হাওর বার্তা ডেস্কঃ রেজিস্ট্রেশন (সংশোধন) আইন-২০০৪ প্রবর্তনের পূর্বে রেজিস্ট্রেশন আইন-১৯০৮ এর বিধান মোতাবেক দলিল নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি প্রদান করে নির্দিষ্ট মূল্যের স্ট্যাম্পে লিখিত হতো। তখন দলিলের কোন নির্ধারিত ফরম ছিল না। দলিল লেখনগণ রেজিস্ট্রেশন আইন-১৯০৮ এর বিধান অনুসরণ করে তাদের গতানুগতিক কিছু ভাষা প্রয়োগ করে দলিলের মূল গাঁথুনি তৈরি করতেন। দলিলের সমগ্র অবয়বের মধ্যে দাতা, গ্রহিতা, চৌহদ্দি, তফসিলের বর্ণনা, বিক্রয়ের কারণ ছাড়া অন্যান্য অপ্রাসংগিক বিষয়ে আলোচনা থাকতো বেশি। কোন দক্ষ ব্যক্তি ছাড়া দলিল থেকে পাঠোদ্ধার করে দলিলের মূল বক্তব্য উদ্ধার করা কঠিন ছিল। দলিল সম্পাদনকালে দলিলদাতাকে কোন ডকুমেন্ট উপস্থান করতে হতো না, শুধুমাত্র নিজেকে দলিল দাতা হিসেবে পরিচয় দিয়ে, দুজন সাক্ষী ও একজন সনাক্তকারীর স্বাক্ষর গ্রহণ করে দলিল সম্পাদিত হতো। ফলে ভুয়া দলিল সম্পাদনের সম্ভাবনা থাকতো বেশি। তা ছাড়া বিক্রেতা জমির প্রকৃত মালিক কি না, মালিক হলে তিনি কি পরিমাণ সম্পত্তির মালিক তা যাচাই করার কোন পদ্ধতি ছিল না। এ সকল সমস্যা দূরীকরণের জন্য দলিল রেজিস্ট্রিকরণের ক্ষেত্রে যুগান্তকারী পরিবর্তন আনে “ রেজিস্ট্রেশন (সংশোধন) আইন-২০০৪” ও “ রেজিস্ট্রেশন (সংশোধন) আইন-২০০৬”।
রেজিস্ট্রেশন (সংশোধন) আইন-২০০৪ প্রবর্তনের পূর্বে কোন দলিল নিম্মবর্ণিত প্রধান অংশ ছিলঃ
(ক) দাতার নাম ও ঠিকানা।
(খ) গ্রহীতা/গ্রহীতাগণের নাম ও ঠিকানা।
(গ) দলিল সম্পদনের কারণসমূহ গতানুগতিক বর্ণনা।
(ঘ) বিক্রিতা জমির চৌহদ্দি।
(ঙ) বিক্রিত জমির তফসিল।
(চ) এফিডেফিট।
(ছ) প্রতি পৃষ্ঠায় বিক্রেতার স্বাক্ষর ও শেষ পৃষ্টায় স্বাক্ষী ও সনাক্তকারীর স্বাক্ষর, নাম ও ঠিকানা।
রেজিস্ট্রেশন (সংশোধন) আইন-২০০৪ এর মাধ্যমে সংযোজিত ধারা ২২-এ এর বিধান মোতাবেক সরকার এস আর ও নং-৮১-আইন/২০০৫, তারিখ-০৬/০৪/২০০৫ খ্রিঃ এর মাধ্যমে ভূমি রেজিস্ট্রেশন এর জন্য সম্পত্তি হস্তান্তরের একটি নমুনা “ফরম” প্রবর্তন করেন। বর্তমানে উক্ক নমুনা ফরম অনুযায়ী দলিল সম্পদিত হচ্ছে।