ঢাকা ১২:৪৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ২৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিএনপির সাবেক এমপি মসিউরের ১০ বছর কারাদণ্ড

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৫৩:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ অক্টোবর ২০১৭
  • ২৩৯ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ঝিনাইদহ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মসিউর রহমানের ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তার সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (২৫ অক্টোবর) যশোরের স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক নিতাই চন্দ্র সাহা এ আদেশ দেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলার দুটি ধারায় এ আদেশ দেয়া হয়।

২৬ (২) ধারায় তথ্য গোপনের অভিযোগ তিন বছরের কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা; ২৭ (১) ধারায় ১০ বছরের কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড। এছাড়াও ১০কোটি ৫ লাখ ৬৯ হাজার ৩৩০ টাকার সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) যশোরের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, সাবেক এমপি মসিউর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত সর্বোচ্চ শাস্তির রায় দিয়েছেন।

মামলার নথিসূত্রে জানা যায়, জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিবিহীন প্রায় ১০কোটি ৫ লাখ ৬৯ হাজার ৩৩০ টাকার সম্পদ অবৈধভাবে অর্জনের অভিযোগে ২০০৮ সালের ১৪ ডিসেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয় কুষ্টিয়ার তৎকালীন সহকারী পরিচালক মোশারফ হোসেন মৃধা মামলা দায়ের করেন।

২০০৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর মামলাটি তদন্ত শেষে মো. মসিউর রহমানকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখির করেন তদন্ত কর্মকর্তা ও দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে যশোরের উপ-পরিচালক মো. নাসির উদ্দিন। যার নম্বর ৩৮৮।

২০০৯ সালের শেষের দিকে ঝিনাইদহ সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত মামলাটি আমলে নেন। আমলযোগ্য মামলাটির বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে প্রসিডিং কোয়াসমেন্টের জন্য আবেদন করেন মো. মসিউর রহমান। এরপর ২০১০ সালের ৬ জুন উচ্চ আদালত মামলাটির পরবর্তী কার্যক্রম স্থগিত করেন। যার নম্বর ক্রিমিনাল মিসকেস নম্বর ১৬৬/৭১/২০১০।

চার বছর পর ২০১৪ সালের ১৭ এপ্রিল উচ্চ আদালত আসামির মকদ্দমা খারিজ করে স্থগিতাদেশ বাতিল করেন। একই সঙ্গে স্পেশাল জজ আদালত যশোরকে মামলার কার্যক্রম আইন অনুযায়ী পরিচালনার নির্দেশ দেন। এরপর আসামি পক্ষের বিভিন্ন সময়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০১৫ সালের ১ ফেব্রুয়ারি আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি শুরু হয়। অভিযোগ গঠনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে লিভ টু আপিল (যারা নম্বর ৩৩২/১৪) দাখিল করেন আসামি। পরবর্তীতে লিভ টু আপিল খারিজ হয়ে গেলে পুনরায় সুপ্রিম কোর্টে রিভিউ পিটিশন ৭৪/১৫ দাখিল করেন। রিভিউ পিটিশন খারিজ হলে বিচার কাজ শুরু হয়। পুনরায় আয়কর আইনের বিরুদ্ধে ৪৩৩৭/১৬ রিট পিটিশন দাখিল করেছেন উচ্চ আদালতে। সেখানে এই মামলার বিষয়টিও অর্ন্তভুক্ত করা হয়।

যশোর স্পেশাল জজ আাদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে বুধবার রায় ঘোষণা করা হল।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

বিএনপির সাবেক এমপি মসিউরের ১০ বছর কারাদণ্ড

আপডেট টাইম : ১১:৫৩:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ অক্টোবর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ঝিনাইদহ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মসিউর রহমানের ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তার সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (২৫ অক্টোবর) যশোরের স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক নিতাই চন্দ্র সাহা এ আদেশ দেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলার দুটি ধারায় এ আদেশ দেয়া হয়।

২৬ (২) ধারায় তথ্য গোপনের অভিযোগ তিন বছরের কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা; ২৭ (১) ধারায় ১০ বছরের কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড। এছাড়াও ১০কোটি ৫ লাখ ৬৯ হাজার ৩৩০ টাকার সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) যশোরের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, সাবেক এমপি মসিউর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত সর্বোচ্চ শাস্তির রায় দিয়েছেন।

মামলার নথিসূত্রে জানা যায়, জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিবিহীন প্রায় ১০কোটি ৫ লাখ ৬৯ হাজার ৩৩০ টাকার সম্পদ অবৈধভাবে অর্জনের অভিযোগে ২০০৮ সালের ১৪ ডিসেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয় কুষ্টিয়ার তৎকালীন সহকারী পরিচালক মোশারফ হোসেন মৃধা মামলা দায়ের করেন।

২০০৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর মামলাটি তদন্ত শেষে মো. মসিউর রহমানকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখির করেন তদন্ত কর্মকর্তা ও দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে যশোরের উপ-পরিচালক মো. নাসির উদ্দিন। যার নম্বর ৩৮৮।

২০০৯ সালের শেষের দিকে ঝিনাইদহ সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত মামলাটি আমলে নেন। আমলযোগ্য মামলাটির বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে প্রসিডিং কোয়াসমেন্টের জন্য আবেদন করেন মো. মসিউর রহমান। এরপর ২০১০ সালের ৬ জুন উচ্চ আদালত মামলাটির পরবর্তী কার্যক্রম স্থগিত করেন। যার নম্বর ক্রিমিনাল মিসকেস নম্বর ১৬৬/৭১/২০১০।

চার বছর পর ২০১৪ সালের ১৭ এপ্রিল উচ্চ আদালত আসামির মকদ্দমা খারিজ করে স্থগিতাদেশ বাতিল করেন। একই সঙ্গে স্পেশাল জজ আদালত যশোরকে মামলার কার্যক্রম আইন অনুযায়ী পরিচালনার নির্দেশ দেন। এরপর আসামি পক্ষের বিভিন্ন সময়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০১৫ সালের ১ ফেব্রুয়ারি আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি শুরু হয়। অভিযোগ গঠনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে লিভ টু আপিল (যারা নম্বর ৩৩২/১৪) দাখিল করেন আসামি। পরবর্তীতে লিভ টু আপিল খারিজ হয়ে গেলে পুনরায় সুপ্রিম কোর্টে রিভিউ পিটিশন ৭৪/১৫ দাখিল করেন। রিভিউ পিটিশন খারিজ হলে বিচার কাজ শুরু হয়। পুনরায় আয়কর আইনের বিরুদ্ধে ৪৩৩৭/১৬ রিট পিটিশন দাখিল করেছেন উচ্চ আদালতে। সেখানে এই মামলার বিষয়টিও অর্ন্তভুক্ত করা হয়।

যশোর স্পেশাল জজ আাদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে বুধবার রায় ঘোষণা করা হল।