ঢাকা ০২:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কি ছিল লাদেনের ১৫০০ অডিও ক্যাসেটে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:০৬:২৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ অগাস্ট ২০১৫
  • ৩৩১ বার

২০০১ সালে আফগানিস্তানে মার্কিন অভিযানের পর কান্দাহার শহর থেকে পালাতে বাধ্য হয়েছিলেন ওসামা বিন লাদেন। শহরটিতে ১৯৯৭ সাল থেকে ছিল তার ঘাটি। তড়িঘড়ি করে পালাতে হয়েছিল তাকে। এর মধ্যে একটি ঘাটি ছিল তালেবান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উল্টো দিকে। সেখানে আল-কায়েদার হর্তকর্তারা বৈঠক করতেন। ওই ঘাটিতে ছিল ১৫০০ অডিও ক্যাসেটের সংগ্রহ। এক আফগান পরিবার তা খুজে পায়। পরে এগুলো নিয়ে স্থানীয় ক্যাসেটের দোকানে বিক্রি করে দেয়। সিএনএন এর এক ক্যামেরাম্যান অডিও ক্যাসেটগুলোর বিষয়ে জানতে পারেন। পরে দোকানের মালিককে বুঝিয়ে শুনিয়ে সেগুলো তাকে দিতে রাজি করান। তখনও তিনি জানতেন না এটা ছিল আল-কায়েদার নিজস্ব অডিও লাইব্রেরি। তবে এগুলোর মধ্যে যে গুরুত্বপূর্ণ কিছু থাকতে পারে সেটা ধারণা করেছিলেন ওই ক্যামেরাম্যান। পরে ওই অডিও সংগ্রহশালা গিয়ে পৌছায় মার্কিন অঙ্গরাজ্য ম্যাসাচুসেটস এর উইলিয়াম কলেঝের আফগান মিডিয়া প্রজেক্টের হাতে। তারা আরবি সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে বিশেষজ্ঞ ফ্ল্যাগ মিলারের শরণাপন্ন হন অডিও কথোপকথনের পাঠোদ্ধার করতে। ২০০৩ সালে মিলারের হাতে পৌছায় ক্যাসেটগুলো। এর এক দশকেরও বেশি সময় পর মিলার তার আবিস্কার নিয়ে একটি বই লিখেছেন। ওই সংগ্রহশালায় ছিল ৬০ এর দশকের শেষ থেকে শুরু করে ২০০১ পর্যন্ত বিভিন্ন ধারণ করা অডিও। এতে ২ শতাধিক ব্যক্তির কথাবার্তা আছে। এর মধ্যে লাদেন একজন। ১৯৮৭ সালের এক টেপে লাদেনের প্রথম কথোপকথোন পাওয়া যায়। মিলার বলেন, লাদেন সেলফ-মার্কেটিংয়ে পটু ছিলেন। আর এই অডিও সংগ্রহে সে বিষয়গুলোই উঠে এসেছে। ক্যাসেটগুলোর মধ্যে ৮০’র দশকের শেষের দিকের এবং ৯০’র দশকের প্রথমদিকে দেয়া লাদেনের নানা বক্তব্য আছে। মিলারের ভাস্য অনুযায়ী, বিন লাদেন মনে করতেন আরব উপদ্বীপ অঞ্চলগুলোর অন্যতম ঝুকি ছিল অন্য মুসলিমরা। পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্র তার টার্গেটে পরিণত হলেও এসব অডিও ক্যাসেটে তেমন কোন কথা নেই। প্রথম দিকে লাদেন ওইসব মুসলিমদের নিয়ে অনেক বেশি উদ্বিগ্ন ছিলেন যারা ইসলাম নিয়ে তার কঠোর আক্ষরিক ব্যাখ্যা অনুসরন করতো না । তার ভাষায় এদের মধ্যে ‘অবিশ্বাস’ ছিল। মিলার বলেন, কে সত্যিকারের মুসলিম তা নিয়ে জিহাদ করতে চেয়েছিলেন বিন লাদেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

কি ছিল লাদেনের ১৫০০ অডিও ক্যাসেটে

আপডেট টাইম : ১২:০৬:২৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ অগাস্ট ২০১৫

২০০১ সালে আফগানিস্তানে মার্কিন অভিযানের পর কান্দাহার শহর থেকে পালাতে বাধ্য হয়েছিলেন ওসামা বিন লাদেন। শহরটিতে ১৯৯৭ সাল থেকে ছিল তার ঘাটি। তড়িঘড়ি করে পালাতে হয়েছিল তাকে। এর মধ্যে একটি ঘাটি ছিল তালেবান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উল্টো দিকে। সেখানে আল-কায়েদার হর্তকর্তারা বৈঠক করতেন। ওই ঘাটিতে ছিল ১৫০০ অডিও ক্যাসেটের সংগ্রহ। এক আফগান পরিবার তা খুজে পায়। পরে এগুলো নিয়ে স্থানীয় ক্যাসেটের দোকানে বিক্রি করে দেয়। সিএনএন এর এক ক্যামেরাম্যান অডিও ক্যাসেটগুলোর বিষয়ে জানতে পারেন। পরে দোকানের মালিককে বুঝিয়ে শুনিয়ে সেগুলো তাকে দিতে রাজি করান। তখনও তিনি জানতেন না এটা ছিল আল-কায়েদার নিজস্ব অডিও লাইব্রেরি। তবে এগুলোর মধ্যে যে গুরুত্বপূর্ণ কিছু থাকতে পারে সেটা ধারণা করেছিলেন ওই ক্যামেরাম্যান। পরে ওই অডিও সংগ্রহশালা গিয়ে পৌছায় মার্কিন অঙ্গরাজ্য ম্যাসাচুসেটস এর উইলিয়াম কলেঝের আফগান মিডিয়া প্রজেক্টের হাতে। তারা আরবি সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে বিশেষজ্ঞ ফ্ল্যাগ মিলারের শরণাপন্ন হন অডিও কথোপকথনের পাঠোদ্ধার করতে। ২০০৩ সালে মিলারের হাতে পৌছায় ক্যাসেটগুলো। এর এক দশকেরও বেশি সময় পর মিলার তার আবিস্কার নিয়ে একটি বই লিখেছেন। ওই সংগ্রহশালায় ছিল ৬০ এর দশকের শেষ থেকে শুরু করে ২০০১ পর্যন্ত বিভিন্ন ধারণ করা অডিও। এতে ২ শতাধিক ব্যক্তির কথাবার্তা আছে। এর মধ্যে লাদেন একজন। ১৯৮৭ সালের এক টেপে লাদেনের প্রথম কথোপকথোন পাওয়া যায়। মিলার বলেন, লাদেন সেলফ-মার্কেটিংয়ে পটু ছিলেন। আর এই অডিও সংগ্রহে সে বিষয়গুলোই উঠে এসেছে। ক্যাসেটগুলোর মধ্যে ৮০’র দশকের শেষের দিকের এবং ৯০’র দশকের প্রথমদিকে দেয়া লাদেনের নানা বক্তব্য আছে। মিলারের ভাস্য অনুযায়ী, বিন লাদেন মনে করতেন আরব উপদ্বীপ অঞ্চলগুলোর অন্যতম ঝুকি ছিল অন্য মুসলিমরা। পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্র তার টার্গেটে পরিণত হলেও এসব অডিও ক্যাসেটে তেমন কোন কথা নেই। প্রথম দিকে লাদেন ওইসব মুসলিমদের নিয়ে অনেক বেশি উদ্বিগ্ন ছিলেন যারা ইসলাম নিয়ে তার কঠোর আক্ষরিক ব্যাখ্যা অনুসরন করতো না । তার ভাষায় এদের মধ্যে ‘অবিশ্বাস’ ছিল। মিলার বলেন, কে সত্যিকারের মুসলিম তা নিয়ে জিহাদ করতে চেয়েছিলেন বিন লাদেন।