তথ্য ও প্রযুক্তি আইনে গ্রেফতার হওয়া সাংবাদিক প্রবীর সিকদার জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। আজ বুধবার দুপুর ২টায় ফরিদপুর কারাগার থেকে তিনি ছাড়া পান। তিন দিনের রিমান্ডের ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতেই বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রবীর সিকদারকে ১নং আমলি আদালতে হাজির করা হয়। এরপর তার আইনজীবীরা জামিন জামিন চাইলে আদালতের বিচারক মো. হামিদুল ইসলাম একজন আইনজীবীর জিম্মায় তাকে জামিন দেন। এরপর সাংবাদিক প্রবীর সিকদারের পক্ষের আইনজীবী আলী আশরাফ নান্নু জামিনের কপি নিয়ে জেলগেটে যান। এরপর যথাযথ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর এই সাংবাদিককে মুক্তি দেয়া হয়।
এর আগে, মঙ্গলবার ফরিদপুরে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে করা মামলায় প্রবীর সিকদারের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন একই আদালত। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছিল পুলিশ।
প্রবীর সিকদারের আইনজীবী আলী আশরাফ নান্নু জানান, “তিন দিনের রিমান্ড এক দিনে শেষ করে আজ বিবাদীকে আদালতে উপস্থাপন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আদালতে পুলিশ বলে, রিমান্ডের আর প্রয়োজন নেই। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আদালতে প্রবীর সিকদারের জামিনের আবেদন জানাই।” পরে আদালত পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় আগামী ২২ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী তারিখ পর্যন্ত প্রবীর সিকদারের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেন।
রাজধানীর ইন্দিরা রোডের নিজ পত্রিকা কার্যালয় থেকে রোববার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে প্রবীর সিকদারকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশ। এর পর সোমবার ভোরে সেখান থেকে তাকে ফরিদপুর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সাংবাদিক প্রবীর সিকদারের বিরুদ্ধে রবিবার ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় তথ্য ও প্রযুক্তি আইনে মামলা করেন পূজা উদযাপন পরিষদ জেলা শাখার উপদেষ্টা ও সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট স্বপন কুমার পাল।