হবিগঞ্জ-২ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চান অ্যাডভোকেট সাঈদা

হাওর বার্তা ডেস্কঃ  আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হবিগঞ্জ-২ (বানিয়াচং-আজিমিরীগঞ্জ) আসনের মনোনয়নে আওয়ামী লীগে নতুন মুখ হিসেবে দেখা যেতে পারে স্বেচ্ছাসেবক লীগের শিশু ও পরিবার কল্যাণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহ্ফুজা বেগম সাঈদাকে। ইতিমধ্যে তিনি স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে শুরু করেছেন প্রচারণা। সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে চষে বেড়াচ্ছেন নিজ নির্বাচনী এলাকা।

ব্যক্তি জীবনের আইন পেশায় যুক্ত সাঈদা একজন সমাজসেবক। বিভিন্ন সেবামূলক কাজের মাধ্যমে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে পেয়েছেন জনপ্রিয়তাও। তিনি ঢাকা বারের মহিলা আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। নিজের আইন পেশার উপার্জিত অর্থ ও দাতা সংস্থার কাছ থেকে সহযোগিতা এনে বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জের সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। এবারের অকাল বন্যায় বানিয়াচং এর কৃষকদের জমি তলিয়ে গেলে তিনি ঢাকা আইনজীবী সমিতি থেকে বরাদ্দ এনে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মধ্যে নগদ অর্থ বিতরণ করে সহযোগিতা করেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ১৯৭৯ সালে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত হওয়া অ্যাডভোকেট সাঈদা ২০০৯ ও ২০১৪ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন। ওই দুটি নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে তিনি দলের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেন। ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর সংরক্ষিত আসনে এমপি পদের জন্যও মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। কিন্তু দল তাকে মনোনয়ন দেয়নি। এরপরও তিনি জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আস্থা রেখে দলের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।

সাঈদা ১৯৯৭ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যা মামলা পরিচালনায় সরাসরি অংশ নেন। পরবর্তী সময়ে ২০০১ সালে তৎকালীন সরকার বিরোধী প্রত্যেকটি আন্দোলন সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেন। এসময় বেগম খালেদা জিয়াকে কালো পতাকা প্রদর্শন এবং বিএনপি ক্যাডার সগীর বাহিনীর হাতে নির্যাতিত হন। ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে নেতাকর্মীসহ জননেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলার বিরুদ্ধে আইনী লড়াইয়ে সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল তার। সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, হরতাল, নৈরাজ্য ও অবরোধের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের সব কর্মসূচিতে অংশ নিতেন নিয়মিত।

আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন নিয়ে প্রার্থী হতে আগ্রহ প্রকাশ করে মাহফুজা বেগম সাঈদা জানান, এবারো তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাইবেন। জননেত্রী শেখ হাসিনা মনোনয়ন দিলে জয়ী হবেন এমন আশা প্রকাশ করে বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য স্থানীয় নেতাকর্মী ও জনগণের সঙ্গে নিয়মিত মতবিনিময় করছি। আমি দলীয় নেতাকর্মীসহ এলাকাবাসীর ব্যাপক সাড়াও পাচ্ছি। জননেত্রী শেখ হাসিনা যদি আমাকে মনোনয়ন দেন তাহলে নৌকা প্রতীক নিয়ে তাকে জয় উপহার দিতে পারবো বলে আশা করি।

বানিয়াচং উপজেলা খাগাউড়া ইউনিয়নের উজিরপুর গ্রামে জন্ম নেয়া সাঈদা পারিবারিকভাবেও আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। তার বাবা নজির উদ্দিন চৌধুরী সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল ছিলেন। হবিগঞ্জ সরকারি বৃন্দাবন কলেজ থেকে স্নাতক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে পরবর্তী সময়ে ঢাকা ‘ল’ কলেজ থেকে এলএলবি পাস করে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে আইন পেশায় নিয়োজিত হন তিনি।

১৯৯৭-১৯৯৮ সালে ঢাকা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের প্যানেল থেকে সর্বোচ্চ ভোটে সদস্য নির্বাচিত হন। তার স্বামী অ্যাডভোকেট আবু মো. আমির হোসেন ১৯৭৯-১৯৮০ সালে সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের নির্বাচনে ছাত্রলীগের নান্টু ফজলু পরিষদে (জালাল-জাহাঙ্গীর) নির্বাচন করে সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। এ ছাড়াও তিনি সিলেট বিভাগ আইনজীবী কল্যাণ পরিষদের সাবেক সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর