ঢাকা ০৯:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বন্যা বইবে হাওর এলাকায়

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৮:৩৫:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭
  • ৬৮০ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বছরের ছয় সাত মাসই অধিকাংশএলাকা থাকে পানির নিচে । দেশের উত্তর পূর্বের এমন সাতটি জেলা নিয়ে হাওর অঞ্চল, পৃথিবীর বুকে ভাটির দেশ বাংলাদেশ আর বাংলাদেশের বুকে ভাটিদেশ হাওর দেশ যতা হাওর নাভিমূলে ইটনা, মিটামই,অস্টোগ্রাম, শাল্লা, খালিয়াজুরী, আর হাওর দেশের নিম্ন এলাকার ক্রমানয়ে হাওরে সুনামগঞ্জে ১৩২ টি কিশোরগঞ্জে ১২২ টি, নেত্রকোনা ৮১ টি, হবিগঞ্জ ৩০ টি, সিলেটে ৪৩ টি, মেীলভীবাজারে ৩ টি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ০৩ টি মোট ৪১৪ টি হাওর আছে। সরকারি পরিসংখ্যান বলছে প্রায় দুইকোটি মানুষের এই অঞ্চল সবচেয়ে দরিদ্র ও পীড়িত তথ্য ও পরিসংখ্যান বলছে অন্যান্যর চেয়ে সবদিকে পিছিয়ে আছে হাওর এলাকা। দেশের স্বাক্ষরতার হার যেখানে ৫৪.৮ হাওর অঞ্চলের সেখানে ৫১ শতাংশ। শিশু মৃত্যুর হার জাতীয় পর্যায়ে ৪৯ শতাংশ । হাওরে তা ৫৭ শতাংশ। একটি সমিক্ষায় দেখা গেল এবছর ক্ষতির পরিমান হাওরের সাতটি জেলায় গড়ে ৭৫ ভাগ বোরো ফসল তলিয়ে গেছে, ৭ টি জেলায় মোট ১১ লক্ষ ৩৪ হাজার ৬০০ পরিবার ক্ষতি সম্মুক্ষীন হয়েছে। সবছেয়ে বেশি ক্ষতি সুনামগঞ্জ এজেলায় ৯৮% জমি তলিয়ে গেছে এ বছর সুনামগঞ্জ জেলায় ২ লক্ষ ২৩ হাজার ৮৭ হেক্টর জমিতে চাষ হয় বোরো ফসল, এর মধ্যে ২ লক্ষ ১৮ হাজার হেক্টর তলিয়ে যায়, যা থেকে ৯ লক্ষ টন ধান পাওয়া যেত। এ বছর ২২ লক্ষ টন ধান হারাল কৃষক দুই হাজার টন মাছ হারাল এক হাজার টন সবজি হারাল, হাঁস মারা গেল ত্রিশ হাজার, ১৩ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি মনে করা হল। আর একটা কথা আছে ভাতে মাছে বাঙ্গালি ।এই ভাত মাছ অধিকাংশ যোগান আসে এই হাওর জনপদ থেকে । তাই বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অর্থনীতিতে বিরাট অবদান এই হাওর অঞ্চলের । কিন্তু ভাগ্যের কোন পরিবর্তন নেই হাওরের জনগনের । আরেকটি কথা আছে ছাই মাঝে ৫ টাকা হাত চাতুরীর ১০ টাকা । যেমন ভাত মাছ দুটি নিয়ে বলেই সাধারণত যারা মাছ ধরে তারা শুধু ধরেই না পায় ন্যায্য দাম না পায় জলদস্যুদের হাত থেকে রেহাই । আবার ভাতের কথা চাউলাসান্বিত ধানকে কত কষ্ট করে হাওরের কৃষক শত চেষ্টা ও ধারাবাহিকতায় তা উৎপাদন করে। আবার ভূমিদস্যুদের খপ্পরে পরে জমিজমা হারিয়ে সর্বশান্ত হয়। না পায় উচিত মূল্য, না পায় উৎপাদনের লক্ষ্যে কারও একটু সহানুভূতির হাত । চক্রবৃদ্ধির সুদে টাকা নিয়ে (এমনকি এক টাকায় দুই টাকা পচিঁশ পয়সা দিতে হয় প্রতি বছরে ) আবাদ শেষে অংক করে লাঙল জোয়ালের পয়সা থাকে না। পরক্ষণে গীত অনুসরণকল্পে আগমনি বার্তা এসো হে বৈশাখ শিরোনামে কবির বকুল একটি গীত করেছিলেন বাংলাদেশের প্রাণকেন্দ্র ঢাকার রমনার বটমূলে কথা হবে প্রাণখুলে জানিয়ে দিলাম, তোমায় জানিয়ে দিলাম কি সুন্দর গান আর আমাদের ভাটি এলাকার শোকের কথা হাওরের মাঠে ঘাটে আর ক্ষেত খামার ভাসিয়ে নিলাম, তোমায় ভাসিয়ে নিলাম । কবি বন্দে আলী মিয়া বলেছিলেন আমাদের ছোট নদী চলে বাকেঁ বাকেঁ বৈশাখ মাঠে তার হাটু জল থাকে কিন্তু আমাদের এই আকাবাঁকা নদীগুলোতে কি হাটু জল থাকে? আমাদের হয় কি নদী নালা খাল বিল মাঠ ঘাট হাওর ডুবে রীতিমত বর্ষা নয় যেন বঙ্গোপসাগর হয়ে যায় এর কারণ আমাদের হাওর এলাকার পানি আসতে সময় লাগে না কিন্তু যেতে ্অনেক সময় লাগে। তাই আমাদের কান্নার সীমা থাকে না। আষাঢ়ে বাদল নামে নদী ভরভর মাতিয়া ছুটিয়া চলে ধারা করতর লাইন দুটি আষাঢ়ে কবিতার কবি রবীন্দ্রনাথ ভাব আবেগ আষাঢ় করুণ চিত্র কাল্পনিক বাস্তবতা উপলব্দি কল্পে লাইন দুটির অনেক ভাবার্থ আছে। যা আমরা হাওর এলাকার মানুষ ক্ষণে ক্ষণে উপলব্দি করতে পারি। আরেক উদ্দাম গায়ক গীতিকার বারেক সিদ্দিকী আষাঢ়ে একটি গান স্মৃতিচারণ করেছেন আষাঢ় মাসের ভাসা পানি রে, ওরে বাদাম দেখে চাইয়া থাকি আমার নি কেউ আসেরে আষাঢ় মাসের ভাসা পানি রে তাই আষাঢ় নিয়ে অনেক কবি, সাহিত্যিক, দার্শনিক , লেখক, অনেক কবিতা, অনেক গল্প,ভ্রমন কাহিনী, হাজারো করুন কাহিনী জেলে মাছ ধরা, নদী ভাংগন হাওর বন্যা হঠাৎ করে ঝড় ঝাপটা জলোচ্ছ্বাস, প্রচন্ড ঢেউ ভেংগে নিয়ে যাওয়া হাওর এলাকার ঘর বাড়ি, যেন দ্বিপ ও নয়, দ্বিপের মত চতুরর্দিকে পানি। ভাসমান কুচরিপানার মত মনে হয় হাওর এলাকার মানুষের জীবন যাপন, তা থেকে কি আমাদের হাওরের মানুষের মুক্তির বিধান নেই। তারা কি শুধু রোদ বৃষ্টি,ঢেউ ভাংগনে, আর বন্যায় কৃষি জমি তলিয়ে নেওয়া আজীবন চলমান সংগ্রাম করবে, তা থেকে কি তাদের মুক্তি হবে না কোন দিন?সুধী হাওরবাসি, কি বলব হাওরের কথা , মনে লাগে নিজের ব্যাথা। আমরা যারা দীর্ঘদিন আজীবন হাওরের বাসিন্দা আমাদের কিছু ভাবনার পরিবর্তন করা দরকার যেমন আমরা অনেকই অনেক ধরনের ভাব নিয়ে আছি কারও বা বংশ মর্যাদা, দাম্বীকের গৌরব কেউ বলে আমরা চৌধুরী বাড়ির লোক, কেউ বা বলে আমার দাদা অত্র এলাকার জমিদার ছিল আবার আমি না সরকার বাড়ির লোক ,আরও না কত মিঞা সাব, দুই বছর লন্ডনে বাগান পরিস্কার করে দেশে এসে লন্ডনী বাড়ী নাম ধারন করে খুব নামি দামিলোক হিসেবে দাবী করে বাস্তবত কি তাই? ব্স্তবতা হল সেই বস্তু যা ধারন করলে মানুষের মঙ্গল হয়, একতা ,সততা, ভাল ব্যবহারই হল বংশের পরিচয়। আর চৌধুরী , সরকার , জমিদার, মিঞা সাব কিশোরগঞ্জ পেরিয়ে গেলে ইটনা, আজমিরী, শাল্লা, খালিয়াজুরী অনেকেই চেনে না সবাইকে হাওরের মানুষের নামে পরিচিত, এমন কি আমাদের সংসদ সদস্যরাও হাওর স্বীকৃতিতে আবদ্ধ। ‘‘ হিজল খরচ লাগাই ভাই, আফাল থেকে রক্ষা পাই।’’সুধী বৃন্দ আমরা ধর্মের দৃষ্টিকোন থেকে পেয়েছি যা ধারন করলে আমাদের কল্যান বা মঙ্গল হয় তাই ধর্ম, আর যিনি সৎ জ্ঞানে বাস্তব ধর্মি ,ভাল কাজে মন্দ পথ বারন করে মঙ্গলময় দেখায় এবং সহচরি হয়ে চলমান পথযাত্রি তিনি ভগবান স্বরুপ আবার আমরা হাওরের মানুষ হাওরের বিভিন্ন গাছ বৃক্ষবাজিকে দেবতা নামে আখ্যায়িত করি যেমন মহাদেব গাছ হরি গাছ, কালী গাছ ইত্যাদি। তাই আমি মনে করি আমরা হাওর এলাকার মানুুষ ,আমরা দিন রাত নৌকা নিয়ে চলার পথে ঐ বৃক্ষ রাজীগুলো আমাদের সহচর হয়ে কাজ করে । আমরা জানি কোন দেশ এলাকার আবহাওয়া ভারসাম্য বজায় রাখতে হলে ২৫%বনভূমি থাকা দরকার তা কি আমাদের হাওর এলাকায় আছে? তাই আমাদের অনেক বনাঞ্চল তৈরি করা দরকার, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে। আর হাওর এলাকায় বর্ষায় জলাভূমিতে প্লাবিত হাওয়ায় সব গাছ নিয়ে বনাঞ্চল তৈরি করা সম্ভব নয়। তাই হিজল করচ কলমি গাছ দিয়ে ২৫%-৩০% বনাঞ্চল তৈরি করা দরকার । আর তা হলেই আমাদের হাওরের নিরাপদ আশা করা যেতে পারে বর্ষা মৌসুমে বা অতিবৃষ্টি , অনাবৃষ্টি, শিলাবৃষ্টি থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব । সুধী হাওরবাসী নদী মাতৃক বাংলাদেশে অসংখ্যা নদ নদী খাল বিল হাওর- বাওর,মাঠ-ঘাট,ক্ষেত জমি বর্ষায় সম পর্যায় হয়ে সাগরে পরিনত হয়। আমরা পূর্ব পুরুষের কথামৃতে শুনেছি আমাদের হাওর এলাকা এক সময় সাগর ছিল। আর সে সাগর পাড়ি দিয়ে পদ্মপুরানে চাদসওদাগর চৌদ্দ ডিঙ্গি দিয়ে বাণিজ্য করত আর পূজাপিপাসীদেবী পদ্মার চক্রান্তে ব্রহ্মপুত্র নদে ডিঙ্গা লন্ডভন্ড তথা চাদপুত্র লকাই কে সাপে দংশন ও বেহুলার সতীত্ব পদার্পন বহু কষ্টে অর্জিত লক্ষিণদর কে নতুন ভাবে জীবন দানসহ হাওরের অনেক ইতিহাস। আর চাদ সওদাগর পাড়াপাড়ের সাগরকে .নাকি কালীদ্বয় সাগর নামে স্বীকৃত। সেখানে চর পরে ব্রহ্মাপুত্র চর, সুরমা ,কুশিয়ার ,কালনী, মেঘনা আর বিভিন্ন শাখা প্রশাখা নদী নালা খাল বিল হাওর বাওরে বন জঙ্গলের সৃষ্টি হয়। আর পরক্ষণে ভারতবর্ষ থেকে আগত পর্যটক তথা ভারতের অবহেলিত আর্য সমাজ বন জঙ্গল উজার করে অত্র এলাকায় বসতী স্থাপন করে। বসবাস কল্পে তারা বিভিন্ন বাস্তবত ও কঠিন জীবন যাপন করতে থাকে, নিজেদের ধর্মের পূজা পার্বন করতে থাকে। আর বর্ষা আসলে রামায়ণ, মহাভারত ও পদ্মপুরান পাঠ বর্ষা কাটাতে চেষ্টা করে ,তবে হাওরের মানুষ পদ্ম পাঠে বেশী নিমগ্ন থাকত । ভিন্ন সুরে গান, আবৃতি ও নৃত্য চর্চা করে ও মধ্য বর্ষায় পূজা দেবী পদ্মার পূজা করে জমজমাট পূর্ণভাবে । এমনকি কোন ছেলে সম্মন্ধ করতে তারা জেনে নিতে মেয়ে পদ্মপুরান গানের সুরে পরতে পারে কিনা , না পারলে সম্মন্ধ করতে কষ্ট হত । তাই মেয়েরা বিভিন্নভাবে পাঠে অবিরাম চর্চা করত, ধাপে ধাপে বৃটিশদের শাসন তথা জমিদার প্রথা আগমন ও মুসলমানদের বসবাস ও বর্ণ বৈশম্যের সৃষ্টি, অনেক নিম্ন বর্ণের হিন্দুদের মুসলমান ধর্মে ধর্মান্তর ।আর জমিদারদের হাতেই ন্যস্ত ছিল ঐ এলাকার কৃষ্টি কালচার এবং তারাই সমাজে বিভিন্ন ধরনের আইন কানুন নিয়ম নীতি প্রদর্শন করত যেমন;জমিতে খজনা প্রদান, জলাশয়ে পিশারী ইজারা প্রদান, সংস্কৃতির মধ্য বর্ষায় নৌকা বাইস , পদ্মপুরান ও ঘেটু গান উল্লেখযোগ্য। আর বসন্তে ওরি গান, জারি সারি ভাটিয়ালি ধাপে ধাপে পল্লিগীতি, রবীন্দ্রসংগীত , নজরুলগীতি, আধুনিক, ছায়াছবি ও বাউল গানের আবির্ভাব ঘটে । ্আর ঘেঠু গানের উপর বৃত্তি করে প্রয়াত কথা সাহিত্যিক নাট্য ব্যক্তিত্ব হূমায়ূন আহমেদ এক চলচিত্র নির্মান করেছেন যার নাম ‘‘ঘেটুপুত্র কমলা”আর ঘেটুপুত্র কমলা চলচিত্রের উপর ভিত্তি করে হূমায়ূন আহমেদ ২০১৩ সালে সেরা একুশে পদক পুরুষ্কার পান। প্রায় দেড়শ বছর আগে হবিগঞ্জ জেলার আজমিরীগঞ্জ উপজেলার জলসুখা গ্রামের এক বৈষ্ণব আখড়ায় ঘেটুগান নামে নতুন সংগীত ধারা সৃষ্টি হয়েছিল মেয়েলী পোষাক পরে কিছু কিশোর নাচ গান করত । তাদের নাম ঘেটু। গান হত প্রচলিত সুরে যেখানে উচ্চাঙ্গসংগীতের প্রভাব ছিল সুষ্ঠ। অতি জনপ্রিয় এই সংগীত ধারায় নারী বেশী কিশোর উপস্থিতির কারণেই এর মধ্যে অশ্লীলতা ঢুকে পড়ে। বিত্তবানরা এসব কিশোরকে যৌন সঙ্গী হিসেবে পাওয়ার জন্য লালায়িত হতে শুরু করে। এক সময় সামাজিক ভাবে বিষয়টা স্বীকৃতি পেয়ে যায়। হাওর অঞ্চলের শৌখিন মানুষ জলবন্দি সময়টায় কিছুদিনের জন্য হলেও ঘেটুপুত্র নিজের কাছে রাখবেন এ বিষয়টা স্বাভাবিক ভাবে বিবেচিত হতে থাকে। শিৗখিন মানুষের স্ত্রীরা তাদেরকে সতীনের মত দেখতেন এরই ধারা বাহিকতায় গ্রামে গ্রামে যাত্রা নাটকের আবির্ভাব ঘটে আর আজ কাল চুরি চামারীতে অতিষ্ঠ হাওরের সহজ সরল মানুষজন , শাল্লা উপজেলার কামারগঞ্জ চুরের গ্রাম হিসেবে কুখ্যাত, ঐ গ্রামের চোরেরা হাওরের সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা ও হবিগঞ্জ জেলার ১০-১৫ টি উপজেলার অনাচেকানাচে চুরি চামাড়ী করে থাকে, চুরি কৃত জিনিসপত্র, গরু-বাচুর তাদের কাছ থেকে কিনে আনতে হয়, প্রশাসন দেখেও না দেখার ভান করে বসে আছে, অনেক গ্রামে তাদেরকে মাসোয়ারা দিচ্ছেন, চরি না করার শর্তে । এর একটা শুরহা করা দরকার , হয় সরকার এদের দমন করুক না হয় পূর্নবাসন দেয়া হইক, স্বাধীনদেশে চুরি করে জীবিকায়ন করা কোন ব্যক্তি গোষ্টির কাম্যনয় । আর আজ দারিদ্র্যের কষা ঘাতে নিষ্পেশিত গ্রামীন জনপদ জমিজমা অনমনীয় ফসল নাহ্য মূল্যের অভাবে কৃষক সর্বশান্ত । সম্মানীত সুধী আমরা হাওর এলাকার মানুষ ইতিহাস উপলব্দী করলে দেখা যাবে, দানশীলতা , যুদ্ধবিদ্রোহ, মেধাবীমুখ দেশ পরিচালনায় নেতৃত্বদান অনেক জ্ঞানী গুনীজন রয়েছেন যার স্ব স্ব কৃতিত্বে মহীয়ান হয়ে দেশ দশের কাজে আত্ম নিয়োজিত করে বলীয়ান হয়েছেন। তাদের মধ্যে দানবীর ব্যক্তিত্বের নাম শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি হাওর এলাকার ইটনা উপজেলার জয়সিদ্ধিতে ১৮৪৭ সালে ২৩শে সেপ্টেম্বর জন্ম গ্রহন করে ও ১৯০৬ সালে ২০ আগষ্ট মৃত্যূ বরণ করেন, যার নামে অনন্দ মোহন বসু ময়মনসিংহ অনন্দ মোহন কলেজের প্রতিষ্ঠাতা, উপ-মহাদের প্রথম বাংলার বাঙ্গালী রেনেসার অন্যতম স্থাপতি, ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা, ভারতীয় “সাধারন ব্রাহ্ম সমাজ” প্রতিষ্ঠাতা ও দু-দু ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। উনার আন্দোলনে ১৮৭৮ সালে ২৭ এপ্রিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে সিনেট নারীর জন্য ডিগ্রি লাভের দাবী মেনে নেয়। (সামনে ১১১ তম মৃতু বার্ষিকী ২০শে আগষ্ট উনার মৃত্যু বার্ষিকী অথছ ইটনা উপজেলার জয়সিদ্ধির পৈতিক বাড়িটি কে বা কারা বসবাস করে আসছে, দেশ বিদেশে অনেক দর্শনার্থী এখানে আস পাচ্ছেনা কোন নিদর্শন । তাই বাংলাদেশ সরকারের পতœথত্য অধিদপ্তর এটা তদন্ত করে “হাওর পর্যন্টন কেন্দ” ব্যবস্থা করার এলাকা বাসির দীর্ঘদিনের দাবী। মরে গেছে পাশা, হাল ছারেনি আশা। হাওরঞ্চলে কিশোর গঞ্জের ইটনা থানার লাইমপাশা গ্রামের ডঃ নিয়াজ উদ্দিন পাশা যার জন্ম ১৯৬৫ সালে কৃষি বান্ধব ও হাওর বান্ধব সায়বাদিক হাওর ভুমিপৃত্র উনার নামের আগে লাগাতে সাচ্ছন্দ বোধ করতেন। তিনি শুরুতে ইনাকলাবের সাংবাদিকতা করেছেন বাংলাদেশের ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। কৃষি শিক্ষার সর্বোচ্ছ বিদ্যাপিঠ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় , ময়মনসিংহ, কৃষি প্রকৌশল ও কারিগরী অনুষদে লেখাপাড়া করেন, (১৯৮৯-৯০) এর ফজলুল হক ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন। বাকৃবি সাংবাদিক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। বাংলাদেশ কৃষি গভেষনা ইনিষ্টিটিউট (বিনা) ট্রেনিং কমিনিকেশন বিভাগে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসাবে ১৯৯৪ সালে কর্ম জীবন শুরু করেন। তিনি হুইল চেয়ার নিয়ে ঢাকাস্থ প্রেস ক্লাবের সামনে প্লে-কার্ড বুকে নিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকতেন। তিনি ২০১৩ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে হাওড় গবেষনা ইনষ্টিটিউটের জন্য মাননীয় রাষ্ট্রপতির নিকট চিঠি দেন। মহামান্য গুরুত্বের সাথে বিষয়টি দেখেন,পরে হাওড় ও চর গবেষনা ইনিষ্টিটিউট আত্মপ্রকাশ ঘটার অপেক্ষায় এ ব্যাপারে মাঝে মধ্যে খোঁজ খবর নিতাম, একদিন ফার্মগেটে উনার কর্মস্থলে দেখাও করেছিলাম, তের সদস্যের একটি নিয়োগ কপি দেখালেন ও বল্লেন অচিরেই কার্যক্রম শুরু হবে এরপর কি হল আর জানা হলনা। অতি দুঃখের সহিদ জানা গেল ১০শে জানুয়ারী/২০১৭ ইং তারিখে চলে গেলেন না ফেরার পথে। উনার মৃত্যুতে আমি শোকহত। থাকলে হয়ত হাওরের জন্য আজও প্লেকার্ড নিয়ে প্রেসক্লাবের সামনে হাজির হতেন। পরক্ষণে আরেক মথুরার কথা স্মরন করছি, যা নাকি ইটনা, উপজেলা ধনপুরের মথুরাপুর গ্রাম, সেই গ্রামে আমার জন্ম। জায়গা স্বল্পতার কারনে বিশ বছর আগে প্রতিবেশী গ্রাম বলরামপুর বসবাস স্থাপন করি। আর পাচ বছর আগে কি করুন চিত্র ছিল এই মথুরার বর্ষার উঠানে ১ ফুট কাদা লেগেই থাকত ।আর কোন আত্মীয়ের বাড়ি গেলে একটি তরী, দুইটা বইটা চালক রেখে যেতে হতে। কি যেন কখন বর্ষার দমকা হাওয়া চান কপালের ডেউ নয় ভয়ংকর জলরাশি গায়েল ভেংগে গ্রাম ভেংগে দিতে পারে, তাই জারমুনি , কুচরিপানা, কুইয়ের পানা (দল) দিতে হবে বাড়ি প্রতিরক্ষা গায়েলে। আর কি বলব আনন্দের কথা , সে যে মথুরার মমতা, মথুরার আজ্ঞাবাহক দূত দাতা সংস্থা কেয়ার বাংলাদেশ গ্রামটির চতুর্দিকে বেরি বাধ দিয়ে ও গ্রামের মধ্যের রাস্তাটি পাকা করে নিরাপদ ও আদর্শ গ্রাম রুপদান , যেন মনে হয় ভাটি এলাকায় ্আর একটি মথুরার জন্ম হয়েছে। আর সেই মথুরার দানশীল ব্যক্তি ব্রজেন্দ্র চন্দ্র দাস মহাশয়, তিনি তার মাথা গোজার জায়গাটুুকু দশজ কাতারে ভগবান মন্দিরের জন্য সম্প্রদান করে দিলেন, দিবেই ত কারণ তিনি যে মথুরার কান্ডারী ব্রজের গোপাল, ব্রজেন্দ্র নন্দন ।তাই কি বলব আমরা হাওরের মানুষ করার মত দেওয়ার মত মন আছে, মানসিকতা আছে ,নেই আমাদের সাধ্য সামার্থ্য আর আমরা যারা কিছু দেই বা করি নিজে সর্বস্ব উজার করেই করি, মথুরাপুরের মত বেরি বাধ আমাদের হাওর এলাকার প্রতিটি গ্রামে একান্ত আবশ্যক, আর আমরা একতা সততা বস্তুনিষ্ঠার মাধ্যমে উপযুক্ত দাতা সংস্থার কাছে দাবীদার হতে পারি তাহলে আমাদের সমস্যা সমাধান হবে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার হাওর এলাকার উন্নয়নের একটি হাওর ও জলাশয় বোর্ড রয়েছে , প্রধানমন্ত্রী এর প্রধান , ঢাকায় এর অফিস আছে । কিন্তু হাওর জলাশয় বোর্ড কতটুকু ভূমিকা রাখছে তা আমর বুঝতে পারছি হাওর বাসী। হাওরের পরিকল্পনা ফাইলটি বোর্ড ফাইল হিসেবে জমা আছে কাগজ কলমে দলিল স্বরুপ , নেই কোন বাস্তবায়নের ব্যবস্থা । ক্ষুধার পেট যেমন বচনে ভরে না এই বোর্ড কোন কাজে যায় আসে না। হাওর নিয়ে সরকারের প্রশাসন সঠিকভাবে পালন করছে না। আমি মনে করি গাওয়র জলাশয় বোর্ডটি হাওয়রের নাভিমূলে প্রতিস্থাপন করা হইক। আর কিছু নাই হইক এখানে একটি আবহাওয় পরিমাপক যন্ত্র প্রদান করে হাওর বাসিকে আবহাওয়া বর্তা প্রদান করা হইক। আর ভৈরব জেলা হবে যে প্রস্তাবনাটি করেছিল সেটি ভৈরব না হয়ে হাওয়েরর নাভিমূলে হাওর জেলা প্রস্তবনা কপ্রদান করা হইক, হতে পারে সেটি নাসিরনগর অস্টগ্রাম, মিঠামইন, ইটনা, দিরাই, সাল্লা, আজমেনি গঞ্জ ও খালিয়াজুরী উপজেলা সমন্বয় হতে পারে। গত ১৭/১১/২০১২ ই্ং তারিখ শনিবার দ্বিতীয় জাতীয় হাওর সম্মেলন হয় রাজধানীর কৃষি গবেষনা কাউনশীলে। অকপটে স্বীকার করলেন উক্ত সভার প্রধান অথিতি অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ সংসদ স্পীকার (বর্তমান মহামান্য রাষ্ট্রপতি) হাওর এলাকা ইটনা , মিঠামইন অষ্টগ্রাম থেকে একবার নয় , বার বার একই সাথে ৮ বার নির্বাচিত সাংসদ , ৪০ বছর ধরে নির্বাচিত কিন্তু কিছুই করতে পারেনি এই হাওরের মানুষের জন্য । এমনকি ওনার বাড়ি মিঠামইন আসতে পারেনি গাড়ি নিয়ে , আসতে পারলে নাকি উনার জীবন স্বার্থক হত এই আশা ব্যক্ত করেন উক্ত সভায়। তার পরক্ষনে মহামান্য রাষ্ট্রপতি হাওয়রের জন্য মানষিক ভাবে নিমগ্ন দেশের অভিভাবক হাওয়রের অভিভাবক হাওয়রের জন্য কিভাবে কি করা যায় পরিশেষে ইটনা মিটামইন অস্টগ্রাম মহাসড়ক নাসিনগর ও বিশ্ব রোড় হয়ে ঢাকা যাবে হাওর বাসি। আমি কিছু দিন আগে দেখে আশলাম প্রায় ৩০% কাজ সম্পন্ন বিশেষ করে কোন ব্রীজের কাজ চোখে পরেনাই, আমি মনে করি নদী খননসহ ব্রীজ পীলার স্থাপন করা হইক যাহাতে বন্যার সৃষ্টি না করে। বিষয়টা স্বপ্নের ন্যায়, অনেকটা রামায়নের রামচন্দ্রে লংকা গমনের সমুদ্র বন্ধনের মত। পাশাপাশি আমি আশা করব ঐ মহাসড়কটি ইটনা থেকে সুনামগঞ্জের সাল্লা পর্যন্ত সম্পন্ন করা হইক। এখানে প্রায় ৪৭ কি.মি রাস্তা হলে সুনামগঞ্জ বাসি আর সিলেট হয়ে ঢাকা যেতে হবেনা। দিনাতিপাত বাড়ি ফিরতে পারবে। আর দেশ পাবে প্রচুর ডিজেল সাশ্রয়। পাশাপাশি ঐ মহাসড়কটি নিদির্ষ্ট সীমারেখায় ২০-৩০ টি গামের্স ফ্যাক্টরী করা হইক যাতে করে হাওয়রের সহজ সরল জনসাধারন ঢাকা আসতে না হয় কর্ম-অন্ন সন্ধানে, আশা করি সরকার বিষয়টি বিবেচনায় দেখবে। বর্তমান হাওয়রের কান্না সরকার উপলদ্ধি করতে পেরে সুনামগঞ্জে (হাওর) প্রথম রাষ্ট্রপতি আসলেন, ত্রাণমন্ত্রি, ত্রাণসচিব পরিশেষে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননিয় প্রধানমন্ত্রী অভয় বানী দিয়ে গেলেন হাওর বান্ধব সাতটি ঘোষনা। কিন্তু ত্রাণসচিব কামাল হোসেন যা বলেলন হাওর বাসি কাছে অনেকটা কাটা ঘায়ে নুনের ছিটার মত মনে হল। উনি আইনি মোতাবেক বলেছেন এপরিবেশে এ কথা বলা ঠিক হয়নি, একটি এলাকায় যখন ১০০% লোকের খাদ্য নির্রাপত্তা নেই, সেখানে ৫০% লোক বাঁচে কি করে। সরকার সকল ত্রাণসহায়তার পরেও একটি ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়াট লেভেলে নেয্য মূল্য আবশ্যক, যেখানে হাওর বাসি ১০ টাকা কেজি চাউল ১০ টাকা দিয়ে ২৫০ গ্রাম মুসুরী ডাউল নিতে পারে। পরক্ষনে বিকল্প আয়ের উৎস ভাসান পানিতে মাছ ধরার অবাদ অধিকার, তবে ঘন বা কারের্ট জাল জোরাল নিষিদ্ধ ও প্রয়োগ হতে হবে, সমসাময়িক কোন প্রকার মাছ ধরা যাবে না যে সময় মাছের পেটে ডিম থাকে। আর ৬ মাস মাছ না মারলে হাওয়রের মাছ মানুষকে খেতে আসবে, মুরুব্বীদের ভাস্যমতে ১৯৭১ সালে হাওয়রে প্রচুর মাছ হয়েছিল, দেশের মানুষ ছিল পরাধীনতায় আর হাওয়রের মাছ পেয়েছিল অবাদ স্বাধীনতা। চাষা বাদের ক্ষেত্রে আগাম জাতের ধানের বীজ আমদানী, পাশাপাশি উচু জমিতে গম, ভুট্টা, আলু, সরিষা, মটরসুটি ওনিচু জমিতে মাছ চাষ করা যেতে পারে। “অকুল সাগরে ভাসাইয়া তরী এখন আমি কি যে করি” বিশেষ করে নেত্রকনা সুনাগঞ্জের ভারতীয় সীমান্ত এলাকা জলাধর সৃষ্টি করে নদী খনন সহ সরাসরি মেঘনা নদীর ভৈরব ব্রীজ তলদেশ পর্যন্ত গভির ভাবে খনন করে দিতে পারলে সমাধান আশা করা যায়। তাই এই পিছিয়ে থাকা জনপদের উন্নয়নের জন্য স্ব-স্ব এলাকায় স্ব-স্ব ব্যক্তিবর্গ দ্বারা। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন করা, যা নাকি আমাদের হাওর এলাকার জন্য প্রযোজ্য। এই সংগঠন হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জ জেলার হাওর এলাকার সকল এলাকা নিয়ে করা দরকার । এমন কি এই এলাকাকে হাওর উন্নয়ন বোর্ড তথা জরুরী দুর্গত , দুর্যোগপূর্ণ এলাকা ঘোষনা ,তেমনই বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিসের ন্যায় , বাংলাদেশ হাওর সার্ভিস গঠন করা জরুরী মনে করি। একটি কথা আছে না আগুন পানির ভয়, আগুনের সার্ভিস থাকবে পানির সার্ভিস থাকবেনা তা হয় না। কত মায়ের কোল শুন্য করে কত শিশু মারা গেছে পানিতে পরে কত কৃষকের গোলার ধান রয়ে গেছে ধানের শিশে পানির তলে। যেমন নেই পানি হাওরে না ঢুকার জন্য বেরিবাধের ব্যবস্থা না আছে পানি নিষ্কাশনে ব্যবস্থা । তাই হাওরের পানি নিষ্কাশনের জন্য আমাদের হাওরের চতুর্দিকে একটি বিশাল গভীর নদী খনন করা দরকার ও উত্তর থেকে দক্ষিণমুখী আরেকটি গভীরনদী খনন করা দরকার যাতে করে হাওরের পানি মেঘনা বয়ে বঙ্গোপসাগরে যেতে পারে। এজন্য অষ্টগ্রাম থেকে ভৈরব ব্রীজ তলদেশ ও দক্ষিণ তলদেশ গভীর ভাবে খনন করলে হাওর অনেকটা বন্যামুক্ত হতে পারে। তাই হাওয়রের ভাই বন্ধুরা দুঃখে আছি ,কষ্টে আছি, আমরাই আছি পেটে ক্ষুদা আমাদের, পিটে ব্যথাও আমাদের তাই ক্ষুধা কষ্ট আমাদের সমাধানটা জরুরী।তাই আসুন আমরা চেষ্টায় নেমে পরি। আমাদের নিরাপদ হাওর চাই, নিরাপদ বাড়ি চাই, নিরাপদ ঘর চাই, নিরাপদ চাই আমাদের মৌলিক চাহিদা অন্ন, বস্ত্র,শিক্ষা, চিকিৎসা শুধু চাই , চাই, চাই। ্আর শুধু চাইলেই ত হবে না চাওয়ার মত চাইতে হবে, চাওয়ার মত করতে হবে। তাই চলুন আমরা সংঘবদ্ধভাবে সংগঠিত হওয়ার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন করার মানসিকতা কামনা করলাম। আর সেই সংগঠন হবে স্বেচ্ছাসেবী , অরাজনৈতিক , অসম্প্রদায়িক সমাজকল্যান মূলক প্রতিষ্ঠান। সেখানে থাকবে এক বা একাধিক বিষয়ে বা বিভিন্ন কার্যক্রম সমন্বয়ে সমাজকল্যান কার্যক্রম সমন্বয়ে সমাজকল্যান মূলক ও মানব হিতৈষী প্রতিষ্ঠান হিসেবে একতা শৃঙ্খলা সহযোগিতা মূলক পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে স্বেচ্ছাসেবী কর্ম উদ্যোগের দ্বারা জাতি, ধর্ম, বর্ণ গোত্র নির্বিশেষে হাওর এলাকার তথা সমাজের বিভিন্ন স্তরের লোকদের জন্য আর্ত সামাজিক উন্নয়ন মূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা ।আর আমার লেখার রেশ ধরে কোন দানবীর ব্যক্তি,দেশের গুনী জন হাওরের মানুষের জন্য একটা কিছু করেন আমি উনাদেরকে সম্মান সূচক ভাবে কদর(স্যালোট)করব।দেশের সরকারী দল সামাজিক প্রতিষ্টান দাতা সংস্থা ও যোগ উপযোগী সকল স্থানীয় নেতৃবৃন্দর সর্বাত্ব সহযোগী কামনা করে কালী দয় সাগরে (বর্তমান হাওরে)গা বাসিয়ে একটা নিরাপদ হাওরের দাবী করিলাম।আর একটা কথা আছে না কাদলে মা শিশুকে দুধ দেয় না। তাই হাওর এলাকার ভাই বন্ধুদের বলছি আসুন আমরা হাতে হাত, কাধে কাধ, চোখে চোখ রেখে কান্নার হাওর অশ্রুর বন্যা বয়ে দেই, সেটা যেন হাওর তলিয়ে নেওয়ার বন্যার চেয়ে আরও গভীর হয় এই আশাবাদ ব্যক্ত করে , সবার মঙ্গল কামনা করে অসমাপ্ত সমাপ্তি আহব্বান করলাম।

‘‘জয় হউক হাওরবাসী, জয় হউক হাওর এলাকা ,জয় হউক হেমনতী মানুষের ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

বন্যা বইবে হাওর এলাকায়

আপডেট টাইম : ০৮:৩৫:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বছরের ছয় সাত মাসই অধিকাংশএলাকা থাকে পানির নিচে । দেশের উত্তর পূর্বের এমন সাতটি জেলা নিয়ে হাওর অঞ্চল, পৃথিবীর বুকে ভাটির দেশ বাংলাদেশ আর বাংলাদেশের বুকে ভাটিদেশ হাওর দেশ যতা হাওর নাভিমূলে ইটনা, মিটামই,অস্টোগ্রাম, শাল্লা, খালিয়াজুরী, আর হাওর দেশের নিম্ন এলাকার ক্রমানয়ে হাওরে সুনামগঞ্জে ১৩২ টি কিশোরগঞ্জে ১২২ টি, নেত্রকোনা ৮১ টি, হবিগঞ্জ ৩০ টি, সিলেটে ৪৩ টি, মেীলভীবাজারে ৩ টি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ০৩ টি মোট ৪১৪ টি হাওর আছে। সরকারি পরিসংখ্যান বলছে প্রায় দুইকোটি মানুষের এই অঞ্চল সবচেয়ে দরিদ্র ও পীড়িত তথ্য ও পরিসংখ্যান বলছে অন্যান্যর চেয়ে সবদিকে পিছিয়ে আছে হাওর এলাকা। দেশের স্বাক্ষরতার হার যেখানে ৫৪.৮ হাওর অঞ্চলের সেখানে ৫১ শতাংশ। শিশু মৃত্যুর হার জাতীয় পর্যায়ে ৪৯ শতাংশ । হাওরে তা ৫৭ শতাংশ। একটি সমিক্ষায় দেখা গেল এবছর ক্ষতির পরিমান হাওরের সাতটি জেলায় গড়ে ৭৫ ভাগ বোরো ফসল তলিয়ে গেছে, ৭ টি জেলায় মোট ১১ লক্ষ ৩৪ হাজার ৬০০ পরিবার ক্ষতি সম্মুক্ষীন হয়েছে। সবছেয়ে বেশি ক্ষতি সুনামগঞ্জ এজেলায় ৯৮% জমি তলিয়ে গেছে এ বছর সুনামগঞ্জ জেলায় ২ লক্ষ ২৩ হাজার ৮৭ হেক্টর জমিতে চাষ হয় বোরো ফসল, এর মধ্যে ২ লক্ষ ১৮ হাজার হেক্টর তলিয়ে যায়, যা থেকে ৯ লক্ষ টন ধান পাওয়া যেত। এ বছর ২২ লক্ষ টন ধান হারাল কৃষক দুই হাজার টন মাছ হারাল এক হাজার টন সবজি হারাল, হাঁস মারা গেল ত্রিশ হাজার, ১৩ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি মনে করা হল। আর একটা কথা আছে ভাতে মাছে বাঙ্গালি ।এই ভাত মাছ অধিকাংশ যোগান আসে এই হাওর জনপদ থেকে । তাই বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অর্থনীতিতে বিরাট অবদান এই হাওর অঞ্চলের । কিন্তু ভাগ্যের কোন পরিবর্তন নেই হাওরের জনগনের । আরেকটি কথা আছে ছাই মাঝে ৫ টাকা হাত চাতুরীর ১০ টাকা । যেমন ভাত মাছ দুটি নিয়ে বলেই সাধারণত যারা মাছ ধরে তারা শুধু ধরেই না পায় ন্যায্য দাম না পায় জলদস্যুদের হাত থেকে রেহাই । আবার ভাতের কথা চাউলাসান্বিত ধানকে কত কষ্ট করে হাওরের কৃষক শত চেষ্টা ও ধারাবাহিকতায় তা উৎপাদন করে। আবার ভূমিদস্যুদের খপ্পরে পরে জমিজমা হারিয়ে সর্বশান্ত হয়। না পায় উচিত মূল্য, না পায় উৎপাদনের লক্ষ্যে কারও একটু সহানুভূতির হাত । চক্রবৃদ্ধির সুদে টাকা নিয়ে (এমনকি এক টাকায় দুই টাকা পচিঁশ পয়সা দিতে হয় প্রতি বছরে ) আবাদ শেষে অংক করে লাঙল জোয়ালের পয়সা থাকে না। পরক্ষণে গীত অনুসরণকল্পে আগমনি বার্তা এসো হে বৈশাখ শিরোনামে কবির বকুল একটি গীত করেছিলেন বাংলাদেশের প্রাণকেন্দ্র ঢাকার রমনার বটমূলে কথা হবে প্রাণখুলে জানিয়ে দিলাম, তোমায় জানিয়ে দিলাম কি সুন্দর গান আর আমাদের ভাটি এলাকার শোকের কথা হাওরের মাঠে ঘাটে আর ক্ষেত খামার ভাসিয়ে নিলাম, তোমায় ভাসিয়ে নিলাম । কবি বন্দে আলী মিয়া বলেছিলেন আমাদের ছোট নদী চলে বাকেঁ বাকেঁ বৈশাখ মাঠে তার হাটু জল থাকে কিন্তু আমাদের এই আকাবাঁকা নদীগুলোতে কি হাটু জল থাকে? আমাদের হয় কি নদী নালা খাল বিল মাঠ ঘাট হাওর ডুবে রীতিমত বর্ষা নয় যেন বঙ্গোপসাগর হয়ে যায় এর কারণ আমাদের হাওর এলাকার পানি আসতে সময় লাগে না কিন্তু যেতে ্অনেক সময় লাগে। তাই আমাদের কান্নার সীমা থাকে না। আষাঢ়ে বাদল নামে নদী ভরভর মাতিয়া ছুটিয়া চলে ধারা করতর লাইন দুটি আষাঢ়ে কবিতার কবি রবীন্দ্রনাথ ভাব আবেগ আষাঢ় করুণ চিত্র কাল্পনিক বাস্তবতা উপলব্দি কল্পে লাইন দুটির অনেক ভাবার্থ আছে। যা আমরা হাওর এলাকার মানুষ ক্ষণে ক্ষণে উপলব্দি করতে পারি। আরেক উদ্দাম গায়ক গীতিকার বারেক সিদ্দিকী আষাঢ়ে একটি গান স্মৃতিচারণ করেছেন আষাঢ় মাসের ভাসা পানি রে, ওরে বাদাম দেখে চাইয়া থাকি আমার নি কেউ আসেরে আষাঢ় মাসের ভাসা পানি রে তাই আষাঢ় নিয়ে অনেক কবি, সাহিত্যিক, দার্শনিক , লেখক, অনেক কবিতা, অনেক গল্প,ভ্রমন কাহিনী, হাজারো করুন কাহিনী জেলে মাছ ধরা, নদী ভাংগন হাওর বন্যা হঠাৎ করে ঝড় ঝাপটা জলোচ্ছ্বাস, প্রচন্ড ঢেউ ভেংগে নিয়ে যাওয়া হাওর এলাকার ঘর বাড়ি, যেন দ্বিপ ও নয়, দ্বিপের মত চতুরর্দিকে পানি। ভাসমান কুচরিপানার মত মনে হয় হাওর এলাকার মানুষের জীবন যাপন, তা থেকে কি আমাদের হাওরের মানুষের মুক্তির বিধান নেই। তারা কি শুধু রোদ বৃষ্টি,ঢেউ ভাংগনে, আর বন্যায় কৃষি জমি তলিয়ে নেওয়া আজীবন চলমান সংগ্রাম করবে, তা থেকে কি তাদের মুক্তি হবে না কোন দিন?সুধী হাওরবাসি, কি বলব হাওরের কথা , মনে লাগে নিজের ব্যাথা। আমরা যারা দীর্ঘদিন আজীবন হাওরের বাসিন্দা আমাদের কিছু ভাবনার পরিবর্তন করা দরকার যেমন আমরা অনেকই অনেক ধরনের ভাব নিয়ে আছি কারও বা বংশ মর্যাদা, দাম্বীকের গৌরব কেউ বলে আমরা চৌধুরী বাড়ির লোক, কেউ বা বলে আমার দাদা অত্র এলাকার জমিদার ছিল আবার আমি না সরকার বাড়ির লোক ,আরও না কত মিঞা সাব, দুই বছর লন্ডনে বাগান পরিস্কার করে দেশে এসে লন্ডনী বাড়ী নাম ধারন করে খুব নামি দামিলোক হিসেবে দাবী করে বাস্তবত কি তাই? ব্স্তবতা হল সেই বস্তু যা ধারন করলে মানুষের মঙ্গল হয়, একতা ,সততা, ভাল ব্যবহারই হল বংশের পরিচয়। আর চৌধুরী , সরকার , জমিদার, মিঞা সাব কিশোরগঞ্জ পেরিয়ে গেলে ইটনা, আজমিরী, শাল্লা, খালিয়াজুরী অনেকেই চেনে না সবাইকে হাওরের মানুষের নামে পরিচিত, এমন কি আমাদের সংসদ সদস্যরাও হাওর স্বীকৃতিতে আবদ্ধ। ‘‘ হিজল খরচ লাগাই ভাই, আফাল থেকে রক্ষা পাই।’’সুধী বৃন্দ আমরা ধর্মের দৃষ্টিকোন থেকে পেয়েছি যা ধারন করলে আমাদের কল্যান বা মঙ্গল হয় তাই ধর্ম, আর যিনি সৎ জ্ঞানে বাস্তব ধর্মি ,ভাল কাজে মন্দ পথ বারন করে মঙ্গলময় দেখায় এবং সহচরি হয়ে চলমান পথযাত্রি তিনি ভগবান স্বরুপ আবার আমরা হাওরের মানুষ হাওরের বিভিন্ন গাছ বৃক্ষবাজিকে দেবতা নামে আখ্যায়িত করি যেমন মহাদেব গাছ হরি গাছ, কালী গাছ ইত্যাদি। তাই আমি মনে করি আমরা হাওর এলাকার মানুুষ ,আমরা দিন রাত নৌকা নিয়ে চলার পথে ঐ বৃক্ষ রাজীগুলো আমাদের সহচর হয়ে কাজ করে । আমরা জানি কোন দেশ এলাকার আবহাওয়া ভারসাম্য বজায় রাখতে হলে ২৫%বনভূমি থাকা দরকার তা কি আমাদের হাওর এলাকায় আছে? তাই আমাদের অনেক বনাঞ্চল তৈরি করা দরকার, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে। আর হাওর এলাকায় বর্ষায় জলাভূমিতে প্লাবিত হাওয়ায় সব গাছ নিয়ে বনাঞ্চল তৈরি করা সম্ভব নয়। তাই হিজল করচ কলমি গাছ দিয়ে ২৫%-৩০% বনাঞ্চল তৈরি করা দরকার । আর তা হলেই আমাদের হাওরের নিরাপদ আশা করা যেতে পারে বর্ষা মৌসুমে বা অতিবৃষ্টি , অনাবৃষ্টি, শিলাবৃষ্টি থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব । সুধী হাওরবাসী নদী মাতৃক বাংলাদেশে অসংখ্যা নদ নদী খাল বিল হাওর- বাওর,মাঠ-ঘাট,ক্ষেত জমি বর্ষায় সম পর্যায় হয়ে সাগরে পরিনত হয়। আমরা পূর্ব পুরুষের কথামৃতে শুনেছি আমাদের হাওর এলাকা এক সময় সাগর ছিল। আর সে সাগর পাড়ি দিয়ে পদ্মপুরানে চাদসওদাগর চৌদ্দ ডিঙ্গি দিয়ে বাণিজ্য করত আর পূজাপিপাসীদেবী পদ্মার চক্রান্তে ব্রহ্মপুত্র নদে ডিঙ্গা লন্ডভন্ড তথা চাদপুত্র লকাই কে সাপে দংশন ও বেহুলার সতীত্ব পদার্পন বহু কষ্টে অর্জিত লক্ষিণদর কে নতুন ভাবে জীবন দানসহ হাওরের অনেক ইতিহাস। আর চাদ সওদাগর পাড়াপাড়ের সাগরকে .নাকি কালীদ্বয় সাগর নামে স্বীকৃত। সেখানে চর পরে ব্রহ্মাপুত্র চর, সুরমা ,কুশিয়ার ,কালনী, মেঘনা আর বিভিন্ন শাখা প্রশাখা নদী নালা খাল বিল হাওর বাওরে বন জঙ্গলের সৃষ্টি হয়। আর পরক্ষণে ভারতবর্ষ থেকে আগত পর্যটক তথা ভারতের অবহেলিত আর্য সমাজ বন জঙ্গল উজার করে অত্র এলাকায় বসতী স্থাপন করে। বসবাস কল্পে তারা বিভিন্ন বাস্তবত ও কঠিন জীবন যাপন করতে থাকে, নিজেদের ধর্মের পূজা পার্বন করতে থাকে। আর বর্ষা আসলে রামায়ণ, মহাভারত ও পদ্মপুরান পাঠ বর্ষা কাটাতে চেষ্টা করে ,তবে হাওরের মানুষ পদ্ম পাঠে বেশী নিমগ্ন থাকত । ভিন্ন সুরে গান, আবৃতি ও নৃত্য চর্চা করে ও মধ্য বর্ষায় পূজা দেবী পদ্মার পূজা করে জমজমাট পূর্ণভাবে । এমনকি কোন ছেলে সম্মন্ধ করতে তারা জেনে নিতে মেয়ে পদ্মপুরান গানের সুরে পরতে পারে কিনা , না পারলে সম্মন্ধ করতে কষ্ট হত । তাই মেয়েরা বিভিন্নভাবে পাঠে অবিরাম চর্চা করত, ধাপে ধাপে বৃটিশদের শাসন তথা জমিদার প্রথা আগমন ও মুসলমানদের বসবাস ও বর্ণ বৈশম্যের সৃষ্টি, অনেক নিম্ন বর্ণের হিন্দুদের মুসলমান ধর্মে ধর্মান্তর ।আর জমিদারদের হাতেই ন্যস্ত ছিল ঐ এলাকার কৃষ্টি কালচার এবং তারাই সমাজে বিভিন্ন ধরনের আইন কানুন নিয়ম নীতি প্রদর্শন করত যেমন;জমিতে খজনা প্রদান, জলাশয়ে পিশারী ইজারা প্রদান, সংস্কৃতির মধ্য বর্ষায় নৌকা বাইস , পদ্মপুরান ও ঘেটু গান উল্লেখযোগ্য। আর বসন্তে ওরি গান, জারি সারি ভাটিয়ালি ধাপে ধাপে পল্লিগীতি, রবীন্দ্রসংগীত , নজরুলগীতি, আধুনিক, ছায়াছবি ও বাউল গানের আবির্ভাব ঘটে । ্আর ঘেঠু গানের উপর বৃত্তি করে প্রয়াত কথা সাহিত্যিক নাট্য ব্যক্তিত্ব হূমায়ূন আহমেদ এক চলচিত্র নির্মান করেছেন যার নাম ‘‘ঘেটুপুত্র কমলা”আর ঘেটুপুত্র কমলা চলচিত্রের উপর ভিত্তি করে হূমায়ূন আহমেদ ২০১৩ সালে সেরা একুশে পদক পুরুষ্কার পান। প্রায় দেড়শ বছর আগে হবিগঞ্জ জেলার আজমিরীগঞ্জ উপজেলার জলসুখা গ্রামের এক বৈষ্ণব আখড়ায় ঘেটুগান নামে নতুন সংগীত ধারা সৃষ্টি হয়েছিল মেয়েলী পোষাক পরে কিছু কিশোর নাচ গান করত । তাদের নাম ঘেটু। গান হত প্রচলিত সুরে যেখানে উচ্চাঙ্গসংগীতের প্রভাব ছিল সুষ্ঠ। অতি জনপ্রিয় এই সংগীত ধারায় নারী বেশী কিশোর উপস্থিতির কারণেই এর মধ্যে অশ্লীলতা ঢুকে পড়ে। বিত্তবানরা এসব কিশোরকে যৌন সঙ্গী হিসেবে পাওয়ার জন্য লালায়িত হতে শুরু করে। এক সময় সামাজিক ভাবে বিষয়টা স্বীকৃতি পেয়ে যায়। হাওর অঞ্চলের শৌখিন মানুষ জলবন্দি সময়টায় কিছুদিনের জন্য হলেও ঘেটুপুত্র নিজের কাছে রাখবেন এ বিষয়টা স্বাভাবিক ভাবে বিবেচিত হতে থাকে। শিৗখিন মানুষের স্ত্রীরা তাদেরকে সতীনের মত দেখতেন এরই ধারা বাহিকতায় গ্রামে গ্রামে যাত্রা নাটকের আবির্ভাব ঘটে আর আজ কাল চুরি চামারীতে অতিষ্ঠ হাওরের সহজ সরল মানুষজন , শাল্লা উপজেলার কামারগঞ্জ চুরের গ্রাম হিসেবে কুখ্যাত, ঐ গ্রামের চোরেরা হাওরের সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা ও হবিগঞ্জ জেলার ১০-১৫ টি উপজেলার অনাচেকানাচে চুরি চামাড়ী করে থাকে, চুরি কৃত জিনিসপত্র, গরু-বাচুর তাদের কাছ থেকে কিনে আনতে হয়, প্রশাসন দেখেও না দেখার ভান করে বসে আছে, অনেক গ্রামে তাদেরকে মাসোয়ারা দিচ্ছেন, চরি না করার শর্তে । এর একটা শুরহা করা দরকার , হয় সরকার এদের দমন করুক না হয় পূর্নবাসন দেয়া হইক, স্বাধীনদেশে চুরি করে জীবিকায়ন করা কোন ব্যক্তি গোষ্টির কাম্যনয় । আর আজ দারিদ্র্যের কষা ঘাতে নিষ্পেশিত গ্রামীন জনপদ জমিজমা অনমনীয় ফসল নাহ্য মূল্যের অভাবে কৃষক সর্বশান্ত । সম্মানীত সুধী আমরা হাওর এলাকার মানুষ ইতিহাস উপলব্দী করলে দেখা যাবে, দানশীলতা , যুদ্ধবিদ্রোহ, মেধাবীমুখ দেশ পরিচালনায় নেতৃত্বদান অনেক জ্ঞানী গুনীজন রয়েছেন যার স্ব স্ব কৃতিত্বে মহীয়ান হয়ে দেশ দশের কাজে আত্ম নিয়োজিত করে বলীয়ান হয়েছেন। তাদের মধ্যে দানবীর ব্যক্তিত্বের নাম শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি হাওর এলাকার ইটনা উপজেলার জয়সিদ্ধিতে ১৮৪৭ সালে ২৩শে সেপ্টেম্বর জন্ম গ্রহন করে ও ১৯০৬ সালে ২০ আগষ্ট মৃত্যূ বরণ করেন, যার নামে অনন্দ মোহন বসু ময়মনসিংহ অনন্দ মোহন কলেজের প্রতিষ্ঠাতা, উপ-মহাদের প্রথম বাংলার বাঙ্গালী রেনেসার অন্যতম স্থাপতি, ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা, ভারতীয় “সাধারন ব্রাহ্ম সমাজ” প্রতিষ্ঠাতা ও দু-দু ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। উনার আন্দোলনে ১৮৭৮ সালে ২৭ এপ্রিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে সিনেট নারীর জন্য ডিগ্রি লাভের দাবী মেনে নেয়। (সামনে ১১১ তম মৃতু বার্ষিকী ২০শে আগষ্ট উনার মৃত্যু বার্ষিকী অথছ ইটনা উপজেলার জয়সিদ্ধির পৈতিক বাড়িটি কে বা কারা বসবাস করে আসছে, দেশ বিদেশে অনেক দর্শনার্থী এখানে আস পাচ্ছেনা কোন নিদর্শন । তাই বাংলাদেশ সরকারের পতœথত্য অধিদপ্তর এটা তদন্ত করে “হাওর পর্যন্টন কেন্দ” ব্যবস্থা করার এলাকা বাসির দীর্ঘদিনের দাবী। মরে গেছে পাশা, হাল ছারেনি আশা। হাওরঞ্চলে কিশোর গঞ্জের ইটনা থানার লাইমপাশা গ্রামের ডঃ নিয়াজ উদ্দিন পাশা যার জন্ম ১৯৬৫ সালে কৃষি বান্ধব ও হাওর বান্ধব সায়বাদিক হাওর ভুমিপৃত্র উনার নামের আগে লাগাতে সাচ্ছন্দ বোধ করতেন। তিনি শুরুতে ইনাকলাবের সাংবাদিকতা করেছেন বাংলাদেশের ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। কৃষি শিক্ষার সর্বোচ্ছ বিদ্যাপিঠ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় , ময়মনসিংহ, কৃষি প্রকৌশল ও কারিগরী অনুষদে লেখাপাড়া করেন, (১৯৮৯-৯০) এর ফজলুল হক ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন। বাকৃবি সাংবাদিক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। বাংলাদেশ কৃষি গভেষনা ইনিষ্টিটিউট (বিনা) ট্রেনিং কমিনিকেশন বিভাগে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসাবে ১৯৯৪ সালে কর্ম জীবন শুরু করেন। তিনি হুইল চেয়ার নিয়ে ঢাকাস্থ প্রেস ক্লাবের সামনে প্লে-কার্ড বুকে নিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকতেন। তিনি ২০১৩ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে হাওড় গবেষনা ইনষ্টিটিউটের জন্য মাননীয় রাষ্ট্রপতির নিকট চিঠি দেন। মহামান্য গুরুত্বের সাথে বিষয়টি দেখেন,পরে হাওড় ও চর গবেষনা ইনিষ্টিটিউট আত্মপ্রকাশ ঘটার অপেক্ষায় এ ব্যাপারে মাঝে মধ্যে খোঁজ খবর নিতাম, একদিন ফার্মগেটে উনার কর্মস্থলে দেখাও করেছিলাম, তের সদস্যের একটি নিয়োগ কপি দেখালেন ও বল্লেন অচিরেই কার্যক্রম শুরু হবে এরপর কি হল আর জানা হলনা। অতি দুঃখের সহিদ জানা গেল ১০শে জানুয়ারী/২০১৭ ইং তারিখে চলে গেলেন না ফেরার পথে। উনার মৃত্যুতে আমি শোকহত। থাকলে হয়ত হাওরের জন্য আজও প্লেকার্ড নিয়ে প্রেসক্লাবের সামনে হাজির হতেন। পরক্ষণে আরেক মথুরার কথা স্মরন করছি, যা নাকি ইটনা, উপজেলা ধনপুরের মথুরাপুর গ্রাম, সেই গ্রামে আমার জন্ম। জায়গা স্বল্পতার কারনে বিশ বছর আগে প্রতিবেশী গ্রাম বলরামপুর বসবাস স্থাপন করি। আর পাচ বছর আগে কি করুন চিত্র ছিল এই মথুরার বর্ষার উঠানে ১ ফুট কাদা লেগেই থাকত ।আর কোন আত্মীয়ের বাড়ি গেলে একটি তরী, দুইটা বইটা চালক রেখে যেতে হতে। কি যেন কখন বর্ষার দমকা হাওয়া চান কপালের ডেউ নয় ভয়ংকর জলরাশি গায়েল ভেংগে গ্রাম ভেংগে দিতে পারে, তাই জারমুনি , কুচরিপানা, কুইয়ের পানা (দল) দিতে হবে বাড়ি প্রতিরক্ষা গায়েলে। আর কি বলব আনন্দের কথা , সে যে মথুরার মমতা, মথুরার আজ্ঞাবাহক দূত দাতা সংস্থা কেয়ার বাংলাদেশ গ্রামটির চতুর্দিকে বেরি বাধ দিয়ে ও গ্রামের মধ্যের রাস্তাটি পাকা করে নিরাপদ ও আদর্শ গ্রাম রুপদান , যেন মনে হয় ভাটি এলাকায় ্আর একটি মথুরার জন্ম হয়েছে। আর সেই মথুরার দানশীল ব্যক্তি ব্রজেন্দ্র চন্দ্র দাস মহাশয়, তিনি তার মাথা গোজার জায়গাটুুকু দশজ কাতারে ভগবান মন্দিরের জন্য সম্প্রদান করে দিলেন, দিবেই ত কারণ তিনি যে মথুরার কান্ডারী ব্রজের গোপাল, ব্রজেন্দ্র নন্দন ।তাই কি বলব আমরা হাওরের মানুষ করার মত দেওয়ার মত মন আছে, মানসিকতা আছে ,নেই আমাদের সাধ্য সামার্থ্য আর আমরা যারা কিছু দেই বা করি নিজে সর্বস্ব উজার করেই করি, মথুরাপুরের মত বেরি বাধ আমাদের হাওর এলাকার প্রতিটি গ্রামে একান্ত আবশ্যক, আর আমরা একতা সততা বস্তুনিষ্ঠার মাধ্যমে উপযুক্ত দাতা সংস্থার কাছে দাবীদার হতে পারি তাহলে আমাদের সমস্যা সমাধান হবে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার হাওর এলাকার উন্নয়নের একটি হাওর ও জলাশয় বোর্ড রয়েছে , প্রধানমন্ত্রী এর প্রধান , ঢাকায় এর অফিস আছে । কিন্তু হাওর জলাশয় বোর্ড কতটুকু ভূমিকা রাখছে তা আমর বুঝতে পারছি হাওর বাসী। হাওরের পরিকল্পনা ফাইলটি বোর্ড ফাইল হিসেবে জমা আছে কাগজ কলমে দলিল স্বরুপ , নেই কোন বাস্তবায়নের ব্যবস্থা । ক্ষুধার পেট যেমন বচনে ভরে না এই বোর্ড কোন কাজে যায় আসে না। হাওর নিয়ে সরকারের প্রশাসন সঠিকভাবে পালন করছে না। আমি মনে করি গাওয়র জলাশয় বোর্ডটি হাওয়রের নাভিমূলে প্রতিস্থাপন করা হইক। আর কিছু নাই হইক এখানে একটি আবহাওয় পরিমাপক যন্ত্র প্রদান করে হাওর বাসিকে আবহাওয়া বর্তা প্রদান করা হইক। আর ভৈরব জেলা হবে যে প্রস্তাবনাটি করেছিল সেটি ভৈরব না হয়ে হাওয়েরর নাভিমূলে হাওর জেলা প্রস্তবনা কপ্রদান করা হইক, হতে পারে সেটি নাসিরনগর অস্টগ্রাম, মিঠামইন, ইটনা, দিরাই, সাল্লা, আজমেনি গঞ্জ ও খালিয়াজুরী উপজেলা সমন্বয় হতে পারে। গত ১৭/১১/২০১২ ই্ং তারিখ শনিবার দ্বিতীয় জাতীয় হাওর সম্মেলন হয় রাজধানীর কৃষি গবেষনা কাউনশীলে। অকপটে স্বীকার করলেন উক্ত সভার প্রধান অথিতি অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ সংসদ স্পীকার (বর্তমান মহামান্য রাষ্ট্রপতি) হাওর এলাকা ইটনা , মিঠামইন অষ্টগ্রাম থেকে একবার নয় , বার বার একই সাথে ৮ বার নির্বাচিত সাংসদ , ৪০ বছর ধরে নির্বাচিত কিন্তু কিছুই করতে পারেনি এই হাওরের মানুষের জন্য । এমনকি ওনার বাড়ি মিঠামইন আসতে পারেনি গাড়ি নিয়ে , আসতে পারলে নাকি উনার জীবন স্বার্থক হত এই আশা ব্যক্ত করেন উক্ত সভায়। তার পরক্ষনে মহামান্য রাষ্ট্রপতি হাওয়রের জন্য মানষিক ভাবে নিমগ্ন দেশের অভিভাবক হাওয়রের অভিভাবক হাওয়রের জন্য কিভাবে কি করা যায় পরিশেষে ইটনা মিটামইন অস্টগ্রাম মহাসড়ক নাসিনগর ও বিশ্ব রোড় হয়ে ঢাকা যাবে হাওর বাসি। আমি কিছু দিন আগে দেখে আশলাম প্রায় ৩০% কাজ সম্পন্ন বিশেষ করে কোন ব্রীজের কাজ চোখে পরেনাই, আমি মনে করি নদী খননসহ ব্রীজ পীলার স্থাপন করা হইক যাহাতে বন্যার সৃষ্টি না করে। বিষয়টা স্বপ্নের ন্যায়, অনেকটা রামায়নের রামচন্দ্রে লংকা গমনের সমুদ্র বন্ধনের মত। পাশাপাশি আমি আশা করব ঐ মহাসড়কটি ইটনা থেকে সুনামগঞ্জের সাল্লা পর্যন্ত সম্পন্ন করা হইক। এখানে প্রায় ৪৭ কি.মি রাস্তা হলে সুনামগঞ্জ বাসি আর সিলেট হয়ে ঢাকা যেতে হবেনা। দিনাতিপাত বাড়ি ফিরতে পারবে। আর দেশ পাবে প্রচুর ডিজেল সাশ্রয়। পাশাপাশি ঐ মহাসড়কটি নিদির্ষ্ট সীমারেখায় ২০-৩০ টি গামের্স ফ্যাক্টরী করা হইক যাতে করে হাওয়রের সহজ সরল জনসাধারন ঢাকা আসতে না হয় কর্ম-অন্ন সন্ধানে, আশা করি সরকার বিষয়টি বিবেচনায় দেখবে। বর্তমান হাওয়রের কান্না সরকার উপলদ্ধি করতে পেরে সুনামগঞ্জে (হাওর) প্রথম রাষ্ট্রপতি আসলেন, ত্রাণমন্ত্রি, ত্রাণসচিব পরিশেষে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননিয় প্রধানমন্ত্রী অভয় বানী দিয়ে গেলেন হাওর বান্ধব সাতটি ঘোষনা। কিন্তু ত্রাণসচিব কামাল হোসেন যা বলেলন হাওর বাসি কাছে অনেকটা কাটা ঘায়ে নুনের ছিটার মত মনে হল। উনি আইনি মোতাবেক বলেছেন এপরিবেশে এ কথা বলা ঠিক হয়নি, একটি এলাকায় যখন ১০০% লোকের খাদ্য নির্রাপত্তা নেই, সেখানে ৫০% লোক বাঁচে কি করে। সরকার সকল ত্রাণসহায়তার পরেও একটি ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়াট লেভেলে নেয্য মূল্য আবশ্যক, যেখানে হাওর বাসি ১০ টাকা কেজি চাউল ১০ টাকা দিয়ে ২৫০ গ্রাম মুসুরী ডাউল নিতে পারে। পরক্ষনে বিকল্প আয়ের উৎস ভাসান পানিতে মাছ ধরার অবাদ অধিকার, তবে ঘন বা কারের্ট জাল জোরাল নিষিদ্ধ ও প্রয়োগ হতে হবে, সমসাময়িক কোন প্রকার মাছ ধরা যাবে না যে সময় মাছের পেটে ডিম থাকে। আর ৬ মাস মাছ না মারলে হাওয়রের মাছ মানুষকে খেতে আসবে, মুরুব্বীদের ভাস্যমতে ১৯৭১ সালে হাওয়রে প্রচুর মাছ হয়েছিল, দেশের মানুষ ছিল পরাধীনতায় আর হাওয়রের মাছ পেয়েছিল অবাদ স্বাধীনতা। চাষা বাদের ক্ষেত্রে আগাম জাতের ধানের বীজ আমদানী, পাশাপাশি উচু জমিতে গম, ভুট্টা, আলু, সরিষা, মটরসুটি ওনিচু জমিতে মাছ চাষ করা যেতে পারে। “অকুল সাগরে ভাসাইয়া তরী এখন আমি কি যে করি” বিশেষ করে নেত্রকনা সুনাগঞ্জের ভারতীয় সীমান্ত এলাকা জলাধর সৃষ্টি করে নদী খনন সহ সরাসরি মেঘনা নদীর ভৈরব ব্রীজ তলদেশ পর্যন্ত গভির ভাবে খনন করে দিতে পারলে সমাধান আশা করা যায়। তাই এই পিছিয়ে থাকা জনপদের উন্নয়নের জন্য স্ব-স্ব এলাকায় স্ব-স্ব ব্যক্তিবর্গ দ্বারা। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন করা, যা নাকি আমাদের হাওর এলাকার জন্য প্রযোজ্য। এই সংগঠন হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জ জেলার হাওর এলাকার সকল এলাকা নিয়ে করা দরকার । এমন কি এই এলাকাকে হাওর উন্নয়ন বোর্ড তথা জরুরী দুর্গত , দুর্যোগপূর্ণ এলাকা ঘোষনা ,তেমনই বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিসের ন্যায় , বাংলাদেশ হাওর সার্ভিস গঠন করা জরুরী মনে করি। একটি কথা আছে না আগুন পানির ভয়, আগুনের সার্ভিস থাকবে পানির সার্ভিস থাকবেনা তা হয় না। কত মায়ের কোল শুন্য করে কত শিশু মারা গেছে পানিতে পরে কত কৃষকের গোলার ধান রয়ে গেছে ধানের শিশে পানির তলে। যেমন নেই পানি হাওরে না ঢুকার জন্য বেরিবাধের ব্যবস্থা না আছে পানি নিষ্কাশনে ব্যবস্থা । তাই হাওরের পানি নিষ্কাশনের জন্য আমাদের হাওরের চতুর্দিকে একটি বিশাল গভীর নদী খনন করা দরকার ও উত্তর থেকে দক্ষিণমুখী আরেকটি গভীরনদী খনন করা দরকার যাতে করে হাওরের পানি মেঘনা বয়ে বঙ্গোপসাগরে যেতে পারে। এজন্য অষ্টগ্রাম থেকে ভৈরব ব্রীজ তলদেশ ও দক্ষিণ তলদেশ গভীর ভাবে খনন করলে হাওর অনেকটা বন্যামুক্ত হতে পারে। তাই হাওয়রের ভাই বন্ধুরা দুঃখে আছি ,কষ্টে আছি, আমরাই আছি পেটে ক্ষুদা আমাদের, পিটে ব্যথাও আমাদের তাই ক্ষুধা কষ্ট আমাদের সমাধানটা জরুরী।তাই আসুন আমরা চেষ্টায় নেমে পরি। আমাদের নিরাপদ হাওর চাই, নিরাপদ বাড়ি চাই, নিরাপদ ঘর চাই, নিরাপদ চাই আমাদের মৌলিক চাহিদা অন্ন, বস্ত্র,শিক্ষা, চিকিৎসা শুধু চাই , চাই, চাই। ্আর শুধু চাইলেই ত হবে না চাওয়ার মত চাইতে হবে, চাওয়ার মত করতে হবে। তাই চলুন আমরা সংঘবদ্ধভাবে সংগঠিত হওয়ার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন করার মানসিকতা কামনা করলাম। আর সেই সংগঠন হবে স্বেচ্ছাসেবী , অরাজনৈতিক , অসম্প্রদায়িক সমাজকল্যান মূলক প্রতিষ্ঠান। সেখানে থাকবে এক বা একাধিক বিষয়ে বা বিভিন্ন কার্যক্রম সমন্বয়ে সমাজকল্যান কার্যক্রম সমন্বয়ে সমাজকল্যান মূলক ও মানব হিতৈষী প্রতিষ্ঠান হিসেবে একতা শৃঙ্খলা সহযোগিতা মূলক পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে স্বেচ্ছাসেবী কর্ম উদ্যোগের দ্বারা জাতি, ধর্ম, বর্ণ গোত্র নির্বিশেষে হাওর এলাকার তথা সমাজের বিভিন্ন স্তরের লোকদের জন্য আর্ত সামাজিক উন্নয়ন মূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা ।আর আমার লেখার রেশ ধরে কোন দানবীর ব্যক্তি,দেশের গুনী জন হাওরের মানুষের জন্য একটা কিছু করেন আমি উনাদেরকে সম্মান সূচক ভাবে কদর(স্যালোট)করব।দেশের সরকারী দল সামাজিক প্রতিষ্টান দাতা সংস্থা ও যোগ উপযোগী সকল স্থানীয় নেতৃবৃন্দর সর্বাত্ব সহযোগী কামনা করে কালী দয় সাগরে (বর্তমান হাওরে)গা বাসিয়ে একটা নিরাপদ হাওরের দাবী করিলাম।আর একটা কথা আছে না কাদলে মা শিশুকে দুধ দেয় না। তাই হাওর এলাকার ভাই বন্ধুদের বলছি আসুন আমরা হাতে হাত, কাধে কাধ, চোখে চোখ রেখে কান্নার হাওর অশ্রুর বন্যা বয়ে দেই, সেটা যেন হাওর তলিয়ে নেওয়ার বন্যার চেয়ে আরও গভীর হয় এই আশাবাদ ব্যক্ত করে , সবার মঙ্গল কামনা করে অসমাপ্ত সমাপ্তি আহব্বান করলাম।

‘‘জয় হউক হাওরবাসী, জয় হউক হাওর এলাকা ,জয় হউক হেমনতী মানুষের ।