ঢাকা ০৮:১২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মান যায় মন্ত্রীর আর মামলা করে চেরাগ আলী

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:৩৪:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ অগাস্ট ২০১৫
  • ৩১০ বার

বুধবার দুপুরে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশনের মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু একাডেমী আয়োজিত চলমান রাজনীতি বিষয়ে এক আলোচনা সভায় সাংবাদিক প্রবীর সিকদারের মামলা অবিলম্বে তুলে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক সংসদীয় কমিটির সভাপতি সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। তিনি বলেন, একজন প্রবীন সাংবাদিক তাকে চোখ বেঁধে নিয়ে যাবে তার নিজের সরকার! সেতো আমাদের জন্যই পা হারিয়েছেন। তাকে দমানো যাবে না। কারণ একাত্তুরে তার পরিবারের ১৪জন লোক হারিয়েছে। একে আটকানো যাবে না। আশা করি এর একটি নিস্পত্তি হবে যা সবার কাছে গ্রহণযোগ্য।

সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, সাংবাদিক প্রবীর সিকদার প্রান সংস্বয় বলে পুলিশের কাছে সাধারণ ডায়েরি করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশের যখন কোনো সহায়তা প্রবীর সিকদার পাননি, তখনই তিনি ফেইসবুকে একটা স্টাটাস দিয়েছেন। এতে নাকি একজন মন্ত্রীর মান গিয়েছে। মান যায় মন্ত্রীর আর মামলা করে চেরাগ আালী। আরে চেরাগ আলী তুমি তো সরকারের লোক, তুমি কেন যাবে। আর তার বিরুদ্ধে মামলা হলো ১১ টায়। তাকে ধরে নিয়ে যাওয়া হলো ৬টায়। এর মানে শত্রুদের হাতে অস্ত্র তুলে দেয়া। সুতরাং আমরা এটা আশা করিনি।

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের এই সদস্য বলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন অত্যান্ত উচ্চশিক্ষিত ও সম্ভ্রান্ত পরিবারের। আর তার প্রতিপক্ষ হলেন পা হারানো সাংবাদিক প্রবীর সিকদার। যারা প্রবীর সিকদারের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তারা অতি উৎসাহের দল। কেউকে ধরে আনতে বললে বাইন্ধা নিয়া আসে।

সরকারকে আরো বেশি সহনশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ক্ষমতার দম্ভ ও অহঙ্কার আসলে সেই ক্ষমতা পরিমার্জিত হয়। ক্ষমতা মানে চাটুকারিতা, দম্ভ তোষামোদী নয়। শুনেছি প্রবীর সিকদারের জামিন হয়েছে। তাই বিষয়টি নিজেদের মধ্যে সুরাহা হাওয়া উচিত।

তিনি বলেন, সুতরাং আমরা বিষয়টির সমাধান চাই। রাজনীতি, সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম এর মধ্যে সংঘাত হতে পারে না। এটি একটির পরিপুরক। কারণ গণমাধ্যম না হলে জনগণের কাছে পৌছানো যাবে না। এই মামলাটি অবিলম্বে তুলে নেয়া প্রয়োজন। না হলে যতদিন যাবে ততই গন্ধ ছড়াবে।

সম্প্রতি ছাত্র লীগের দুই নেতা পুলিশের ক্রসফায়ারে নিহতের ঘটনায় সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, সমস্ত সঙ্কটের সমাধান ক্রস ফায়ারে নয়। ছাত্রলীগকে সামাধান করতে হলে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে আদর্শবান তৈরি করতে হবে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকবে আর ছাত্রলীগকে ক্রসফায়ারে মারবে এটা কাম্য নয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

মান যায় মন্ত্রীর আর মামলা করে চেরাগ আলী

আপডেট টাইম : ১২:৩৪:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ অগাস্ট ২০১৫

বুধবার দুপুরে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশনের মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু একাডেমী আয়োজিত চলমান রাজনীতি বিষয়ে এক আলোচনা সভায় সাংবাদিক প্রবীর সিকদারের মামলা অবিলম্বে তুলে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক সংসদীয় কমিটির সভাপতি সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। তিনি বলেন, একজন প্রবীন সাংবাদিক তাকে চোখ বেঁধে নিয়ে যাবে তার নিজের সরকার! সেতো আমাদের জন্যই পা হারিয়েছেন। তাকে দমানো যাবে না। কারণ একাত্তুরে তার পরিবারের ১৪জন লোক হারিয়েছে। একে আটকানো যাবে না। আশা করি এর একটি নিস্পত্তি হবে যা সবার কাছে গ্রহণযোগ্য।

সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, সাংবাদিক প্রবীর সিকদার প্রান সংস্বয় বলে পুলিশের কাছে সাধারণ ডায়েরি করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশের যখন কোনো সহায়তা প্রবীর সিকদার পাননি, তখনই তিনি ফেইসবুকে একটা স্টাটাস দিয়েছেন। এতে নাকি একজন মন্ত্রীর মান গিয়েছে। মান যায় মন্ত্রীর আর মামলা করে চেরাগ আালী। আরে চেরাগ আলী তুমি তো সরকারের লোক, তুমি কেন যাবে। আর তার বিরুদ্ধে মামলা হলো ১১ টায়। তাকে ধরে নিয়ে যাওয়া হলো ৬টায়। এর মানে শত্রুদের হাতে অস্ত্র তুলে দেয়া। সুতরাং আমরা এটা আশা করিনি।

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের এই সদস্য বলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন অত্যান্ত উচ্চশিক্ষিত ও সম্ভ্রান্ত পরিবারের। আর তার প্রতিপক্ষ হলেন পা হারানো সাংবাদিক প্রবীর সিকদার। যারা প্রবীর সিকদারের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তারা অতি উৎসাহের দল। কেউকে ধরে আনতে বললে বাইন্ধা নিয়া আসে।

সরকারকে আরো বেশি সহনশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ক্ষমতার দম্ভ ও অহঙ্কার আসলে সেই ক্ষমতা পরিমার্জিত হয়। ক্ষমতা মানে চাটুকারিতা, দম্ভ তোষামোদী নয়। শুনেছি প্রবীর সিকদারের জামিন হয়েছে। তাই বিষয়টি নিজেদের মধ্যে সুরাহা হাওয়া উচিত।

তিনি বলেন, সুতরাং আমরা বিষয়টির সমাধান চাই। রাজনীতি, সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম এর মধ্যে সংঘাত হতে পারে না। এটি একটির পরিপুরক। কারণ গণমাধ্যম না হলে জনগণের কাছে পৌছানো যাবে না। এই মামলাটি অবিলম্বে তুলে নেয়া প্রয়োজন। না হলে যতদিন যাবে ততই গন্ধ ছড়াবে।

সম্প্রতি ছাত্র লীগের দুই নেতা পুলিশের ক্রসফায়ারে নিহতের ঘটনায় সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, সমস্ত সঙ্কটের সমাধান ক্রস ফায়ারে নয়। ছাত্রলীগকে সামাধান করতে হলে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে আদর্শবান তৈরি করতে হবে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকবে আর ছাত্রলীগকে ক্রসফায়ারে মারবে এটা কাম্য নয়।