সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত দেশের উজ্জল নক্ষত্র

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে দেশের উজ্জল নক্ষত্র উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এমপি বলেছেন, সুরঞ্জিত সেন বিজ্ঞ পালামেন্টেরিয়ান হিসেবে শুধু বাংলাদেশে নয়, সারা দুনিয়ার কাছে পরিচিত। তিনি শনিবার সন্ধ্যায় সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত স্মরণসভায় একথা বলেন।

দিরাই-শাল্লা সম্প্রীতি পরিষদ সিলেট আয়োজিত স্মরণসভায় অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন সরকারের পার্লামেন্টে সেনগুপ্তই একমাত্র বিরোধীদলের সদস্য ছিলেন। তখন থেকেই দেশ-বিদেশে তিনি খ্যাতি অর্জন করেন। কষ্ট ও ত্যাগের বিনিময়ে সুরঞ্জিত এ অর্জন আহরণ করেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানে উল্লেখযোগ্য পবিত্র যে ভাবনাগুলো স্থান পায় সেগুলোতে সেনগুপ্ত অবদান রেখেছে। তার জন্য তিনি অনন্তকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।

স্মৃতিচারণ করে আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, সেনগুপ্ত জন্মের আগে তার পিতা হারিয়েছেন। শিশুবেলায় তার মা হারিয়েছেন। দুখু এই ছেলেটিকে শৈশব থেকে আমৃত্যু দিরাই-শাল্লাবাসি তাদের ভালবাসা দিয়ে দেখাশুনা করেছেন। সুরঞ্জিত সেনের বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, সুরঞ্জিত পার্লামেন্টের শ্রেষ্ট বক্তা। একজন রসিক বক্তা ছিলেন। এরকম কৌশলী বক্তা, উপস্থাপক পার্লামেন্টে আর কেউ নেই।

তিনি বলেন, পার্লামেন্টে গেলে পার্লামেন্টেরিয়ান ভাষা আর রাজনীতির ময়দানে রাজনৈতিক ভাষা প্রয়োগ করতেন। মানুষের মনের ভাষায় কথা বলতে পারতেন। মানুষের মনে কথা সে খুব ভালভাবে জানতো এবং বুঝতে পারতো। এরকম নেতার অভাব পূরণ হবার নয়। আরো বলেন, সুরঞ্জিত সেন সম্পর্কে একজন খুব ভাল জানে। সে এই সভায় উপস্থিত থাকলে সভা পুর্নতা পেত। সে হচ্ছে আমাদের সাংবাদিক পীর হাবিবুর রহমান। পীর হাবিব সুরঞ্জিতকে মুখস্থ করে বসে আছে। অবশ্য তার একটা মাধ্যম আছে যা দিয়ে সুরঞ্জিতকে সে সবার মাঝে সুন্দর করে উপস্থাপন করতে পারে। সে রীতিমতো সুরঞ্জিত কে নিয়ে গবেষণা করে।

সংগঠনের সভাপতি ধীরেন্দ্র চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক প্রানকান্ত দাস ওও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি এম.রশিদ আহমদের পরিচালনায় স্মরণসভায় বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, কেন্দ্রীয় সদস্য ও সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, মুহিবুর রহমান মানিক এমপি, ড. জয়া সেনগুপ্ত এমপি, জাতিসংঘস্থ বাংলাদেশ মিশনের সাবেক রাষ্ট্রদূত ড. একে আব্দুল মোমেন, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান চৌধুরী, সহ-সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ, গোলাপগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইকবাল আহমদ চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, গণতন্ত্রী পার্টির সিলেট জেলা শাখার সভাপতি আরিফ মিয়া, ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক সিকন্দর আলী, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক সিটি কাউন্সিলর জগদীশ দাস, আজিজুল হক চৌধুরী মতি, অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট শামসুল ইসলাম, সিটি কাউন্সিলর ইলিয়াছুর রহমান ইলিয়াছ, শাল্লা উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মুহিন চন্দ্র দাস, সাধারণ সম্পাদক আল আমিন চৌধুরী, দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ রায়, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লুৎফুর রহমান এওয়ার মিয়া।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর