ঢাকা ১২:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ২৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

২৯ অক্টোবর শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার দুই মামলার রায়

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:৪৬:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ অক্টোবর ২০১৭
  • ২৬৪ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে ১৯৮৯ সালের ১০ আগস্ট বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরক আইনের দুই মামলায় আগামী ২৯ অক্টোবর রায় ঘোষণা করবে আদালত।

সোমবার ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জাহিদুল কবির পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের অস্থায়ী এজলাসে রায় ঘোষণার এ তারিখ ঠিক করেন।

এর আগে গত ২০ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় ২০০০ সালের ৭৬ কেজি বোমাসহ দুইটি হত্যাচেষ্টার মামলায় দশ আসামির মৃত্যুদণ্ড, এক আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, অপর তিন আসামির ১৪ বছর করে কারাদণ্ড এবং নয় আসামির ২০ বছর করে কারাদণ্ডের রায় দেয় ট্রাইব্যুনাল।

১৯৮৯ সালের ১০ আগস্ট মধ্যরাতে ফ্রিডম পার্টির নেতৃত্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাসভবনে গুলি ও গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়। তিনি তখন ওই বাসাতেই থাকতেন এবং ঘটনার সময় ওই বাড়িতেই অবস্থান করছিলেন। ওই ঘটনায় বাড়ির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কনস্টেবল জহিরুল ইসলাম একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় ফ্রিডম পার্টির সদস্য কাজল ও কবিরের নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একটি দল ৩২ নম্বরের বাড়িতে অতর্কিতে গুলিবর্ষণ ও বোমা হামলা করে এবং হামলাকারীরা তখন ‘কর্নেল ফারুক-রশিদ জিন্দাবাদ’ বলে স্লোগান দিতে দিতে পালিয়ে যায় বলে এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে।

মামলার তদন্ত করে ১৯৯৭ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি ১৬ জনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল হয়।

২০০৯ সালের ৫ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচারকাজ শুরু হয়। মামলার আসামিদের মধ্যে গোলাম সারোয়ার, ফ্রিডম সোহেল, জর্জ, মো. শাজাহান বালু, নাজমুল মাকসুদ মুরাদ কারাগারে রয়েছেন। জামিনে রয়েছেন হুমায়ুন কবির (১), মিজানুর রহমান, খন্দকার আমিরুল ইসলাম কাজল ও গাজী ইমাম হোসেন।

মামলার অপর আসামি সৈয়দ ফারুক রশীদ ও বজলুল হুদার বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় তাদের চার্জগঠনের সময় অব্যাহতি দেয়া হয়।

অপর চার আসামি লেফটেনেন্ট কর্নেল আবদুর রশীদ, মো. হুমায়ুন কবীর (২), জাফর আহম্মদ, রেজাউল ইসলাম খান পলাতক ছিলেন। ২০১৪ সালেই মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ পর্যায়ে আসে। কিন্তু পলাতক থাকা আসামি নাজমুল মাকসুদ মুরাদকে ২০১৪ সালে ২০ মার্চ ইন্টারপোলের সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরিয়ে আনার পর পুনরায় ওই আসামিপক্ষে জেরার জন্য সাক্ষীদের রি-কল করা হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

২৯ অক্টোবর শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার দুই মামলার রায়

আপডেট টাইম : ০৪:৪৬:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ অক্টোবর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে ১৯৮৯ সালের ১০ আগস্ট বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরক আইনের দুই মামলায় আগামী ২৯ অক্টোবর রায় ঘোষণা করবে আদালত।

সোমবার ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জাহিদুল কবির পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের অস্থায়ী এজলাসে রায় ঘোষণার এ তারিখ ঠিক করেন।

এর আগে গত ২০ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় ২০০০ সালের ৭৬ কেজি বোমাসহ দুইটি হত্যাচেষ্টার মামলায় দশ আসামির মৃত্যুদণ্ড, এক আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, অপর তিন আসামির ১৪ বছর করে কারাদণ্ড এবং নয় আসামির ২০ বছর করে কারাদণ্ডের রায় দেয় ট্রাইব্যুনাল।

১৯৮৯ সালের ১০ আগস্ট মধ্যরাতে ফ্রিডম পার্টির নেতৃত্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাসভবনে গুলি ও গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়। তিনি তখন ওই বাসাতেই থাকতেন এবং ঘটনার সময় ওই বাড়িতেই অবস্থান করছিলেন। ওই ঘটনায় বাড়ির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কনস্টেবল জহিরুল ইসলাম একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় ফ্রিডম পার্টির সদস্য কাজল ও কবিরের নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একটি দল ৩২ নম্বরের বাড়িতে অতর্কিতে গুলিবর্ষণ ও বোমা হামলা করে এবং হামলাকারীরা তখন ‘কর্নেল ফারুক-রশিদ জিন্দাবাদ’ বলে স্লোগান দিতে দিতে পালিয়ে যায় বলে এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে।

মামলার তদন্ত করে ১৯৯৭ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি ১৬ জনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল হয়।

২০০৯ সালের ৫ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচারকাজ শুরু হয়। মামলার আসামিদের মধ্যে গোলাম সারোয়ার, ফ্রিডম সোহেল, জর্জ, মো. শাজাহান বালু, নাজমুল মাকসুদ মুরাদ কারাগারে রয়েছেন। জামিনে রয়েছেন হুমায়ুন কবির (১), মিজানুর রহমান, খন্দকার আমিরুল ইসলাম কাজল ও গাজী ইমাম হোসেন।

মামলার অপর আসামি সৈয়দ ফারুক রশীদ ও বজলুল হুদার বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় তাদের চার্জগঠনের সময় অব্যাহতি দেয়া হয়।

অপর চার আসামি লেফটেনেন্ট কর্নেল আবদুর রশীদ, মো. হুমায়ুন কবীর (২), জাফর আহম্মদ, রেজাউল ইসলাম খান পলাতক ছিলেন। ২০১৪ সালেই মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ পর্যায়ে আসে। কিন্তু পলাতক থাকা আসামি নাজমুল মাকসুদ মুরাদকে ২০১৪ সালে ২০ মার্চ ইন্টারপোলের সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরিয়ে আনার পর পুনরায় ওই আসামিপক্ষে জেরার জন্য সাক্ষীদের রি-কল করা হয়।