হাওর বার্তা ডেস্কঃ মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের উচ্ছেদের ডামাডোলের মধ্যে দেশটি থেকে এক লাখ মেট্রিকটন চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
সোমবার সচিবালয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ে কয়েকজনের সাংবাদিককে এই তথ্য জানান খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার থেকে এক লাখ মেট্রিকটন চাল আমদানি করা হবে। প্রতি মেট্রিক টনের দাম পড়বে ৪৪২ ডলার।
অতিবৃষ্টি, বন্যা, সংকট, সরবরাহে ঘাটতি, মজুদ কমে যাওয়া ও মিলারদের কারসাজিতে দেশে চালের সংকট তৈরি হলে ব্যবসায়ীদের চাল আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। একই সঙ্গে সরকারও বিভিন্ন দেশ থেকে ‘জি-টু-জি’ পদ্ধতিতে চাল আমদানির উদ্যোগ নেয়। শুধু তাই নয় সংকট কাটাতে চালের আমদানি শুল্কও কমানো হয়। কিন্তু এতকিছুর পরও দেশের বাজারে কমেনি চালের দাম। এখন মিয়ানমার থেকে কয়েক লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে চলে আসার পর থেকে আবার চালের নতুন সংকট তৈরি হয়।
চালের দাম স্বাভাবিক রাখতে গত ৭ সেপ্টেম্বর খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামের নেতৃত্ব পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল মিয়ানমার যায়। ৮ সেপ্টেম্বর তিন লাখ টন চাল আমদানির ব্যাপারে সমঝোতা স্মারক সই হয়। সেখানে কথা হয়, মিয়ানমারের একটি দল বাংলাদেশে আসবে। তখন চাল আমদানির ব্যাপারে আলোচনা হবে।
গতকাল রবিবার ও আজ মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে চাল ক্রয়ের বিষয়ে আলোচনা হয়। আজ খাদ্য মন্ত্রণালয়ে মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম এক লাখ টন খাদ্য আমদানি করার বিষয়টি জানান।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার থেকে এক লাখ টন চাল আমদানি করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগামী তিন মাসের মধ্যে মিয়ানমার বাংলাদেশকে এই চাল দেবে।
তিনি বলেন, চুক্তি হতে ১৫ থেকে ২০ দিন সময় লাগবে। দুই দেশের ক্রয় সংক্রান্ত কমিটি চাল ক্রয়ের এই সমঝোতার বিষয়টি অনুমোদন করলে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক চুক্তি হবে।