হাওর বার্তা ডেস্কঃ সচিবালয়ে চার তলার কার্নিশে আটকে পড়েছিল এই বিড়ালটি
সচিবালয়ে চার তলার কার্নিশে আটকে পড়েছিল এই বিড়ালটি
চার দিন আগের ঘটনা। সচিবালয়ের ভেতরে সোনালী ব্যাংকের পাঁচ তলা ভবনের চার তলার কার্নিশে উঠে আর নামতে পারেনি একটি বিড়াল। না খেয়ে দুর্বল হয়ে গেলেও নামার চেষ্টা করতে থাকে সে। কিন্তু কোনোভাবেই বিড়ালটি লাফ দিয়ে বা অন্য কোনোভাবে নামতে পারেনি।
বিড়ালটির প্রাণপণ চেষ্টা দেখে সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নামানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু নিজেরা ব্যর্থ হন। তবে হাল ছাড়েননি। শেষ পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের সহায়তা চেয়েছেন তারা।
অবশেষে বুধবার (২৫ অক্টোবর) বিকালে খবর দেওয়া হয় সচিবালয় ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে। সেখানকার কর্মকর্তা পতিরাম তার ইউনিট ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতিসহ ৮ জন কর্মী নিয়ে সোনালী ব্যাংক ভবন থেকে বিড়াল নামাতে আসেন।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আটকে পড়া বিড়ালকে নামান
ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আটকে পড়া বিড়ালকে নামান
এদিন বিকাল ৫টা থেকে ২৩ মিনিট চেষ্টা চালানোর পর বিড়ালটিকে অক্ষত অবস্থায় নামাতে সক্ষম হন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। তবে নামানোর পর বিড়ালটি সবাইকে ফাঁকি দিয়ে ব্যাংকের পেছনে ঝোঁপে চলে যায়।
সচিবালয় ফায়ার সার্ভিস স্টেশন ইনচার্জ পতিরাম হাওর বার্তাকে বলেন, ‘বিড়ালটিকে মই দিয়ে উঠে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা নামান। বিড়ালটি দুর্বল হয়ে পড়লেও সুস্থ ছিল। নামানোর পর লাফ দিয়ে ভবনের পেছনে জঙ্গলের মধ্যে পালিয়ে যায় সে।’
সচিবালয়ে চার তলার কার্নিশে আটকে পড়েছিল এই বিড়ালটি
সচিবালয়ে চার তলার কার্নিশে আটকে পড়েছিল এই বিড়ালটি
বিকাল পৌনে ৫টার দিকে প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিক জাকির হোসাইন বলেন, ‘চার দিন ধরে বিড়ালটি না খেয়ে ভবনের কার্নিশের চারপাশে ঘোরাঘুরি করছিল। এ অবস্থা দেখে সবার বিড়ালটির ওপর মায়া জন্মে। এ কারণে বুধবার বিকাল থেকে সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিড়ালটিকে নামানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু কোনোভাবেই নামানো যায়নি। বিকাল ৫টার কয়েক মিনিট আগে সচিবালয়ে ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে খবর দেওয়া হয়। তারা এসে সেটি নামিয়েছেন।’
ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আটকে পড়া বিড়ালকে নামান
ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আটকে পড়া বিড়ালকে নামান
গত বছর কুকুরের তাড়া খেয়ে সচিবালয়ের গাছে ওঠে আরেকটি বিড়াল। এরপর ছয় দিন ওই গাছেই ছিল বিড়ালটি। সাত দিনের মাথায় ২ মার্চ সচিবালয় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ৩০ ফুট উঁচু থেকে মই দিয়ে বিড়ালটিকে নামাতে সক্ষম হন। পরে বিড়ালটিকে ছেড়ে দেওয়া হয়।