভাগের ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর, কিশোরগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর ও মাদারীপুর জেলার যেকোনো দু’টি উপজেলায় প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে। খুলনা বিভাগের নড়াইল, কুষ্টিয়া, যশোর, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট ও খুলনার যেকোনো দু’টি উপজেলাকে প্রকল্পের আওতায় আনা হবে।
বরিশাল ও পিরোজপুর জেলার দু’টি উপজেলা প্রকল্পের আওতায় আসবে। থাকছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ ও নাটোর জেলার দু’টি উপজেলা।
এছাড়া রংপুর বিভাগের কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারী, দিনাজপুর, গাইবান্ধা জেলার অনগ্রসর দু’টি উপজেলা প্রকল্পের আওতায় আনা হবে।
সমবায় অধিদফতর সূত্র জানায়, নানা কারণে প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হচ্ছে। স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশে নারী উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। তবে নারীর ক্ষমতায়ন, কর্মক্ষেত্রে অংশগ্রহণ, মজুরি হারে পার্থক্য, সম্পত্তির অধিকার ও ঋণের সুযোগ প্রাপ্তি ইত্যাদি বিবেচনায় এখনও নারীর আশানরূপ অগ্রগতি হয়নি। এসব বিবেচনায় প্রকল্পটি নেওয়া হচ্ছে।