শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সুস্থ সবল কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী গড়ে তুলতে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলাসহ শরীরচর্চায় উদ্বুদ্ধ করার জন্য শারীরিক শিক্ষাবিদদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। মন্ত্রী আজ শনিবার ঢাকার মোহাম্মদপুরে বাংলাদেশ শারীরিক শিক্ষাবিদ সমিতির ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ আহবান জানান।
বাংলাদেশ শারীরিক শিক্ষাবিদ সমিতির সভাপতি আলী আজগর খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তৃতা করেন, ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর আবু বকর সিদ্দিক।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, খেলার মাঠ ও খোলা জায়গার অভাবে শিশু কিশোরেরা আগের মত খেলাধুলার সুযোগ পাচ্ছে না। শহর অঞ্চলে এ সমস্যা আরো প্রকট। আধুনিক জীবন ধারায় আমরা কায়িক পরিশ্রম থেকে দূরে সরে যাচ্ছি। টেলিভিশন আর কম্পিউটার শিশুদের ঘরে আবদ্ধ করে ফেলেছে। এর ফলে জটিল স্বাস্থ্য সমস্যা ছাড়াও নানাবিধ সামাজিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে। সত্যিকারের জনসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে আমাদের তরুণ প্রজন্মকে এ আবদ্ধ জীবনধারা বের করে আনতে হবে। এখানে শারীরিক শিক্ষাবিদদের একটা বিরাট ভূমিকা রয়েছে। এ উপলব্ধি থেকেই মাধ্যমিক পর্যায়ে শারীরিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক বিষয় হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেছে বর্তমান সরকার। সারাদেশে এসব স্কুলে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বিপুল সংখ্যক শারীরিক শিক্ষাবিদ। যথাযথভাবে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে সুস্থ জাতি গঠনে অবদান রাখার জন্য শিক্ষামন্ত্রী শারীরিক শিক্ষাবিদ শিক্ষকদের প্রতি আহবান জানান।
শিক্ষামন্ত্রী তাঁর বক্তৃতায় শারীরিক শিক্ষাকে সামগ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থার অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, জাতীয় শিক্ষা নীতিতে খেলাধুলাসহ শারীরিক শিক্ষাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। সরকার সারাদেশে স্কুল ও মাদ্রাসা পর্যায়ে শীতকালীন ও গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজন করে আসছে। তিনি বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে এধরনের খেলাধুলার আয়োজন ও সাংস্কৃতিক কর্মকা-ের মাধ্যমে আমাদের যুব সমাজকে উৎশৃঙ্খলা, অপসংস্কৃতি ও মাদকের ছোবল থেকে দূরে রাখা সম্ভব।
অনুষ্ঠানে প্রখ্যাত শারীরিক শিক্ষাবিদ মোঃ খায়রুল ইসলাম খানকে সম্মাননা তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী ।
দিনব্যাপী সম্মেলনে সারাদেশ থেকে ১৫০০ শারীরিক শিক্ষাবিদ অংশগ্রহণ করেন।